লাইফস্টাইল
নতুন বছরে ধূমপান ছাড়ার কার্যকরী তিনটি পন্থা
ধূমপান ছাড়বেন, এ কথা ভাবতে ভাবতেই বছর ঘুরে চলো এলা নতুন আরো একটি বছর। কিন্তু শত চেষ্টা করেও এই নেশা থেকে বেরিয়ে আসতে পারছেন না?
সিনেমা হলে ছবি শুরু হওয়ার আগে ধূমপান সম্পর্কে যতই বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ থাকুক না কেন, এই নেশা থেকে মুখ ফিরিয়ে থাকা অনেকের পক্ষেই অসম্ভব। যদিও ধূমপানের প্রভাবে যে শরীরের কী পরিমাণ ক্ষতি হয়, সে সম্পর্কে কম-বেশি সকলেই জানেন।
ধূমপানের ফলে বিশ্ব জুড়ে প্রায় সত্তর লক্ষ মানুষ প্রাণ হারান। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র পরিসংখ্যান বলছে, মৃতদের মধ্যে ৮০ শতাংশই প্রাণ হারান চিকিৎসার অভাবে।
চিকিৎসকদের মতে, ফুসফুস ছাড়াও স্তন, মাথা, ঘাড়, মলাশয় এবং জরায়ুর ক্যানসারের জন্য প্রত্যক্ষ ভাবে দায়ী ধূমপান। এ ছাড়াও ফুসফুসের স্থায়ী সমস্যা সিওপিডি-র মূলেও রয়েছে এই মারণ নেশা। যারা ধূমপান করেন না, অথচ ধূমপায়ীদের আশপাশে থাকেন, তারাও এর ক্ষতিকর প্রভাব এড়িয়ে যেতে পারেন না।
বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘ দিন ধরে ধূমপান করছেন যারা, তাদের পক্ষে এক দিনেই হঠাৎ এই নেশা ছেড়ে দেওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু ইচ্ছা থাকলে পরিমাণে কমিয়ে ফেলা সম্ভব। তাই যারা স্বাস্থ্য সচেতন, তারা এই নেশা থেকে মুক্তির জন্য চিকিৎসকের সাহায্য পর্যন্ত নিয়ে থাকেন।
চিকিৎসকের কাছে না গিয়েও ধূমপান ছাড়ার রয়েছে কিছু ঘরোয়া উপায়-
অ্যাপের সাহায্য নিন
স্মার্ট ফোনের যুগে এখন অর্ধেকের বেশি মানুষেরই অ্যাপ নির্ভর জীবন। ধূমপান ছাড়তে সহায়তা করবে এমন বহু অ্যাপ আছে। ধূমপানের ইচ্ছা হলেই অ্যাপ খুলে যোগ দেয়া যায় নানা রকম কার্যকলাপে।
ফোনে ওই বিশেষ অ্যাপগুলি থাকলে ধূমপায়ীদের উদ্দেশে নানা রকম ইতিবাচক বার্তাও দিয়ে থাকে তারা। শুধু তা-ই নয়, এই নেশা থেকে মুক্তি চান এমন অনেককে নিয়ে সেখানে তৈরি হয় সংগঠন। তারাও একে অপরকে এই নেশা থেকে বেরিয়ে আসতে উদ্বুদ্ধ করে।
নিকোটিন প্রতিস্থাপন
বিশেষজ্ঞদের মতে, ধূমপান ছাড়ার জন্য এটিই হল সব চেয়ে নির্ভরযোগ্য পন্থা। নেশা ছাড়তে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই শরীরে নিকোটিন প্যাচ, চুইংগাম বা লজেন্স ব্যবহার করা যায়। এগুলি ধূমপান ছাড়ার ক্ষেত্রে অনেক অংশেই কার্যকর।
ধূমপান করার ঝোঁক
অনেকেই মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ধূমপান করেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি ধূমপান করার কারণটিকেই সরিয়ে ফেলা যায়, অর্থাৎ, মানসিক চাপ কমিয়ে ফেলা যায়, তা হলে ধূমপান করার ইচ্ছাও কমে যেতে পারে।
পরামর্শ
মুখে ঘা দূর করতে মেনে চলুন ৫ উপায়
খাওয়া দাওয়ার সময় বা কথা বলার সময়ে মুখে ঘা হলে বেশ সমস্যায় পড়তে হয়। এই সমস্যা দীর্ঘদিন সহ্য না করাই উত্তম। এই সমস্যা কিন্তু একসময় মুখে আলসারেরও লক্ষণ হতে পারে। মুখের আলসারকে সামান্য ঘা ভেবে অবহেলা করলেই বিপদে পড়বেন। কোষ্ঠকাঠিন্য, হরমোন জনিত সমস্যার কারণে মুখের ভিতরে আলসার হতে পারে। অনেকে আবার ব্রেসেস পড়েন, তাঁদেরও মাঝেমাঝে এই সমস্যা হয়। শরীরে ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি, আয়রন, জিঙ্ক, ফোলেটের ঘাটতির কারণেও মুখের ঘা থেকে আলসার হতে পারে।
মুখে ঘা হলে কিছুদিনের জন্য ঝাল, টক জাতীয় খাবার এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। না হলে মুখে জ্বালা অনুভূত হবে। মুখে ঘা হলে মুক্তি পেতে পারেন ৫ উপায়ে ।
১) মুখের ঘা কমাতে হালকা গরম পানিতে সামান্য লবন মিশিয়ে কুলকুচি করুন। এতে আরাম পাবেন। দিনে তিন থেকে চার বার করলে ব্যথা ও ঘা দুটোই কমে আসবে।
২) ঘায়ের জায়গায় সামান্য মধু লাগিয়ে রাখতে পারেন, ভালো উপকার পাবেন। কয়েক ঘণ্টা অন্তর অন্তর মধু লাগালে সুফল পাবেন।
৩) ঘায়ের জায়গায় বিশুদ্ধ নারিকেল তেল লাগিয়ে রাখলেও বেশ আরাম পাবেন।
৪) যে কোনও ঘায়ের জন্য ভালো প্রাকৃতিক ঔষধ হতে পারে হলুদ। মুখে যে জায়গায় ঘা হয়েছে, সেই স্থানে হলুদ বাটা লাগিয়ে রাখতে পারেন। কিছু দিন ব্যবহার করলেই ঘায়ের তীব্র জ্বালা-যন্ত্রণা কমে আসবে।
৫) বেকিং সোডা ঘা সারাতে দারুণ উপকারী একটি জিনিস। এক কাপ পানিতে এক চা চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে কুলকুচি করলে ঘা কমে যাবে। এছাড়া বেকিং সোডার সঙ্গে সামান্য পানি মিশিয়ে একটা ঘন পেস্ট তৈরি করে নিতে পারেন। সেই পেস্ট ক্ষতস্থানে লাগিয়ে রাখলেও বেশ উপকার পেতে পারেন।
জেডএস/
লাইফস্টাইল
জুতো-মোজার দুর্গন্ধ দূর হবে যেভাবে
এসে গেছে বৃষ্টির দিন। দিনভর ঘ্যানঘ্যানে বৃষ্টিতে বাড়ি থেকে বের হওয়াই সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। বাড়ি থেকে বেরিয়েই কাকভেজাহয়ে অফিসে যাচ্ছে মানুষ। জুতো থেকে মোজা, সব ভিজে একেবারে চুপচুপে। সেই জুতো-মোজা পরেই সারাদিন কাটিয়ে দেয়া।
সবশেষে ঘরে পৌছে জুতো খুলতেই বিকট গন্ধ! এই পরিস্থিতির সম্মুখীন অনেকেই হচ্ছেন নিশ্চয়ই? এই সমস্যা দূর করতে ঘরোয়া কিছু টিপসে খুব সহজেই দূর করতে পারবেন জুতো, মোজার এই বাজে গন্ধ।
আসুন জেনে নেই তাহলে –
১. ছোট্ট একটি কাপড়ে অল্প পরিমাণ বেকিং সোডা নিয়ে ছোট পুটলি বানিয়ে মোজার মধ্যে রেখে দিন। দেখবেন মোজা থেকে দুর্গন্ধ দূর হবে।
২. ন্যাপথোলিন গুঁড়ো করে নিয়ে ট্যালকম পাউডারের সঙ্গে তা মিশিয়ে জুতোর মধ্যে ছড়িয়ে দিন। দেখবেন জুতোয় আর দুর্গন্ধ হচ্ছে না।
৩. বাড়িতে ফিরেই ভিজে জুতো ভালো করে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিন। তারপর জুতোর মধ্যে কিছু পরিমাণ বেকিং সোডা ছিটিয়ে দিন।
পরের দিন জুতোর ভিতর ভালো করে মুছে ফেলুন। দেখবেন গন্ধ দূর হয়েছে।
৪. জুতোর মধ্যে এক টুকরো ফেব্রিক সফটনার সিট রেখে দিন রাতে। পরদিন সেটি বের করে জুতো পরুন। বাজে গন্ধ একেবারে দূর হয়ে যাবে।
৫. বাড়িতে ফিরে জুতো ধুয়ে হেয়ার ড্রায়ার চালিয়ে হালকা শুকিয়ে নিন। এবার এক টুকরো কাপড় বা তুলো লবঙ্গ তেলে ভিজিয়ে জুতোর মধ্যে রেখে দিন সারারাত। জুতোর দুর্গন্ধ দূর হবে।
৬. ফুটন্ত জলে টি ব্যাগ ফেলে রাখুন ২ মিনিট। টি ব্যাগ ঠাণ্ডা হলে জুতোর মধ্যে রেখে দিন। এক ঘণ্টা পর তা সরিয়ে জুতোর ভেতরের অংশ ভাল করে মুছে নিন। দুর্গন্ধের পাশাপাশি দূর হবে তাতে থাকা ব্যাকটেরিয়াও।
জেডএস//
রেসিপি
ম্যাংগো পুডিং তৈরির রেসিপি
আমের সিজনে অনেকেই আমের পাল্প ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করেন। সেই ম্যাংগো পাল্প দিয়েই ম্যাংগো পুডিং বানানো যাবে। আর আমের সিজনে তো ফ্রেশ আমই ব্যবহার করতে পারবেন। ছোট বাচ্চাদের জন্য এটি বেশ হেলদি একটি ডেজার্ট আইটেম। মাত্র ৪টি উপাদান দিয়েই ইয়াম্মি ইয়াম্মি ম্যাংগো পুডিং বানিয়ে নেয়া যায়। চলুন দেরি না করে রেসিপিটি জেনে নেই এখনই।
উপকরণ
ঘন দুধ- ১ কাপ
চিনি- স্বাদ অনুযায়ী ( আমি হাফ কাপ দেই )
আম- ২টি
ডিম- ২টি
ম্যাংগো পুডিং তৈরির পুরো প্রণালী
১. প্রথমে আম ছোট ছোট করে কেটে নিন। দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করুন এবং ঠাণ্ডা করে নিন।
২. এবার ব্লেন্ডার জগে আম, চিনি, দুধ ও ডিম সবকিছু দিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিন।
৩) মিশ্রণটি মোটামুটি ঘন ও থকথকে হবে। যদি বেশি ঘন হয়ে যায়, লিকুইড দুধ মিশিয়ে নিতে হবে।
৪. এবার একটি স্টিলের টিফিন বক্সে পুডিংয়ের মিশ্রণ ঢেলে নিতে হবে।
৫. বড় সসপ্যানে পানি ফুটতে দিন। এবার একটি স্ট্যান্ড প্যানে সেট করে তার উপর স্টিলের টিফিন বক্সটি রাখুন।
৬. বাটির ঢাকনা ভালোভাবে আটকাবেন এবং পানি যেন ভেতরে না যেতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
৭. চুলার আঁচ মিডিয়াম রাখুন, ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করে চেক করুন পুডিং জমেছে কি না।
৮. পুডিং জমে গেলে চুলা নিভিয়ে দিন। এরপর রুম টেম্পারেচারে ঠাণ্ডা করে নিতে হবে।
ব্যস, আমের পুডিং বানানো হয় গেলো! চাইলে ফ্রিজে রেখে ম্যাংগো পুডিং ভালোভাবে সেট করে নিতে পারেন। সেট হয়ে গেলে টিফিন বক্স থেকে পুডিংটি একটি প্লেটে সাবধানে উল্টিয়ে ঢেলে নিন। এবার ছুরি দিয়ে পিস পিস করে কেটে সার্ভ করুন। আর এটি ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা খেতে কিন্তু বেশি মজা লাগে। সব উপকরণগুলো বাসাতে থাকলে আজই বানিয়ে নিন দারুন মজাদার ডেজার্টটি।
জেএইচ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন