লাইফস্টাইল
মাথার ত্বকে পুষ্টি জোগাতে হেয়ার সিরাম!
চুলের যত্নে তেল, শ্যাম্পু, কন্ডিশনার অতীত। চুল বা মাথার ত্বকের যত্নে এখন বর্তমান প্রজন্মের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সিরাম। কিন্তু চুলের যত্নে এত দিনের প্রাচীন জিনিসগুলি বাদ দিয়ে হঠাৎ এই সিরাম জনপ্রিয় হয়ে ওঠার কারণটাই বা কী?
বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমানে কাজের জন্য মেয়েদের ঘরের বাইরে যাওয়া আরও বেড়েছে। তাই যুগের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলা দূষণ থেকে চুল বা মাথার ত্বককে বাঁচাতে বিশেষ কিছু রাসায়নিক ব্যবহার করা আবশ্যিক। সবচেয়ে বড় কথা, এই সিরামগুলি প্রত্যেকের সমস্যা অনুযায়ী, বিশেষ সূত্র মেনে আলাদা করে তৈরি করা হয়। তাই মাথার ত্বক শুষ্ক বা অতিরিক্ত তৈলাক্ত হয়ে যাওয়া, খুশকি, চুল পড়ার মতো সমস্যায় এই সিরাম বিশেষ ভাবে কাজ করে।
চুলে যেভাবে সাহায্য করে সিরাম-
চুলের গোড়ায় গিয়ে কাজ করে
চুলের যে কোনও সমস্যা শুরু হয় তার গোড়া থেকে। তাই সমাধানও হওয়া উচিত সেখান থেকেই। আগে নানী দাদীরা বলতেন, চুলের গোড়ায় তেল দিতে। কারণ, চুলের গোড়ায় পুষ্টি জোগালেই সামগ্রিক ভাবে চুলের উন্নতি হবে।
চুলের জেল্লা বাড়িয়ে তোলে
শ্যাম্পু, কন্ডিশনার দেয়ার পরও চুলের সেই জেল্লা হারিয়ে গিয়েছে? চুল চকচকে করার জন্য দোকানে অনেক রকম প্রসাধনী পাওয়া যায়। তবে দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সেই প্রসাধনী কতটা ভাল, তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যায়। কিন্তু সিরাম ব্যবহার করলে এই সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া যায়। আলাদা করে আর কোনও প্রসাধনী ব্যবহার করার প্রয়োজন পড়ে না।
খুসকি নির্মূল করে
শীতকালে চুলের নানা রকম সমস্যার মধ্যে অন্যতম হল খুশকি। ঘর ও বাইরের নানা রকম টোটকা ব্যবহার করেও যখন কোনও লাভ হয় না, তখন সিরাম কিন্তু খুশকি নির্মূল করার নির্ভরযোগ্য একটি হাতিয়ার হতেই পারে। খুশকি দূর করার পাশাপাশি, মাথার ত্বকের অতিরিক্ত সেবাম ক্ষরণও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে সিরাম।
হেয়ার সিরাম ব্যবহারের নিয়ম
যদিও হেয়ার সিরাম লাগানো একদম সহজ, তবুও হেয়ার সিরাম প্রয়োগ করার একটি কৌশল আছে। হেয়ার সিরাম ব্যবহার করার জন্য আপনাকে নির্দিষ্ট কিছু ধাপ অনুসরণ করতে হবে। প্রথমত, একটি হালকা শ্যাম্পু দিয়ে আপনার চুল ধুয়ে নিতে হবে। এরপর নিয়ম করে কন্ডিশনার লাগিয়ে নিন। তারপর আবার চুল ধুয়ে নিন। এরপর আপনি চুল হালকা শুকিয়ে নিন। কিছুটা ভিজে ভাব যেন থাকে। তারপর হাতের তালুতে অল্প পরিমাণে সিরাম নিয়ে তা আলতোভাবে ভেজা চুলের উপরিভাগে লাগিয়ে দিবেন। চুলের গোড়ায় লাগানোর দরকার নেই। এখন চুল শুকানোর জন্য অপেক্ষা করুন। পরে এটি আর ধুয়ে ফেলারও প্রয়োজন নেই।
ঠিক কতটা হেয়ার সিরাম লাগালে ফল পাওয়া যাবে-
আমাদের অনেকের মধ্যেই এই ধারণা থাকে যে, বেশি পরিমাণে হেয়ার সিরাম লাগালেই হয়তো চুল বেশি ভালো রাখা সম্ভব। চুল একদম মসৃণ রাখা সম্ভব। চুল কোমল রাখা সম্ভব! কিন্তু না! এই ধারণা একদমই ভুল। বরং বেশি পরিমাণে হেয়ার সিরাম লাগালে আপনার চুলের ক্ষতিই হবে। আপনার চুলের দৈর্ঘ্য ও ঘনত্ব অনুযায়ী পরিমাণ মতো হেয়ার সিরাম নিতে হবে। সেরকম পরিমাণেই হেয়ার সিরাম আপনার হাতে নিন। এরপর আঙুলে নিয়ে চুলে লাগিয়ে নিন। তারপর হাতের সাহায্যেই সম্পূর্ণ হেয়ার সিরাম চুলে ভালো করে লাগিয়ে নিন। লম্বা চুল হলে ৫-৭ ড্রপ হেয়ার সিরাম লাগান। ছোট চুল হলে ২-৩ ড্রপের বেশি হেয়ার সিরাম লাগাবেন না। তাহলে চুল চিটচিটে হয়ে যাবে।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস
হেয়ার সিরাম ব্যবহার করার সময় সঠিক খাদ্য গ্রহণ করবেন। এটি সিরাম থেকে ভালো ফলাফল পেতে সাহায্য করে আর আপনিও পেয়ে যাবেন আপনার কাঙ্ক্ষিত চুল।
সিরাম ব্যবহার করার আগে হারবাল জাতীয় শ্যাম্পু বা আপনার পছন্দ মতো শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন। কেননা আপনি যদি রাসায়নিক উপাদানে তৈরি শ্যাম্পু ব্যবহার করেন তবে সিরামে থাকা এবং শ্যাম্পুতে থাকা উপাদানগুলো একে অপরের সাথে বিক্রিয়া করে আপনার চুলের উপর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে।
মাথার তালুতে কখনও সিরাম লাগাবেন না। আপনার মাথার ত্বক দ্বারা নিঃসৃত প্রাকৃতিক তেল আপনার চুলের গোড়ার যত্ন নেয়। তাই এই প্রাকৃতিক তেলের উপর সিরাম প্রয়োগ করায় আপনার চুল হবে স্ট্রেইট এবং গ্লেজি।
সব সময় ভেজা চুলে সিরাম অ্যাপ্লাই করবেন। এতে সমস্ত চুলে ভালোভাবে ছড়িয়ে যাবে।
পরামর্শ
মুখে ঘা দূর করতে মেনে চলুন ৫ উপায়
খাওয়া দাওয়ার সময় বা কথা বলার সময়ে মুখে ঘা হলে বেশ সমস্যায় পড়তে হয়। এই সমস্যা দীর্ঘদিন সহ্য না করাই উত্তম। এই সমস্যা কিন্তু একসময় মুখে আলসারেরও লক্ষণ হতে পারে। মুখের আলসারকে সামান্য ঘা ভেবে অবহেলা করলেই বিপদে পড়বেন। কোষ্ঠকাঠিন্য, হরমোন জনিত সমস্যার কারণে মুখের ভিতরে আলসার হতে পারে। অনেকে আবার ব্রেসেস পড়েন, তাঁদেরও মাঝেমাঝে এই সমস্যা হয়। শরীরে ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি, আয়রন, জিঙ্ক, ফোলেটের ঘাটতির কারণেও মুখের ঘা থেকে আলসার হতে পারে।
মুখে ঘা হলে কিছুদিনের জন্য ঝাল, টক জাতীয় খাবার এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। না হলে মুখে জ্বালা অনুভূত হবে। মুখে ঘা হলে মুক্তি পেতে পারেন ৫ উপায়ে ।
১) মুখের ঘা কমাতে হালকা গরম পানিতে সামান্য লবন মিশিয়ে কুলকুচি করুন। এতে আরাম পাবেন। দিনে তিন থেকে চার বার করলে ব্যথা ও ঘা দুটোই কমে আসবে।
২) ঘায়ের জায়গায় সামান্য মধু লাগিয়ে রাখতে পারেন, ভালো উপকার পাবেন। কয়েক ঘণ্টা অন্তর অন্তর মধু লাগালে সুফল পাবেন।
৩) ঘায়ের জায়গায় বিশুদ্ধ নারিকেল তেল লাগিয়ে রাখলেও বেশ আরাম পাবেন।
৪) যে কোনও ঘায়ের জন্য ভালো প্রাকৃতিক ঔষধ হতে পারে হলুদ। মুখে যে জায়গায় ঘা হয়েছে, সেই স্থানে হলুদ বাটা লাগিয়ে রাখতে পারেন। কিছু দিন ব্যবহার করলেই ঘায়ের তীব্র জ্বালা-যন্ত্রণা কমে আসবে।
৫) বেকিং সোডা ঘা সারাতে দারুণ উপকারী একটি জিনিস। এক কাপ পানিতে এক চা চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে কুলকুচি করলে ঘা কমে যাবে। এছাড়া বেকিং সোডার সঙ্গে সামান্য পানি মিশিয়ে একটা ঘন পেস্ট তৈরি করে নিতে পারেন। সেই পেস্ট ক্ষতস্থানে লাগিয়ে রাখলেও বেশ উপকার পেতে পারেন।
জেডএস/
লাইফস্টাইল
জুতো-মোজার দুর্গন্ধ দূর হবে যেভাবে
এসে গেছে বৃষ্টির দিন। দিনভর ঘ্যানঘ্যানে বৃষ্টিতে বাড়ি থেকে বের হওয়াই সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। বাড়ি থেকে বেরিয়েই কাকভেজাহয়ে অফিসে যাচ্ছে মানুষ। জুতো থেকে মোজা, সব ভিজে একেবারে চুপচুপে। সেই জুতো-মোজা পরেই সারাদিন কাটিয়ে দেয়া।
সবশেষে ঘরে পৌছে জুতো খুলতেই বিকট গন্ধ! এই পরিস্থিতির সম্মুখীন অনেকেই হচ্ছেন নিশ্চয়ই? এই সমস্যা দূর করতে ঘরোয়া কিছু টিপসে খুব সহজেই দূর করতে পারবেন জুতো, মোজার এই বাজে গন্ধ।
আসুন জেনে নেই তাহলে –
১. ছোট্ট একটি কাপড়ে অল্প পরিমাণ বেকিং সোডা নিয়ে ছোট পুটলি বানিয়ে মোজার মধ্যে রেখে দিন। দেখবেন মোজা থেকে দুর্গন্ধ দূর হবে।
২. ন্যাপথোলিন গুঁড়ো করে নিয়ে ট্যালকম পাউডারের সঙ্গে তা মিশিয়ে জুতোর মধ্যে ছড়িয়ে দিন। দেখবেন জুতোয় আর দুর্গন্ধ হচ্ছে না।
৩. বাড়িতে ফিরেই ভিজে জুতো ভালো করে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিন। তারপর জুতোর মধ্যে কিছু পরিমাণ বেকিং সোডা ছিটিয়ে দিন।
পরের দিন জুতোর ভিতর ভালো করে মুছে ফেলুন। দেখবেন গন্ধ দূর হয়েছে।
৪. জুতোর মধ্যে এক টুকরো ফেব্রিক সফটনার সিট রেখে দিন রাতে। পরদিন সেটি বের করে জুতো পরুন। বাজে গন্ধ একেবারে দূর হয়ে যাবে।
৫. বাড়িতে ফিরে জুতো ধুয়ে হেয়ার ড্রায়ার চালিয়ে হালকা শুকিয়ে নিন। এবার এক টুকরো কাপড় বা তুলো লবঙ্গ তেলে ভিজিয়ে জুতোর মধ্যে রেখে দিন সারারাত। জুতোর দুর্গন্ধ দূর হবে।
৬. ফুটন্ত জলে টি ব্যাগ ফেলে রাখুন ২ মিনিট। টি ব্যাগ ঠাণ্ডা হলে জুতোর মধ্যে রেখে দিন। এক ঘণ্টা পর তা সরিয়ে জুতোর ভেতরের অংশ ভাল করে মুছে নিন। দুর্গন্ধের পাশাপাশি দূর হবে তাতে থাকা ব্যাকটেরিয়াও।
জেডএস//
রেসিপি
ম্যাংগো পুডিং তৈরির রেসিপি
আমের সিজনে অনেকেই আমের পাল্প ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করেন। সেই ম্যাংগো পাল্প দিয়েই ম্যাংগো পুডিং বানানো যাবে। আর আমের সিজনে তো ফ্রেশ আমই ব্যবহার করতে পারবেন। ছোট বাচ্চাদের জন্য এটি বেশ হেলদি একটি ডেজার্ট আইটেম। মাত্র ৪টি উপাদান দিয়েই ইয়াম্মি ইয়াম্মি ম্যাংগো পুডিং বানিয়ে নেয়া যায়। চলুন দেরি না করে রেসিপিটি জেনে নেই এখনই।
উপকরণ
ঘন দুধ- ১ কাপ
চিনি- স্বাদ অনুযায়ী ( আমি হাফ কাপ দেই )
আম- ২টি
ডিম- ২টি
ম্যাংগো পুডিং তৈরির পুরো প্রণালী
১. প্রথমে আম ছোট ছোট করে কেটে নিন। দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করুন এবং ঠাণ্ডা করে নিন।
২. এবার ব্লেন্ডার জগে আম, চিনি, দুধ ও ডিম সবকিছু দিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিন।
৩) মিশ্রণটি মোটামুটি ঘন ও থকথকে হবে। যদি বেশি ঘন হয়ে যায়, লিকুইড দুধ মিশিয়ে নিতে হবে।
৪. এবার একটি স্টিলের টিফিন বক্সে পুডিংয়ের মিশ্রণ ঢেলে নিতে হবে।
৫. বড় সসপ্যানে পানি ফুটতে দিন। এবার একটি স্ট্যান্ড প্যানে সেট করে তার উপর স্টিলের টিফিন বক্সটি রাখুন।
৬. বাটির ঢাকনা ভালোভাবে আটকাবেন এবং পানি যেন ভেতরে না যেতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
৭. চুলার আঁচ মিডিয়াম রাখুন, ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করে চেক করুন পুডিং জমেছে কি না।
৮. পুডিং জমে গেলে চুলা নিভিয়ে দিন। এরপর রুম টেম্পারেচারে ঠাণ্ডা করে নিতে হবে।
ব্যস, আমের পুডিং বানানো হয় গেলো! চাইলে ফ্রিজে রেখে ম্যাংগো পুডিং ভালোভাবে সেট করে নিতে পারেন। সেট হয়ে গেলে টিফিন বক্স থেকে পুডিংটি একটি প্লেটে সাবধানে উল্টিয়ে ঢেলে নিন। এবার ছুরি দিয়ে পিস পিস করে কেটে সার্ভ করুন। আর এটি ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা খেতে কিন্তু বেশি মজা লাগে। সব উপকরণগুলো বাসাতে থাকলে আজই বানিয়ে নিন দারুন মজাদার ডেজার্টটি।
জেএইচ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন