ফুটবল
ফাইনালে নামার আগে মেসিদের কোচ কেঁদে ফেলেন কেন
স্কালোনির অধীনে বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে আর্জেন্টিনা দল। কিন্তু ফাইনালে নামার আগে চোখে জল আর্জেন্টিনার কোচ লিয়োনেল স্কালোনির। কেন কাঁদলেন লিয়োনেল মেসিদের কোচ?
ফাইনালের আগে একটি টেলিভিশন চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিচ্ছিলেন স্কালোনি। সেখানে নিজের শহর পুজাটোর সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন স্কালোনি। বেশির ভাগই ছিল কিশোর। তাদের সঙ্গে কথা বলার সময় নিজের আবেগ ধরে রাখতে পারেননি স্কালোনি। কেঁদে ফেলেন তিনি।
সেই সাক্ষাৎকারের ভিডিও প্রকাশ পেয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, কথা বলার সময় এক হাতে চোখের জল মুছছেন তিনি। স্কালোনি বলেন, ‘দেখে মনে হচ্ছে, আমি খুব কাঁদি। কিন্তু অনেক সময় নিজের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। সবাইকে অনেক ধন্যবাদ। এটা আমাদের কাছে অবিস্মরণীয় এক মুহূর্ত।’
বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে সৌদি আরবের কাছে হারের পর থেকে দারুণ ছন্দে রয়েছে আর্জেন্টিনা। ফাইনালেও সেই ছন্দ ধরে রাখতে চায় তারা। স্কালোনির আশা, বিশ্বকাপ জিতেই মাঠ ছাড়বেন মেসিরা। তিনি বলেছেন, ‘আশা করছি ওরা ওদের প্রাপ্য আনন্দ পাবে। ফুটবলাররা নিজেদের সবটা দিয়েছে। আশা করছি, বিশ্বকাপ জিতেই মাঠ ছাড়ব। সবাইকে গর্বিত করতে চাই।’
কোচ হিসাবে আর্জেন্টিনার দায়িত্ব নেয়ার আগে আকাশি-সাদা জার্সি পরে খেলেছেন স্কালোনি। ১৯৯৭ সালে দেশের হয়ে অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ জিতেছেন তিনি। আর্জেন্টিনার হয়ে যে বার বিশ্বকাপে মেসির অভিষেক হয়েছিল সেই ২০০৬ সালে আর্জেন্টিনার দলে ছিলেন স্কালোনি।
২০১৮ সালের বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার খারাপ পারফরম্যান্সের পরে কোচের পদ থেকে পদত্যাগ করেন জর্জ সাম্পাওলি। তার পরে দায়িত্ব নেন স্কালেনি। কোনও ক্লাবে কোচিং করানোর অভিজ্ঞতা না থাকা স্কালোনিকে দায়িত্ব দেওয়ার সময় অনেকেই অবাক হয়েছিলেন। স্কালোনির ক্ষমতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন অনেকে। কিন্তু সবার মুখ বন্ধ করে দিয়েছেন স্কালোনি। গত বছর কোপা আমেরিকা জিতেছে আর্জেন্টিনা। ২৮ বছরের ট্রফি খরা কাটিয়েছে তারা। এ বার বিশ্বকাপের ফাইনালে দল।
🥹 La emoción de #Scaloni al ver a Pujato alentando a la Selección #Arg 🤩
🤝 @diegokorolok comunicó al entrenador con la gente de su pueblo, que le dejaron mensajes de aliento 💙🤍
✅ Cerramos #Qatar2022 con una sorpresa más para el DT. pic.twitter.com/qczADgKfaB
— D Sports Radio (@DSportsRadio) December 17, 2022
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন