ফুটবল
প্রথম দল হিসেবে ইউরোর নকআউট পর্বে ইতালি
টানা দুই জয়ে ইউরোর প্রথম দল হিসেবে নকআউট পর্বে ইতালি। সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ৩-০ গোলে জয় পেয়েছে রবার্তো মানচিনির দল। জোড়া গোল করেছেন ম্যানুয়েল লোকাতেল্লি। ইতালির মতই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ওয়েলস। তুরস্ককে ২-০ গোলে হারিয়ে এগিয়ে শেষ ষোলোর পথে। আর ফিনল্যান্ডের বিপক্ষে রাশিয়ার জয় ১-০ গোলে।
রোম শহরের মতই রহস্যময় ইতালি। দুই ম্যাচে প্রতিপক্ষের জালে ছয় গোল। ইউরোর ইতিহাসে আজ্জুরিরা যা করতে পারেনি আর কখনোই। তুরস্কের পর এবার সুইজারল্যান্ড। স্কোরলাইন সেই ৩-০। ব্যাক টু ব্যাক জয়ে আসরের প্রথম দল হিসেবে নিশ্চিত করলো নক আউট পর্ব। এই ইতালি যারা বাছাই পর্বের ব্যর্থতায় খেলতে পারেনি শেষ বিশ্বকাপ।
যার পরশে ইতালি হয়ে উঠেছে অপ্রতিরোধ্য তিনি রবার্তো মানচিনি। ম্যাচের ২০ মিনিট না যেতেই সে বার্তা অধিনায়ক কিয়েলিনির। যদিও ভিএআরে বাদ যায় সেই গোল। আক্ষেপ ঘোচালেন ম্যানুয়েল লোকাতেল্লি। খানিক বিরতি দিয়ে লিড নিলো আজ্জুরি। বিরতির পর কিছুটা সময় বল পজেশনে পিছিয়ে পড়লেও ডাবল লিড পায় চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। সেই লোকাতেল্লির নৈপুণ্য।
পিছিয়ে পড়া বাকিটা সময় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর বৃথা চেষ্টা সুইজারল্যান্ডের। যেখানে ব্যাক টু ব্যাক ম্যাচে গোল করে জয়ের সমীকরণ বড় করেন চিরো ইম্মোবিল। এনিয়ে টানা ২৯ ম্যাচ অপরাজিত ইতালি। রক্ষণ যথারীতি চীনের প্রাচীর। টানা ১০ ম্যাচ জাল অক্ষত রেখেছে রবার্তো মানচিনির দল। আর আক্রমণ সে তো বদলে যাওয়া ইতালির নতুন রুপকথা লিখে চলেছে।
এদিকে তুরস্কের বিপক্ষে জয়ে শেষ ষোলোর পথে অনেকটাই এগিয়ে ওয়েলস। পেনাল্টি মিস করেও নায়ক পোস্টার বয় গ্যারেথ বেল। দুই গোলেরই যোগানদাতা টটেনহ্যাম তারকা। যার প্রথমটা লুফে নিয়েছেন অ্যারন রামসে। ওয়েলস দূর্গে বারবারই মিলিয়ে যায় তুরস্কের আক্রমণ। এতে বেড়েছে হতাশা। মেজাজ হারিয়ে বিবাদে জড়িয়েছেন তুর্কী অধিনায়ক বুরাক ইলমাজ। নিশ্চুপ থেকে, নিরবেই জবাব দিলেন গ্যারেথ বেল। কর্ণার থেকে দারুণ মুভে স্কোরলাইন ২-০ করে দেন কন্নর রবার্টস। তুরস্কের বিপক্ষে ওয়েলসের এই জয় চার দশক পর।
এএ
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//