জাতীয়
বিশ্ব গণমাধ্যমে বাংলাদেশের মেট্রোরেল
নতুন দিগন্তের উন্মোচন হয়ে গেছে। নতুন ইতিহাস গড়লো কোটি বাঙালি। নগরে যুক্ত হয়েছে নতুন দিগন্ত।
যানজটে নাকাল রাজধানী ঢাকায় চালু হওয়া প্রথম মেট্রোরেল ঢাকাবাসীর মাঝে উৎসব আনন্দের বিরাজ করছে।
বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বহুল আকাঙ্ক্ষিত মেট্রোরেলের উদ্বোধন করেছেন।
বাংলাদেশের উন্নয়নের অন্যতম মাইলফলক এই মেট্রোরেলের উদ্বোধন নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রভাবশালী গণমাধ্যমে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে খবর প্রকাশ করা হয়েছে।
‘যানজটে-জর্জরিত রাজধানী ঢাকায় প্রথম মেট্রো লাইন চালু করল বাংলাদেশ’ শিরোনামে এক প্রতিবেদনে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি বলছে, বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় বুধবার প্রথম মেট্রোরেল লাইনের উদ্বোধন করা হয়েছে। স্থবির এই মেট্রোপলিটন শহরে যানজট হ্রাসের জন্য কাজ করছে কর্তৃপক্ষ। ঢাকার যানজটের কারণে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি থমকে যাওয়ার কথাও উল্লেখ করেছে এএফপি।
প্রতিবেদনে এএফপি বলছে, বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ শহরগুলোর একটি ঢাকা। শহরের ২ কোটি ২০ লাখ মানুষের প্রতিদিনের যাতায়াতে ক্রমাগত হতাশার কারণ গাড়িতে ঠাসা এর রাস্তা।
স্থানীয় গবেষকরা বলছেন, যানজটের কারণে প্রতিবছর ৩ বিলিয়ন ডলারের বেশি কাজের সময় ঢাকার রাস্তায় হারিয়ে যায়। আর প্রায়ই রাস্তায় দেখা দেওয়া বিক্ষোভ-প্রতিবাদ এবং বর্ষা মৌসুমের বৃষ্টি সেই পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করে তোলে।
নতুন এলিভেটেড ট্রেন নেটওয়ার্কটি প্রায় এক দশক ধরে নির্মাণ করা হচ্ছে। আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে এই মেট্রোরেলকে শতাধিক স্টেশন আর ছয় লাইনে উন্নীতকরণের কাজ শেষ হবে।
বুধবার ঢাকার একাংশকে শহরের কেন্দ্রের সাথে সংযোগ করে প্রথম লাইনটি চালু করা হয়েছে। এই মেট্রোরেল নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ২৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গও ঢাকার মেট্রোরেল উদ্বোধন নিয়ে একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বুধবার। এই প্রতিবেদনের শিরোনাম করা হয়েছে ‘প্রথম মেট্রোরেল পেল বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল শহরগুলোর একটি।’
ব্লুমবার্গ লিখেছে, বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় এখন প্রথম মেট্রোরেল রয়েছে। বিশ্বের অন্যতম যানজটপূর্ণ শহরটিতে মানুষের যাতায়াত সহজ করাই জাপানি অর্থায়নে পরিচালিত এই প্রকল্পের লক্ষ্য। বুধবার লাইন-৬ নামে পরিচিত ২০ কিলোমিটার রেল প্রকল্পের একাংশের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
‘এই প্রকল্পটি ঢাকায় বসবাসরত মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থায় অনেক পরিবর্তন আনবে। সঙ্গে হাসিনার সরকারের খুবই প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক ভাবমূর্তি বৃদ্ধি করবে। বাংলাদেশে ২০২৪ সালে সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। বর্তমানে হাসিনা ও তার দল রিজার্ভ কমে যাওয়া, মুদ্রাস্ফীতি এবং জ্বালানি সংকটের কারণে চাপে আছে।’
ঢাকাবাসীর বহুল আকাঙ্ক্ষিত মেট্রোরেলের উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘এটি বাংলাদেশের উন্নয়নের নতুন মাইলফলক।’
বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনের তথ্য উল্লেখ করে ব্লুমবার্গ লিখেছে, ‘৩০৫ বর্গ কিলোমিটারের শহর ঢাকায় ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষের বসবাস। ১০ বছর আগে ঢাকায় যানবাহনের গতি ছিল ঘণ্টায় ২১ কিলোমিটার। সেখান থেকে তা কমে হয়েছে ৭ কিলোমিটার। কমতে কমতে এটি ৪ কিলোমিটারে নেমে যেতে পারে। যা হাঁটার চেয়েও ধীরগতি।’
ঢাকার মেট্রোরেল নিয়ে বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়ার সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ মার্টিন রমা বলেছেন, ‘ঢাকার মতো শহরের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এক উন্নয়ন। আপনি যদি ভারতের বিভিন্ন শহরের দিকে তাকান দেখবেন মানুষের কাজে যাওয়ার যোগাযোগ পথে অনেক পরিবর্তন এসেছে। মেট্রোরেল যোগাযোগের নিরাপদ একটি বাহন। বিশেষ করে নারীদের জন্য। দক্ষিণ এশিয়ায় যা গতানুগতিক নয়।’
এএফপির প্রতিবেদন প্রকাশ করে ভারতের প্রভাবশালী দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়া লিখেছে, বিশ্বের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ শহর ঢাকায় প্রথম মেট্রোরেল চালু করা হয়েছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার এই মেট্রোরেল সেবার উদ্বোধন করেছেন।
ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতের আরেক সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। এই প্রতিবেদনে নতুন চালু করা মেট্রোরেল বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
সৌদি আরবের সংবাদমাধ্যম আল-আরাবিয়া বলছে, বিশ্বের অন্যতম যানজটপূর্ণ শহর ঢাকায় প্রথম মেট্রোরেল চালু করা হয়েছে। জাপানের অর্থায়নে বাংলাদেশের রাজধানীর যানজট নিরসনে নির্মিত মেট্রোরেলের একাংশ চালু করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই মেট্রোরেল চালুর পর প্রথম যাত্রী হিসেবে ভ্রমণও করেছেন।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বাংলা দৈনিক আনন্দবাজার ‘যানজট থেকে মুক্তি, ঢাকায় শুরু মেট্রো পরিষেবা, সবুজ পতাকা নেড়ে উদ্বোধন শেখ হাসিনার’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, ঢাকায় শুরু হয়ে গেল মেট্রোরেল পরিষেবা। সবুজ পতাকা নাড়িয়ে পরিষেবার সূচনা করলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বোনকে নিয়ে নিজে টিকিট কেটে চেপে বসলেন ট্রেনেও।
আনন্দবাজার লিখেছে, বুধবার স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৪০ মিনিট নাগাদ ঢাকার দিয়াবাড়ি (উত্তরা) স্টেশন থেকে সবুজ পতাকা নাড়িয়ে মেট্রো পরিষেবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। তার আগে বোন রেহানাকে নিয়ে কিনে ফেলেন দু’টি টিকিট। দিয়াবাড়ি স্টেশন থেকে মেট্রো ছুটবে আগারগাঁওয়ের দিকে। বোনকে সঙ্গে নিয়ে প্রথম সেই যাত্রার সওয়ারি হন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা।
এছাড়া বাংলাদেশের প্রথম মেট্রোরেল উদ্বোধনের খবর প্রকাশ করেছে সিঙ্গাপুরের ইংরেজি দৈনিক দ্য স্ট্রেইটস টাইমস, ভারতের বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড, পাকিস্তানের উর্দু পয়েন্টসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গণমাধ্যম।
জাতীয়
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানালেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা
শপথ নেয়ার পরের দিন ভাষা শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৩ জন উপদেষ্টা নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও অন্য উপদেষ্টারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
আই/এ
জাতীয়
উপদেষ্টা পরিষদকে অভিনন্দন জানালেন জাসদ
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস এবং অন্য উপদেষ্টাদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন
বৃহস্পতিবার ( ৮ আগস্ট ) রাতে দলের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান তারা।
বিবৃতিতে জানানো হয়, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর দেশে আর একটিও প্রাণহানি, হামলা ও সম্পদ ধ্বংসের ঘটনা যেন না ঘটে তা নিশ্চিত হবে।”
বিবৃতিতে আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতিসহ সংবিধানকে সমুন্নত রেখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির সাথে আলোচনা করে সরকারের কর্ম পরিকল্পনার রূপরেখা দ্রুত প্রকাশ করে বিদ্যমান অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা প্রশমিত করবেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক ও প্রধান কাজ হিসেবে অনতিবিলম্বে দেশে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
জাসদ নেতৃবৃন্দ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
জাসদ জোর দাবি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ববর্তী সরকারের পদত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ পেশাজীবী ও হিন্দু ও আহমদীয়াসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও হত্যা করা, মন্দিরসহ ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে ও নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে হামলা-হত্যা-নির্যাতন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ, সংসদ ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন-বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে হামলা, লুটপাট, জ্বালিয়ে ছারখার, দেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, সাত বীরশ্রেষ্ঠর ভাস্কর্যসহ ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ও ম্যুরাল ভেঙে ফেলা এবং কুমিল্লার বীরচন্দ্র পাঠাগার, সুনামগঞ্জের ঐতিহ্য জাদুঘর, কুড়িগ্রামের উত্তরবঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক শশীলজের ভেনাস ভাস্কর্য ভেঙে ফেলাসহ অগনিত শিল্পকর্ম ভেঙে ফেলার সব অপরাধ কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার।
জেডএস/
জাতীয়
তদবির থেকে বিরত থাকুন, দেশগঠনে পরামর্শ দিন : আসিফ মাহমুদ
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ১৭ সদস্যের অন্তবর্তীকালীন সরকার। এ উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন প্রতিনিধি। এদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ। তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার পর ঘনিষ্ঠজনদের নিজেদের সুবিধার জন্য কোনো আবদার কিংবা তদবির করতে বারণ করেছেন। বরং দেশগঠনে কোনো পরামর্শ থাকলে দেয়ার অনুরোধ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্ট করে এ অনুরোধ করেন।
পোস্টে এই তরুণ উপদেষ্টা লিখেছেন, ব্যক্তিগত লাভের আশায় আবদার, তদবির করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে আমার সাথে আপনার সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। দেশগঠনে পরামর্শ থাকলে জানাবেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ জনকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টাদের শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ঢাকার বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আযম, বিধান রঞ্জন রায় এবং সুপ্রদীপ চাকমা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্যান্য উপদেষ্টারা হলেন- ১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ২. ড. আসিফ নজরুল ৩. আদিলুর রহমান খান ৪. হাসান আরিফ ৫. তৌহিদ হোসেন ৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ৭. মো. নাহিদ ইসলাম ৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন ১০. সুপ্রদীপ চাকমা ১১. ফরিদা আখতার ১২. বিধান রঞ্জন রায় ১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান ১৪. নুরজাহান বেগম ১৫. শারমিন মুরশিদ ১৬. ফারুক-ই-আযম।
জেএইচ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন