অপরাধ
ফেসবুকে চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে বেকারদের সঙ্গে প্রতারণা, গ্রেপ্তার ৭
ফেসবুকে চটকদার ভুয়া বিজ্ঞাপন দিয়ে শত শত বেকার তরুণ-তরুণীদের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে আসছিল এক প্রতারক চক্র। খুলনায় অগ্নি নামে একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এ প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। ওই প্রতিষ্ঠানের নারীসহ ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
রোববার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে সদর দপ্তরে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন র্যাব-৬ খুলনার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো. সারোয়ার হোসেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- অগ্নি কোম্পানির মূলহোতা অভয়নগরের সৈয়দ তানভীর আহম্মেদ (৩১), খুলনার দিঘলিয়ার সাহাবুদ্দিন (৪০), ঝালকাঠি রাজাপুরের সোহেল (২৮), মোল্লারহাট হাড়িদাহের রেজাউল করিম (৩০), সাতক্ষীরা শ্যামনগর জাদরপুরের জাহিনুর ইসলাম (২০), নগরীর বয়রার জহিরুল ইসলাম (২০) ও ঝালকাঠির রাজাপুরের এক নারী সদস্য।
কমান্ডার মো. সারোয়ার জানান, গোয়েন্দা তৎপরতা এবং বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে র্যাব-৬ জানতে পারে খুলনা মহানগরীতে একটি প্রতারক চক্র ফেসবুকে চাকরির চটকদার বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে বেকার তরুণ-তরুণীকে ফাঁদে ফেলে তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে আসছিল। আভিযানিক দলটি গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে জানতে পারে প্রতারক চক্রটি বেশ কিছু তরুণ-তরুণীকে তাদের অফিসে আটকিয়ে রেখে জোরপূর্বক অর্থ আদায়ের চেষ্টা করছে। গত শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত ৮টায় র্যাব-৬ খুলনার একটি আভিযানিক দল খুলনার সোনাডাঙ্গা হাফিজনগর এলাকায় এন এইচ টাওয়ারের ৬ তলায় অবস্থিত অগ্নি কোম্পানি লিমিটেডের অফিসে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে প্রতারক চক্রের মূলহোতাসহ ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
একই সঙ্গে ভুক্তভোগীদেরও উদ্ধার করা হয়। তাদের দেয়া তথ্য এবং আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, চক্রটি তরুণ-তরুণীদরে চাকরি দেয়ার নাম করে তাদেরকে অফিসে ডেকে নানা ফাঁদে ফেলে টাকা আত্মসাৎ করতো এবং তাদেরকে অন্যদের ফাঁদে ফেলানোর কাজে বাধ্য করতো।
গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ১০টি মোবাইল ফোন, ৪টি ল্যাপটপ, ৪০টি ভর্তি ফরম, ৪৫টি অঙ্গীকার নামা, ১টি সিসি ক্যামেরার ডিভাইস, ৪টি রেজিস্টার, ৫৪ হাজার ২১০ টাকা উদ্ধার ও জব্দ করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা প্রতারণার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। জব্দ করা আলামত ও আসামিদেরকে খুলনার সোনাডাঙ্গা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলার কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
অপরাধ
রাজধানীতে বস্তা ভর্তি টাকাসহ একটি গাড়ি আটক করলেন শিক্ষার্থীরা
রাজধানীর উত্তরায় একটি প্রাইভেটকার থেকে এক বস্তা টাকাসহ একটি শটগান উদ্ধার করেছেন শিক্ষার্থীরা। এই ঘটনায় তিনজনকে হেফাজতে নিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
বুধবার (৭ আগস্ট) এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা গণমাধ্যমে জানান, রাজধানীর উত্তরার একটি বাসার গ্যারেজ থেকে গাড়িটি জব্দ করা হয়। এ সময় তিনজনকে হেফাজতে নেয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। পরে গাড়ি থেকে এক বস্তা টাকা উদ্ধার করে হেফাজতে নেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় স্থানীয় জনতা ও শিক্ষার্থীরা উল্লাস করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, আওয়ামী লীগ ঘরোয়ানার একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের এমডির গাড়ি থেকে এ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। গাড়ি থেকে এক বস্তা টাকাসহ একটি শটগান উদ্ধার করে উত্তরা টাউন কলেজের শিক্ষার্থীসহ অনান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এএম/
অপরাধ
কাশিমপুর কারাগার থেকে পালিয়েছে ২০৯ বন্দি, নিহত ৬
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২০৯ জন বন্দি পালিয়েছেন। পালিয়ে যাওয়ার সময় নিরাপত্তাকর্মীদের গুলিতে ছয়জন বন্দি নিহত হয়েছেন।
বুধবার (৭ আগস্ট) বিকেলে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান,গেলো মঙ্গলবার বিকেলে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্দিরা কারাগার ভেঙে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কারারক্ষীরা তাদের নিভৃত করার চেষ্টা করলে বন্দিরা কারারক্ষীদের ওপর চড়াও হয়। বন্দিদের কেউ দেয়াল ভেঙে, কেউ দেয়াল টপকে, আবার কেউ দেয়ালের সঙ্গে বিদ্যুতের পাইপ লাগিয়ে কারারক্ষীদের মারধর করে পালিয়ে যেতে চান।
একপর্যায়ে সেনাবাহিনীকে খবর দিলে তারা কমান্ডো অভিযান চালিয়ে বিদ্রোহ দমন করেন।এসময়ে বন্দিদের মধ্যে ২০৯ জন দেয়াল টপকে পালিয়ে গেছে।বন্দিদের ঠেকাতে নিরাপত্তাকর্মীদের গুলিতে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, নিহতদের নাম পরিচয় পরে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন সিনিয়র জেল সুপার।
আই/এ
অপরাধ
কাশিমপুর কারাগারে তীব্র উত্তেজনা, সেনাবাহিনীর শক্ত অবস্থান
গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে বন্দিরা মুক্তির দাবিতে উত্তেজনা শুরু করেছেন। কারারক্ষীদের জিম্মি করে অনেকে দলবদ্ধভাবে বের হয়ে আসার চেষ্টা করছেন। খবর পেয়ে সেনা সদস্যরা এসে প্রাথমিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দুপুরের দিকে এ পরিস্থিতি দেখা গেছে। এসময়ে ওই এলাকার আকাশে হেলিকপ্টার চক্কর দিতে দেখা যায়।
কারা কর্তৃপক্ষ জানান, কাশিমপুর কারা কমপ্লেক্সে পৃথক চারটি কারাগার রয়েছে। এর মধ্যে বিডিআর বিদ্রোহ মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি, ফাঁসি ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুর্ধর্ষ জঙ্গি বন্দিরা রয়েছে। এছাড়া রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার অনেক নেতাকর্মীও ওই কারাগারে রয়েছে।
জানা যায়, বেলা ১১টার দিকে কিছু বন্দি কারাগারের অভ্যন্তরে থাকা কারারক্ষীদের জিম্মি করে মুক্তির দাবিতে বিদ্রোহ শুরু করে। এসময়ে কারারক্ষীরা তাদের শান্ত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। আগে থেকেই সেখানে অল্প সংখ্যক সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেন। উত্তেজনা আরও বেড়ে গেলে দুপুর দেড়টার দিকে অতিরিক্ত সেনা সদস্য হেলিকপ্টার যোগে কারা অভ্যন্তরে এসে বন্দিদের নিয়ন্ত্রণ করেন।
প্রসঙ্গত, কারা অভ্যন্তরে বিদ্রোহের খবর পেয়ে বন্দিদের স্বজনরা সকাল থেকেই কারাগারের সামনে অবস্থান করেন। এ সময় তাদের সঙ্গে আন্দোলনকারীরা যোগ দিয়ে বিক্ষোভ করে। কারাগারের বাইরে একটি ঝুট গুদামে অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরে সেনা সদস্যরা বাইরের বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেন।
আই/এ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন