ফুটবল
কেমন হবে ফ্রান্স-আর্জেন্টিনার ফাইনাল ম্যাচের জার্সি?
শিরপা নির্ধারণী ম্যাচের মধ্যদিয়ে শেষ হতে চলছে কাতার বিশ্বকাপ। ২৮ দিনব্যাপী বিশ্ব আসরের পর্দা নামবে আজ। শিরোপা জিতে শেষ বিশ্বকাপটাকে নিজের করে নেয়ার শেষ সুযোগ লিওনেল মেসির সামনে। অন্যদিকে ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপেরও সুযোগ থাকছে দেশকে টানা দ্বিতীয় শিরোপার স্বাদ দেয়ার।
রোববার (১৮ ডিসেম্বর) লুসাইল স্টেডিয়াম বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় মাঠে ফাইনালের লড়াইয়ে নামবে দুদল। বিশ্ব আসরের মহাগুরুত্বপূর্ণ ফাইনালের লড়াইয়ে নামার আগে আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্স কোন জার্সি পরে নামবে তা আগেই জানিয়ে দিয়েছে দল দুটি। বিশ্বকাপের প্রায় ম্যাচের মতো ফাইনালেও আকাশি-সাদা জার্সিতেই দেখা যাবে মেসিদের।
মেসিদের জার্সি আগের মতো থাকলেও পরিবর্তন হচ্ছে ফ্রান্সের জার্সি। নিজেদের দ্বিতীয় জার্সি পরে নামবে এমবাপের দল। অর্থাৎ, নীল জার্সি সাদা প্যান্টের বদলে দুটোই নীল রঙের পরবে দিদিয়ের দেশমের শিষ্যরা।
এবারের বিশ্বকাপের ফাইনাল আর্জেন্টিনার হোম ম্যাচ। কারণ, তারা আগে বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে। তাই প্রথম জার্সি পছন্দ করার সুযোগ তাদের। মেসিরা ঠিক করেছেন আকাশি-সাদা জার্সি পরেই খেলবেন। প্যান্ট সাদা রঙের। এ বারের বিশ্বকাপের গ্রুপের শেষ ম্যাচে পোল্যান্ডের বিরুদ্ধে নীল জার্সি পরে খেলেছিলেন মেসিরা। বাকি প্রতিটি ম্যাচে একই জার্সি পরেছেন মেসিরা।
অন্য দিকে এবারের বিশ্বকাপের একটি ম্যাচ ছাড়া বাকি সব ম্যাচে নীল জার্সি, সাদা প্যান্ট পরে খেলেছে ফ্রান্স। একমাত্র তিউনিশিয়ার বিরুদ্ধে পুরো নীল জার্সি পরেছিলেন তারা। সেই ম্যাচ ০-১ ব্যবধানে হেরেছিলও তারা। আর্জেন্টিনা সাদা প্যান্ট পরে খেলায় ফ্রান্স নীল প্যান্ট পরে খেলতে নামবে ফাইনালে।
এই জার্সি পরেই গত বারের বিশ্বকাপের ফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে খেলেছিল ফ্রান্স। ৪-২ গোলে বিশ্বকাপ জিতেছিল তারা। অন্য দিকে ২০১৪ সালের বিশ্বকাপের ফাইনালে নীল জার্সি পরে খেলতে নেমেছিলেন মেসিরা। সে বার হারতে হয়েছিল তাদের। এ বার জার্সি বদল করায় মেসিদের ভাগ্যবদল হয় কি না সেটা দেখার।
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন