রাজশাহী
এবার বগুড়ায় ৭ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ
রাজশাহী, চাপাইনবাবগঞ্জ, নাটোরের পর এবার করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে বগুড়া পৌরসভাসহ সদর উপজেলায় ৭ দিনের লকডাউন বা কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে জেলা প্রশাসন।
আজ শনিবার (১৯ জুন) রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে এ কঠোর বিধিনিষেধ কার্যকর হবে বলে বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা প্রশাসক জিয়াউল হক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ কথা জানানো হয়।
আর এ লকডাউন বা কঠোর বিধিনিষেধ চলবে আগামি ২৬ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত।
জেলা প্রশাসনের থেকে আরোপ করা বিধিনিষেধগুলো হচ্ছে-
১। সব ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শপিংমল, মার্কেট, দোকান বন্ধ থাকবে। তবে ঔষধ, কাঁচাবাজার, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি, চিকিৎসাসেবা, মৃতদেহ দাফন/সৎকারের সঙ্গে জড়িত প্রতিষ্ঠান আওতাবহির্ভূত থাকবে।
২। খাবারের দোকান ও হোটেল-রেস্তোরাঁ সমূহ সকাল ৬ টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খাদ্য বিক্রয় ও সরবরাহ করতে পারবে।
৩। বিধি নিষেধ চলাকালীন বাসসহ কোন প্রকার যানবহন বগুড়া শহরে প্রবেশ করতে এবং বগুড়া শহর হতে বাইরে যেতে পারবে না, দূরপাল্লার যানবাহন শুধু হাইওয়ে ব্যবহার করবে এবং কঠোর বিধি নিষেধ আরোপিত এলাকায় সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে জরুরী সেবাদানকারী পরিবহন, রোগী পরিবহণকারী অ্যাম্বুলেন্স, স্বাস্থ্যসেবার সাথে সম্পর্কিত পরিবহণ ও ব্যক্তিবর্গ এবং কৃষিপণ্য/খাদ্যসামগ্রী পরিবহণ এ নিষেধাজ্ঞার আওতা বহির্ভূত থাকবে।
৪। জনসমাবেশ হয় এ ধরনের সামাজিক (বিবাহোত্তর অনুষ্ঠান, জন্মদিন, পিকনিক, পার্টি ইত্যাদি), রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানসহ সকল ধরনের গণজমায়েত বন্ধ থাকবে।
৫। বগুড়া শহরের সকল সাপ্তাহিক হাট বন্ধ থাকবে।
৬। সকল পর্যটন স্থল, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে ।
৭। সকল ধরনের চায়ের দোকান বন্ধ থাকবে এবং ফুটপাতে কোন প্রকার দোকান বসানো যাবে না।
৮। শিল্প-কারখানা সমূহ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ পূর্বক নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চালু থাকবে।৯। সরকারের রাজস্ব আদায়ের সাথে সম্পৃক্ত সকল দপ্তর/ সংস্থাসমূহ জরুরী পরিষেবা আওতাভুক্ত হবে।
১০। সকল ধরনের সরবরাহ ব্যবস্থাপনা সচল থাকবে ।
১১। স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে জুমার নামাজসহ প্রতি ওয়াক্ত নামাজের সামাজিক দূরত্ব মেনে মুসল্লিরা অংশগ্রহণ করতে পারবে। স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়েও সামাজিক দূরত্ব মেনে উপাসনা করা যাবে।
১২। বিধি নিষেধ অমান্য করলে সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন ২০১৮ শহর প্রচলিত অন্যান্য আইন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শেখ সোহান
রাজশাহী
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সকল প্রকার সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) দুপুরে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ বৈষম বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় দেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক বক্তব্য দেন এবং সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার আহ্বান ও জানান। যাতে কোন অপশক্তি আবারও দেশটাকে অস্থিতিশীল তৈরি করতে না পারে তারও আহ্বান জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, এডওয়ার্ড কলেজের উপাধ্যক্ষ আব্দুল আউয়াল, বাংলা বিভাগের শিক্ষক মাহবুব, এডওয়ার্ড কলেজের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক বরকাতুল্লাহ ফাহাদ,স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক সিরাজুল মনিরা,রাব্বি রুহান ও এম এইচ অনিক।
এএম/
অপরাধ
এনায়েতপুর থানায় হামলা, ১৩ পুলিশ সদস্য নিহত
সিরাগঞ্জের এনায়েতপুরে থানায় হামলা চালিয়ে ১৩ পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
রোববার (৪ আগস্ট) পুলিশ সদর দপ্তর এবং রাজশাহী বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি বিজয় বসাক গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো বার্তায় বলা হয়, সন্ত্রাসী হামলায় সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার ১৩ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। এছাড়া কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানায় হামলায় এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।
এদিকে, সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ কর্মসূচির প্রথম দিনে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সংঘর্ষে বিভিন্ন জেলায় ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন সহস্রাধিক।
এর মধ্যে নরসিংদীতে ৬ জন, রংপুরে ৫ জন, ফেনীতে ৫ জন, ঢাকায় ৪ জন, সিরাজগঞ্জে ৪ জন, পাবনায় ৩ জন, বগুড়ায় ৩ জন, কিশোরগঞ্জে ৩ জন, ভোলায় ৩ জন, লক্ষ্মীপুরে ৩ জন, মুন্সীগঞ্জে ৩ জন, মাগুরায় ২ জন, সিলেটে ২ জন, ঢাকার আশুলিয়ায় একজন, বরিশালে একজন, জয়পুরহাটে একজন ও কুমিল্লায় একজন মারা গেছেন।
দেশজুড়ে
রাজশাহীতে থানা ও ভূমি অফিসে হামলা-অগ্নিসংযোগ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চলমান অসহযোগ কর্মসূচিতে রাজশাহী নগরীর মোহনপুর থানা, আওয়ামী লীগের অফিস, ভূমি অফিস ও একটি মার্কেটে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
তেমন কোনো অপ্রিতিকর ঘটনা না থাকলেও জেলার মোহনপুরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আজ রোববার রোববার (৪ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মোহনপুর উপজেলা সদরে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে মোহরপুর পুরো উপজেলা নিয়ন্ত্রণ নেন। এসময় বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ চালায়। এতে ওই এলাকায় চরম আতঙ্ক দেখা যায়। পরে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মোহনপুর থানায় হামলা করার পর পাশেই উপজেলা ভুমি অফিসে হামলা চালায়। এসময় সহকারী কমিশনারের (ভুমি) গাড়ি ভাংচুর করা হয়। এছাড়াও ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় থানার সামনের মার্কেটেও। বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছে থানা পুলিশ।
আই/এ