ফুটবল
আশরাফের বৌ’কে যা বললেন তসলিমা নাসরিন
গোটা বিশ্ব এখন ফুটবল জ্বরে আক্রান্ত। আর সেই ফুটবলের মৌসুমেই এই খেলাকেই লেখিকা তসলিমা নাসরিন বেছে নিলেন হিজাব পরা এবং না পরা প্রসঙ্গ নিয়ে স্পষ্ট বার্তা দিতে।
গত শনিবার (১০ ডিসেম্বর) ফিফা বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ঐতিহাসিক জয় হয়েছে মরক্কোর। দুর্দান্ত খেলে সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে এই দল। শুধু তাই নয়, প্রথম আফ্রিকান দল হিসেবে তারাই সেমিফাইনালে পৌঁছল। তাদের এই জয়ে তাজ্জব ফুটবলপ্রেমীরা।
মরক্কো সেমিফাইনালে উঠায় দলটির প্রত্যেক খেলোয়াড় তো বটেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছেন তাদের সঙ্গীরাও। আর এই দলেরই স্টার ফুটবলার হলেন আশরাফ হাকিমি। এবার তাকে নিয়েই টুইট করলেন তসলিমা নাসরিন।
ফুটবলার আশরাফ হাকিমির গলা জড়িয়ে দাঁড়িয়ে আছেন তার অভিনেত্রী স্ত্রী হিবা আবুক। কালো স্যুটে ঝলমল করছেন আশরাফ হাকিমি। সাদা চেরা গাউনে হিবাও যেন রাজহংসী। তার শরীরের অনেকখানি অংশ দৃশ্যমান। বাম দিকের স্তন প্রায় উন্মুক্ত।
আশরাফ হাকিমি ও হিবা আবুকের ছবি টুইটারে পোস্ট করে সেই দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে লেখিকা তসলিমা নাসরিন লিখেছেন, “ওরাও মুসলিম কিন্তু বোরখা কিংবা হিজাব পরেননি তো!”
তবে মরক্কোর জয়ের পরেই আগুনে ঘি ঢেলেছিলেন প্রাক্তন পর্নতারকা মিয়া খলিফা। লেবানিজ বংশোদ্ভূত হওয়ায় মরক্কোর জয় ঘটা করে উদযাপন করতে দেখা গিয়েছিল তাকে। এরপর হাসিমুখে আশরাফ এবং হিবাকে দেখে অন্য দৃষ্টিকোণ বেছে নিলেন তসলিমাও।
দিব্যি খোলামেলা দাঁড়িয়ে আছেন হিবা! তাদের নীতিপুলিশ এসে তাকে তো বোরখা পরতে বলছে না! তবে কি তারকা বলেই তাদের ছাড়— তসলিমা কি সে কথাই মনে করিয়ে দিতে চাইলেন!
এদিকে পোশাক ফতোয়ায় জর্জরিত মধ্য-পশ্চিমের মুসলিমপ্রধান দেশগুলি। মুখ না ঢেকে পথে বেরোতে পারেন না নারীরা, প্রশাসনের কড়া নজরদারি তাদের ব্যক্তিস্বাধীনতায় ভাগ বসাচ্ছে। প্রতিবাদ করতে গিয়ে প্রাণ গিয়েছে ইরানের ২২ বছরের তরুণী মাহশা আমিনির। তার মৃত্যুর পর দু’মাস পার হলেও এখনও উত্তাল ইরান। প্রতিবাদে চুল কেটে ফেলে দেশ-বিদেশের নারীরা প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে শামিল হয়েছিলেন। যার ফলে শাসনের বেড়াজাল আরও কড়া হয়েছে ইরানে। প্রতিবাদী মহিলারা ঘরবন্দি।
আর তসলিমা তো চিরকালই প্রতিবাদী ভাবমূর্তি বজায় রাখেন। নিজে মুসলিম হয়ে ইসলাম ধর্মের কট্টর মৌলবাদের বিরুদ্ধে আঙুল তুলে এসেছেন তিনি।
এছাড়াও কিছুদিন আগেই ফুটবল বিশ্বকাপ নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করায় ট্রোলের সম্মুখীন হতে হয় তসলিমা নাসরিনকে। সোমবার আশরাফের স্ত্রীর পোশাকের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে আবরও বিতর্ক উস্কে দিলেন এ লেখিকা।
Morocco’s star footballer Achraf Hakimi and his wife. They are Muslims and they are not wearing burqa or hijab. pic.twitter.com/NxVfWwB9Jm
— taslima nasreen (@taslimanasreen) December 12, 2022
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন