লাইফস্টাইল
প্রশান্ত মন, সুখী জীবন!
ঋতুর পরিবর্তনের সাথে সাথে শরীরে বাধে নানা রোগ। কখনো জ্বর-সর্দি কখনো বা পেটে ব্যথা। আর এই একটু অসুস্থতায় ভুগলেই আমরা ডাক্তারের কাছে দৌঁড়াই। কিন্তু খুব বিষণ্ণ বা দুশ্চিন্তায় কাটানো দিনগুলোতে কখনো কি কোনো চিকিৎসকের পরামর্শ নেই আমরা? উত্তরটা “না”।
কেন চিকিৎসকের পরামর্শ নেই না? স্থূলভাবে এর দুটো কারণ হতে পারে। মানসিক অসুস্থতার ক্ষেত্রেও যে চিকিৎসা আবশ্যক- সেই বিষয়ে অজ্ঞতা এবং সামাজিক প্রতিবন্ধকতা।
মানসিক স্বাস্থ্যকে সুস্বাস্থ্যে তৈরি করতে আজকের আলোচনা।
তবে এর আগে জানতে হবে মানসিক স্বাস্থ্য কি?
শারীরিক স্বাস্থ্য বলতে যেমন আমাদের শরীরের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সুস্থতাকে বোঝায়, ঠিক তেমনি আমাদের আবেগ-অনুভূতির সঠিক বহিঃপ্রকাশ এবং আচরণের স্বাভাবিকতাকে মানসিক স্বাস্থ্য বলে। মানসিক স্বাস্থ্য স্বাভাবিক থাকলে পারিপার্শ্বিক বিষয় যেমন ভয়, দুশ্চিন্তা, রাগ, উদ্বেগ আমাদের চিন্তা-চেতনা বা সিদ্ধান্তগ্রহণের ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব ফেলতে পারে না।
মানসিক সুস্থতা কাকে বলে জানেন?
আপনি কতটা স্বাভাবিক ও সাবলীলভাবে জীবনের চড়াই-উৎরাইয়ের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারেন, তা নির্ভর করে আপনার মানসিক সুস্বাস্থ্যের উপর। ব্যক্তির চিন্তা ও অনুভূতির সামঞ্জস্যই মানসিক সুস্থতা।
মানসিক সুস্থতা কি তা জানলেন, তাহলে মানসিক অসুস্থতা কি?
যখন আমাদের স্বাভাবিক আচার-আচরণ, চিন্তা-ভাবনা, অনুভূতি, কাজ করার মানসিক শক্তিতে বিঘ্ন ঘটে, সেই অবস্থাকে বলা হয় মানসিক অসুস্থতা। মানসিক অসুস্থতার ফলে বিভিন্ন ধরনের মানসিক রোগ থেকে শুরু করে আত্মঘাতী হয়ে ওঠার মতো বিপজ্জনক পরিস্থিতিও অনেক সময় তৈরি হয়।
মানসিক সুস্থতার লক্ষণ কি হতে পারে?
মানসিকভাবে সুস্থ থাকলে আপনি খুব সহজেই আপনার মনের নেতিবাচকতা, রাগ, ক্ষোভকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। জীবনের পরিবর্তনের সাথে মানিয়ে নিতে পারবেন। মানসিক সুস্থতার লক্ষণগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে আত্মবিশ্বাস, বেঁচে থাকা ও কাজের মধ্যে একটা তাৎপর্য খুঁজে পাওয়া, সুন্দর ও স্বাভাবিক সম্পর্ক, প্রাত্যহিক জীবনের নানা প্রতিকূলতার সাথে খাপ খাইয়ে নেয়া, পরিবর্তনের সাথে নিজেকে মানিয়ে নেয়া ইত্যাদি।
এর জন্য কিছু করণীয় তো আছে আমাদের মানসিক সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য আমরা কিছু কিছু কাজ খুব সহজেই করতে পারি। যেমন-
শারীরিক কসরত
শারীরিক কসরতের মানে এই নয় যে, দিনের অনেকটা সময় আপনাকে শারীরিক ব্যায়াম করতে হবে বা জিমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ব্যয় করে শরীরের ঘাম ঝরাতে হবে।
শারীরিক কসরত হলো, আপনি যে কাজ বা ব্যায়ামগুলো করতে স্বচ্ছন্দ বোধ করে থাকেন, সেগুলোই করুন। রোজ নির্দিষ্ট সময়ে হাঁটাহাঁটি করতে পারেন; সাঁতার কাটা, সাইকেল চালানো বা নৃত্য পরিবেশনায় পারদর্শী হয়ে থাকলে প্রত্যহ তা অনুশীলন করতে পারেন। আপনি চাইলে কানে হেডফোন গুঁজে পছন্দের কোনো গান শুনতে শুনতে কয়েক রাউন্ড দৌড় দিতে পারেন।
যখন আপনার শরীর ঝরঝরে থাকবে, তখন মস্তিষ্কে কিছু রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটবে, যার ফলে মনে একধরনের প্রশান্তি বিরাজ করবে এবং মন উৎফুল্ল থাকবে। এর মাধ্যমে ব্যক্তির দৃঢ় সংকল্পতা বৃদ্ধি পাবে এবং লক্ষ্য অর্জনে মন বদ্ধপরিকর হয়ে উঠবে।
মিশতে হবে অন্যদের সাথেও
কথায় আছে ‘নানা মুনির নানা মত’। প্রত্যেকটি মানুষের চিন্তা-ধারা, আচরণ, প্রতিক্রিয়া, কার্য সম্পাদনের পরিকল্পনা ও কৌশল সর্বোপরি জীবন-ধারণের ধারা আলাদা আলাদা হয়ে থাকে। মানুষের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করুন।
স্বপরিবার মিলে খাবারে টেবিলে একসাথে খেতে পারেন।
পরিবারের অনেককেই প্রয়োজনে দিনের বেলা বাইরে থাকতে হয়, তাই রাতে একটি নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করে সকলে মিলে রাতের খাবার একসাথে খেলেন এবং সবার সাথে সবার কথাও হলো। অবসরে বাচ্চাদের বা পরিবারের অন্য সদস্যদের সময় দিন।
বন্ধুরা এতে বাদ যাবে কেন?
আধুনিকতার যুগে মুঠোফোনের বার্তালাপে বা সামাজিক মাধ্যমে বার্তা আদান-প্রদানের মাধ্যমেই শুধু আমাদের সম্পর্কগুলোকে জিইয়ে না রেখে বরং সামনাসামনি সাক্ষাতের মাধ্যমে সম্পর্কগুলোকে সতেজ করে তুলি। এতে সম্পর্ক ও মানসিক সুস্বাস্থ্য উভয়ই বজায় থাকবে।
অনেকদিন বন্ধুর সাথে দেখা হয় না। কোনো এক ছুটির দিনে খানিকটা সময় বের করে বন্ধুর সাথে না হয় একদিন দেখা করতে গেলেন। পুরনো সুন্দর স্মৃতিগুলো আপনার মনকে সুন্দর অনুভূতির অনুরণনে সতেজ করে তুলবে।
কর্মব্যস্ততায় প্রতিটি দিনের সিংহভাগ সময় যাদের সাথে বা পাশে বসে কাজ করতে হয়, একদিন কাজের ফাঁকে বা ছুটির দিনে সবাই মিলে দুপুরের খাবার খেতে খেতে না হয় কাজের বাইরের দুনিয়াটা নিয়েও একটু কথা বললেন। এই ছোট ছোট পদক্ষেপগুলো আপনার অস্তিত্ব ও একজন মানুষ হিসেবে ভালোভাবে বেঁচে থাকার ইতিবাচক অনুভূতিকে জাগ্রত করবে।
জীবনে উদার হওয়ার প্রয়োজন
অন্যকে সাহায্য বা পাশে দাঁড়ানোর জন্য আপনার খুব ছোট একটি কাজ বা ক্ষেত্রবিশেষে বড় কোনো পদক্ষেপই যথেষ্ট।শরীরের জন্য যেমন ভিটামিন প্রয়োজন, এই সুন্দর অনুভূতিগুলোও আপনার মানসিক সুস্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য ভিটামিন।
মাসের বেতন পেয়ে যখন কেনাকাটা করতে যাবেন, হয়তো খেয়াল করবেন, নিজের জন্য না কিনে বরং পরিবারের সদস্যদের জন্য তাদের পছন্দের জিনিসগুলো কিনতেই আপনি বেশি আনন্দবোধ করছেন। উদারতা এবং অন্যের জন্য কিছু করতে পারার মধ্যে আপনি যে আনন্দ পাবেন, আপনার মনে যে পবিত্র অনুভূতি জাগ্রত হবে তা এককথায় ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন।
কেউ আপনার একটা উপকার করলে তাকে হাসিমুখে একবার ধন্যবাদ বলুন। এতে তার যেমন ভালো লাগবে, দেখবেন আপনারও ভালো লাগছে। কৃতজ্ঞতা প্রকাশেও ইতিবাচকতা রয়েছে।
আমাদের মাঝে এমন অনেক আপনজন বা বন্ধু-বান্ধব রয়েছে যাদের মানসিক বা আর্থিক সাহায্যের খুব প্রয়োজন। আপনার দেয়া একটু
সমর্থন তাদের মুখে যে হাসি ফোটাবে, তা নিঃসন্দেহে আপনার মনকে শান্ত করবে। দিতে পারার আনন্দ সীমাহীন।
নিজের সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান থাকা
আমাদের প্রত্যাশা এবং প্রচেষ্টার মধ্যে যখন বিস্তর ফারাক হয়ে যায়, তখন না পাওয়ার অনুভূতিতে মনে কষ্ট তৈরি হয়। এর থেকে পরিত্রাণের সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে, নিজেকে নিজে জানা। আপনি যদি আপনার সক্ষমতা, অনুভূতি, চিন্তা-চেতনা সর্বোপরি শারীরিক শক্তিমত্তা সম্পর্কে অবগত থাকেন, তাহলে আপনি সেই অনুযায়ীই প্রত্যাশা করবেন।
আপনি কেবল সেটুকুই প্রত্যাশা করবেন, যা আপনি অর্জন করতে পারবেন। এতে আপনার মধ্যে ইতিবাচক চিন্তা এবং আত্মবিশ্বাস বহুগুণে বেড়ে যাবে। আকাশ-কুসুম প্রত্যাশার অপূর্ণতা আপনার মনকে কখনোই উদ্বিগ্নতা বা বিষণ্ণতার দিকে ঠেলে দেবে না।
নতুন কিছু শেখার প্রয়াস
‘নতুন’ শব্দটির সাথেই যেন একধরনের আনন্দ জড়িয়ে থাকে। আপনার যে বিষয়ে ভালো লাগে বা যা কিছু শিখতে চান, শত ব্যস্ততার মাঝেও খানিকটা সময় বের করে যদি তা শেখার ব্যাপারে নিয়মিত অনুশীলন করতে থাকেন, তবে তাতে আনন্দ পাবেন। আর আনন্দ মানেই মন ভালো থাকা, মনের স্বাস্থ্য অটুট থাকা তথা মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকা।
পরামর্শ
মুখে ঘা দূর করতে মেনে চলুন ৫ উপায়
খাওয়া দাওয়ার সময় বা কথা বলার সময়ে মুখে ঘা হলে বেশ সমস্যায় পড়তে হয়। এই সমস্যা দীর্ঘদিন সহ্য না করাই উত্তম। এই সমস্যা কিন্তু একসময় মুখে আলসারেরও লক্ষণ হতে পারে। মুখের আলসারকে সামান্য ঘা ভেবে অবহেলা করলেই বিপদে পড়বেন। কোষ্ঠকাঠিন্য, হরমোন জনিত সমস্যার কারণে মুখের ভিতরে আলসার হতে পারে। অনেকে আবার ব্রেসেস পড়েন, তাঁদেরও মাঝেমাঝে এই সমস্যা হয়। শরীরে ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি, আয়রন, জিঙ্ক, ফোলেটের ঘাটতির কারণেও মুখের ঘা থেকে আলসার হতে পারে।
মুখে ঘা হলে কিছুদিনের জন্য ঝাল, টক জাতীয় খাবার এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। না হলে মুখে জ্বালা অনুভূত হবে। মুখে ঘা হলে মুক্তি পেতে পারেন ৫ উপায়ে ।
১) মুখের ঘা কমাতে হালকা গরম পানিতে সামান্য লবন মিশিয়ে কুলকুচি করুন। এতে আরাম পাবেন। দিনে তিন থেকে চার বার করলে ব্যথা ও ঘা দুটোই কমে আসবে।
২) ঘায়ের জায়গায় সামান্য মধু লাগিয়ে রাখতে পারেন, ভালো উপকার পাবেন। কয়েক ঘণ্টা অন্তর অন্তর মধু লাগালে সুফল পাবেন।
৩) ঘায়ের জায়গায় বিশুদ্ধ নারিকেল তেল লাগিয়ে রাখলেও বেশ আরাম পাবেন।
৪) যে কোনও ঘায়ের জন্য ভালো প্রাকৃতিক ঔষধ হতে পারে হলুদ। মুখে যে জায়গায় ঘা হয়েছে, সেই স্থানে হলুদ বাটা লাগিয়ে রাখতে পারেন। কিছু দিন ব্যবহার করলেই ঘায়ের তীব্র জ্বালা-যন্ত্রণা কমে আসবে।
৫) বেকিং সোডা ঘা সারাতে দারুণ উপকারী একটি জিনিস। এক কাপ পানিতে এক চা চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে কুলকুচি করলে ঘা কমে যাবে। এছাড়া বেকিং সোডার সঙ্গে সামান্য পানি মিশিয়ে একটা ঘন পেস্ট তৈরি করে নিতে পারেন। সেই পেস্ট ক্ষতস্থানে লাগিয়ে রাখলেও বেশ উপকার পেতে পারেন।
জেডএস/
লাইফস্টাইল
জুতো-মোজার দুর্গন্ধ দূর হবে যেভাবে
এসে গেছে বৃষ্টির দিন। দিনভর ঘ্যানঘ্যানে বৃষ্টিতে বাড়ি থেকে বের হওয়াই সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। বাড়ি থেকে বেরিয়েই কাকভেজাহয়ে অফিসে যাচ্ছে মানুষ। জুতো থেকে মোজা, সব ভিজে একেবারে চুপচুপে। সেই জুতো-মোজা পরেই সারাদিন কাটিয়ে দেয়া।
সবশেষে ঘরে পৌছে জুতো খুলতেই বিকট গন্ধ! এই পরিস্থিতির সম্মুখীন অনেকেই হচ্ছেন নিশ্চয়ই? এই সমস্যা দূর করতে ঘরোয়া কিছু টিপসে খুব সহজেই দূর করতে পারবেন জুতো, মোজার এই বাজে গন্ধ।
আসুন জেনে নেই তাহলে –
১. ছোট্ট একটি কাপড়ে অল্প পরিমাণ বেকিং সোডা নিয়ে ছোট পুটলি বানিয়ে মোজার মধ্যে রেখে দিন। দেখবেন মোজা থেকে দুর্গন্ধ দূর হবে।
২. ন্যাপথোলিন গুঁড়ো করে নিয়ে ট্যালকম পাউডারের সঙ্গে তা মিশিয়ে জুতোর মধ্যে ছড়িয়ে দিন। দেখবেন জুতোয় আর দুর্গন্ধ হচ্ছে না।
৩. বাড়িতে ফিরেই ভিজে জুতো ভালো করে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিন। তারপর জুতোর মধ্যে কিছু পরিমাণ বেকিং সোডা ছিটিয়ে দিন।
পরের দিন জুতোর ভিতর ভালো করে মুছে ফেলুন। দেখবেন গন্ধ দূর হয়েছে।
৪. জুতোর মধ্যে এক টুকরো ফেব্রিক সফটনার সিট রেখে দিন রাতে। পরদিন সেটি বের করে জুতো পরুন। বাজে গন্ধ একেবারে দূর হয়ে যাবে।
৫. বাড়িতে ফিরে জুতো ধুয়ে হেয়ার ড্রায়ার চালিয়ে হালকা শুকিয়ে নিন। এবার এক টুকরো কাপড় বা তুলো লবঙ্গ তেলে ভিজিয়ে জুতোর মধ্যে রেখে দিন সারারাত। জুতোর দুর্গন্ধ দূর হবে।
৬. ফুটন্ত জলে টি ব্যাগ ফেলে রাখুন ২ মিনিট। টি ব্যাগ ঠাণ্ডা হলে জুতোর মধ্যে রেখে দিন। এক ঘণ্টা পর তা সরিয়ে জুতোর ভেতরের অংশ ভাল করে মুছে নিন। দুর্গন্ধের পাশাপাশি দূর হবে তাতে থাকা ব্যাকটেরিয়াও।
জেডএস//
রেসিপি
ম্যাংগো পুডিং তৈরির রেসিপি
আমের সিজনে অনেকেই আমের পাল্প ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করেন। সেই ম্যাংগো পাল্প দিয়েই ম্যাংগো পুডিং বানানো যাবে। আর আমের সিজনে তো ফ্রেশ আমই ব্যবহার করতে পারবেন। ছোট বাচ্চাদের জন্য এটি বেশ হেলদি একটি ডেজার্ট আইটেম। মাত্র ৪টি উপাদান দিয়েই ইয়াম্মি ইয়াম্মি ম্যাংগো পুডিং বানিয়ে নেয়া যায়। চলুন দেরি না করে রেসিপিটি জেনে নেই এখনই।
উপকরণ
ঘন দুধ- ১ কাপ
চিনি- স্বাদ অনুযায়ী ( আমি হাফ কাপ দেই )
আম- ২টি
ডিম- ২টি
ম্যাংগো পুডিং তৈরির পুরো প্রণালী
১. প্রথমে আম ছোট ছোট করে কেটে নিন। দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করুন এবং ঠাণ্ডা করে নিন।
২. এবার ব্লেন্ডার জগে আম, চিনি, দুধ ও ডিম সবকিছু দিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিন।
৩) মিশ্রণটি মোটামুটি ঘন ও থকথকে হবে। যদি বেশি ঘন হয়ে যায়, লিকুইড দুধ মিশিয়ে নিতে হবে।
৪. এবার একটি স্টিলের টিফিন বক্সে পুডিংয়ের মিশ্রণ ঢেলে নিতে হবে।
৫. বড় সসপ্যানে পানি ফুটতে দিন। এবার একটি স্ট্যান্ড প্যানে সেট করে তার উপর স্টিলের টিফিন বক্সটি রাখুন।
৬. বাটির ঢাকনা ভালোভাবে আটকাবেন এবং পানি যেন ভেতরে না যেতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
৭. চুলার আঁচ মিডিয়াম রাখুন, ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করে চেক করুন পুডিং জমেছে কি না।
৮. পুডিং জমে গেলে চুলা নিভিয়ে দিন। এরপর রুম টেম্পারেচারে ঠাণ্ডা করে নিতে হবে।
ব্যস, আমের পুডিং বানানো হয় গেলো! চাইলে ফ্রিজে রেখে ম্যাংগো পুডিং ভালোভাবে সেট করে নিতে পারেন। সেট হয়ে গেলে টিফিন বক্স থেকে পুডিংটি একটি প্লেটে সাবধানে উল্টিয়ে ঢেলে নিন। এবার ছুরি দিয়ে পিস পিস করে কেটে সার্ভ করুন। আর এটি ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা খেতে কিন্তু বেশি মজা লাগে। সব উপকরণগুলো বাসাতে থাকলে আজই বানিয়ে নিন দারুন মজাদার ডেজার্টটি।
জেএইচ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন