ফুটবল
রোনালদোর এক বার্তায় কোকাকোলায় ধস
শেয়ারবাজারে এক লাফে ১.৬ শতাংশ দাম হারিয়েছে কোকাকোলা। যার মানে প্রতিষ্ঠানের মূল্য ২৪ হাজার ২০০ কোটি ডলার থেকে এক লাফে ২৩ হাজার ৮০০ কোটি ডলার হয়ে গেছে।
ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে আসলেন পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। তার সামনে রাখা হলো দুটি কোকাকোলার বোতল। কিন্তু কোকাকোলার বোতল দুটি সরিয়ে; হাতে থাকা পানির বোতল দেখিয়ে বললেন, ‘কোক নয়, পানি খান’। কী বুঝে কাজটা করেছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, এখনো বোঝা যাচ্ছে না। তবে বড় এক ভূমিকম্পের সৃষ্টি করেছেন পর্তুগালের অধিনায়ক।
তার এই কাণ্ডে শেয়ারবাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে কোকাকোলার। মাত্র আধঘণ্টায় ব্র্যান্ড মূল্য ৪০০ কোটি ডলার কমে গেছে প্রতিষ্ঠানটির। অর্থাৎ কোকাকোলাকে হারাতে হয়েছে ৩৩ হাজার ৯১৫ কোটি টাকা।
মঙ্গলবার হাঙ্গেরির সঙ্গে পর্তুগালের মুখোমুখির রাতে এ ঘটনা ঘটে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই ঘটনার পর কোকাকোলার সঙ্গে পেপসিও আলোচিতের (ট্রেন্ডিং) তালিকায় চলে এসেছে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত পেপসির সঙ্গে রোনালদোর কোনো সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া যায়নি।
তবে রোনালদোর এই কাণ্ডে সর্বনাশ এমনিতেই হয়ে গেছে কোকাকোলার। গতকাল ইউরোপের স্টক মার্কেট খোলার সময় কোকাকোলার শেয়ারের দর ছিল ৫৬.১০ ডলার। আধঘণ্টা পর পর্তুগালের ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়। আর বুদাপেস্টে পুসকাস স্টেডিয়ামের সংবাদ সম্মেলনকক্ষের ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে শেয়ারে দর ধসে ৫৫.২২ ডলারে নেমে আসে।
এর মানে শেয়ারবাজারে এক লাফে ১.৬ শতাংশ দাম হারিয়েছে কোকাকোলা। যার মানে প্রতিষ্ঠানের মূল্য ২৪ হাজার ২০০ কোটি ডলার থেকে এক লাফে ২৩ হাজার ৮০০ কোটি ডলার হয়ে গেছে।
স্বাস্থ্য সচেতন রোনালদো অবশ্য এর আগেও কোকাকোলার বিপক্ষে কথা বলেছিলেন। সেটা নিজের ছেলেকে শাসন করার প্রসঙ্গে বলেতে গিয়ে- ‘আমি আমার ছেলেকে কড়া শাসনে রাখি। মাঝেমধ্যে সে কোক বা ফান্টা খায়, চিপসও খায়। সে জানে আমি এটা পছন্দ করি না।’
সিআরসেভেনের এবারের কাণ্ডকেউ সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য একধরণের বার্তা হিসেবে দেখছেন অনেকে। তবে বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠানের প্রতি এমন মনোভাব তিনি দেখাতে পারেন কিনা, সেটিও উঠে এসেছে আলোচনায়।
এরইমধ্যে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে বলেও জানিয়েছে ইউরোপিয়ান গণমাধ্যমগুলো। ইউরোর আয়োজক উয়েফা এ বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত জানাবে বলেও জানিয়েছে।
এদিকে বুদাপেস্টের পুসকাস অ্যারেনায় মঙ্গলবার ‘এফ’ গ্রুপের ম্যাচে হাঙ্গেরির মুখোমুখি হয় পর্তুগাল। এ ম্যাচে ৬০ হাজারের বেশি দর্শক গ্যালারিতে বসে খেলা দেখার সুযোগ পান। আর দর্শকদের দুর্দান্ত খেলা উপহার দেয় পর্তুগাল।
হাঙ্গেরির বিপক্ষে ৩-০ গোলে জয় লাভ করল ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর দল। এমন স্বস্তির জয়ে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে শিরোপা ধরে রাখার অভিযানের শুরুটা চমৎকার হলো ফের্নান্দো সান্তোসের দলের।
এএ
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//