ফুটবল
কোপায় দ্রুত ছড়াচ্ছে করোনা, আক্রান্ত ৮২
কোপা আমেরিকার উদ্বোধনী ম্যাচে স্বাগতিক ব্রাজিলের বিপক্ষে মাঠে নামার আগের দিন ভেনেজুয়েলার আট খেলায়াড়সহ ১২ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব ধরা পড়ে। ফলে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের আতঙ্ক সঙ্গী করেই যাত্রা শুরু করে ‘দক্ষিণ আমেরিকার বিশ্বকাপ’ খ্যাত এই টুর্নামেন্টটি। তারপর থেকে যতই দিন গড়িয়েছে ততই বেড়েছে সংক্রমণ। ব্রাজিলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেয়া তথ্যমতে সর্বশেষ আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮২তে।
শুক্রবার (১৮ জুন) সংস্থাটি জানায় আগের দিনের তুলনায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে আরও ১৬ জন খেলোয়াড়-কর্মকর্তা। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৬৬ থেকে ৮২তে দাঁড়িয়েছে। এক বিবৃতিতে ব্রাজিলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, শুক্রবার পর্যন্ত টুর্নামেন্টে অংশ নেয়া দেশগুলোর মধ্যে ৩৭ জন খেলোয়াড় ও ৪৫ জন কর্মকর্তা আক্রান্ত হয়েছেন করোনায়।
ব্রাজিলের চারটি শহর- রিও ডি জেনেরিও, ব্রাসিলিয়া, কুইয়াবা ও গোইয়ানা শহরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে কোপা আমেরিকার খেলা। এসব জায়গায় ব্যাপকহারে শনাক্ত হচ্ছে করোনাভাইরাস। স্বাভাবিকভাবেই এবারের আসর নিয়ে উদ্বেগ আরও বেড়েছে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর। বিশেষকরে জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকার পরও আক্রান্ত হওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে তাদের মধ্যে।
কোপা আমেরিকায় ‘এ’ গ্রুপে ব্রাজিলের সঙ্গে অংশ নিচ্ছে কলম্বিয়া, ভেনেজুয়েলা, ইকুয়েডর ও পেরু। ‘বি’ গ্রুপে থাকা দলগুলো হচ্ছে- আর্জেন্টিনা, বলিভিয়া, উরুগুয়ে, চিলি ও প্যারাগুয়ে। ১০ দলের এই টুর্নামেন্টের পাঁচটি দলে করোনা হানা দিয়েছে। এখন পর্যন্ত ভেনেজুয়েলা, কলম্বিয়া, বলিভিয়া, চিলি ও পেরু দলে ছোবল দিতে সক্ষম হয়েছে কোভিড-১৯।
বর্তমানে ব্রাজিলের করোনা পরিস্থিতি মোটেও ভালো যাচ্ছে না। দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোর মধ্যে তারা শীর্ষে এবং বিশ্বের হিসাবে দ্বিতীয়তে তাদের অবস্থান। ইতোমধ্যেই কোভিডে আক্রান্ত হয়ে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ মারা গেছে সেখানে।
কোপা আমেরিকা গত বছর আয়োজন করার কথা থাকলেও করোনাভাইরাসের কারণে এক বছর পর শুরু হয়েছে। প্রথমে কলম্বিয়া ও আর্জেন্টিনা ছিল যৌথ আয়োজক। কলম্বিয়ায় রাজনৈতিক অস্থিরতা ও আর্জেন্টিনায় প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় খুব অল্প সময়ের মধ্যে আয়োজনের ভার ব্রাজিলের ওপর ন্যস্ত করা হয়।
তখন থেকেই বিতর্ক চলছিল, ব্রাজিলে কোপা আমেরিকা আয়োজন ঠিক হচ্ছে কি না? কারণ, সেখানেও সংক্রমণ বেড়ে চলেছে। মৃতের সংখ্যা ৫ লাখের কাছাকাছি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে শুধু ব্রাজিলেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণে এত বেশি সংখ্যক মানুষ মারা গেছেন। শেষ পর্যন্ত আদালতে গড়ায় বিষয়টি। ব্রাজিলের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট কোপা আমেরিকা আয়োজনের অনুমতি দেয়। তাতে সব অনিশ্চয়তা দূর হয়।
এএ
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//