ফুটবল
খেলার মাঠেই মৃত্যু হলো ফুটবলারের
বরগুনার আমতলী উপজেলায় ফুটবল খেলার মাঠে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।
গতকাল বুধবার (১৬ জুন) সন্ধ্যায় আমতলী উপজেলা চিলা হাসেম বিশ্বাস মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) সকালে তানভীরের মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
মৃত কিশোরের নাম তানভীর তালুকদারের (১৭)। সে আমতলী সরকারি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ও পশ্চিম চিলা গ্রামের সোহাগ তালুকদারের ছেলে।
জানা গেছে, বুধবার বিকেলে উপজেলার চিলা হাসেম বিশ্বাস মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে স্থানীয় কিশোর ও যুবকরা মিলে ফুটবল খেলার আয়োজন করে। ওই খেলায় ২২ খেলোয়াড়ের মধ্যে তানভীর তালুকদার একজন।
খেলার প্রায় শেষ মুহূর্তে খেলোয়াড় তানভীর দৌড়ে ফুটবলে সজোরে কিক করে। ওই সময়ে তার কোনো প্রতিপক্ষ খেলোয়াড় ছিল না— এমন দাবি ওই মাঠের খেলোয়াড় ও প্রত্যক্ষদর্শীদের।
তাদের দাবি, ফুটবলে কিক (ধাক্কা) দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে কাঁপতে কাঁপতে তানভীর মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। তাৎক্ষণিক মাঠের অন্য খেলোয়াড়রা তাকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
স্থানীয় খেলোয়াড় মেহেদী হাসান ও শাহীন বলেন, ফুটবলে সজোরে কিক দেয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তানভীর কাঁপতে কাঁপতে মাঠে লুটিয়ে পড়ে।
স্থানীয় নিজাম বিশ্বাস ও সাইদুল বিশ্বাস বলেন, তাৎক্ষণিক তানভীরকে আমরা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। ওই হাসপাতালের চিকিৎসক তারভীরকে মৃত ঘোষণা করেন।
তানভীরের বাবা মো. সোহাগ তালুকদার বলেন, ফুটবল খেলতে গিয়ে মাঠে অসুস্থ হয়ে পড়ে তানভীর। এতেই ও মারা গেছে।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. আব্দুল মোনায়েম সাদ বলেন, হাসপাতালে আনার আগে তানভীরের মৃত্যু হয়েছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে, হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে।
আমতলী থানার ওসি মো. শাহ আলম হাওলাদার বলেন, পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তানভীরের মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এস
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//