লাইফস্টাইল
নবাগত শিশুকে দেখতে গেলে জানতে হবে যা কিছু…
নবাগত শিশুর প্রতি ভালোবাসা অনুভব করা খুবই স্বাভাবিক। মন ভালো খারাপ যেমনই থাকুক না কেন নতুন একটা শিশুকে দেখলে সকলেরই অন্তরটা প্রশান্ত হয়ে যায়। নবাগতকে দেখলে কার না আদর করতে মন চায়? তুলতুলে বাবুটাকে কোলে নিয়ে আদর করতে সবারই তো ভাল লাগার কথা। তবে সেই ক্ষেত্রে মাঝে মাঝে আমরা বুঝে না বুঝে কিছু ভুল করে বসি। সেগুলো হয়তো তার মা-বাবা’র কাছে বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই নবাগত শিশুকে দেখতে যাওয়ার সময় যে বিষয় গুলো অবশ্যই মাথায় রাখাটা জরুরি তা হল-
ছোট্ট একটি ফোনকল
নতুন শিশু বাসায় আসার পর মা-বাবাসহ পরিবারের সবার ওপর দিয়ে বেশ বড় একটা ধকল যায়। রাত-দিনের কোনো হিসাব থাকে না তখন। এই হঠাৎ পরিবর্তনে সময় লাগে কিছুটা। এর মধ্যে হুট করে না জানিয়ে অতিথি হয়ে উপস্থিত না হওয়াই ভালো। ফোন করে কোন সময়টিতে গেলে তাদের জন্য ভালো হয়, জিজ্ঞেস করে নিন। চেষ্টা করুন সে সময়েই যাওয়ার।
খাবার নিয়ে যান
নতুন অতিথিকে দেখতে যাওয়ার সময় প্রয়োজনীয় খাবার নিয়ে যেতে পারেন। বাড়িতে সাহায্যকারী না থাকলে নতুন মায়ের জন্য এটাই বোধ হয় সবচেয়ে বড় উপহার। প্রথম কয়েক সপ্তাহ বাড়িতে খাবার থাকলে নতুন মাকে রান্নাবান্না নিয়ে চিন্তা করতে হবে না।
দূরে থাকুন
নতুন শিশু দেখতে গিয়ে মা অথবা বাবার অনুমতি নিয়েই বাচ্চাকে কোলে নিন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো, আপনি অসুস্থ থাকলে শিশুকে দেখতে না যাওয়াই ভালো। অনেকে ঠান্ডা নিয়ে বাচ্চাকে কোলে নেন। আপনার ঠান্ডা থেকেই শিশুর ঠান্ডা লেগে যেতে পারে।
সাহায্যকারী হন
নতুন মা’কে সাহায্য করার চেষ্টা করুন। শিশুকে নিজের কাছে রাখুন যাতে মা ঘুমাতে পারে বা গোসল করতে পারে। গৃহস্থালির কাজে সাহায্য করুন।
হাত ধুয়ে নিন
শিশুকে কোলে নেয়ার আগে অবশ্যই হাত ধুয়ে নেবেন। অনেক সময় মা-বাবা লজ্জার কারণে বলতে পারেন না। ভাবেন, অতিথি মন খারাপ করবেন। এটা আপনার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে, হাত-মুখ পরিষ্কার করে নিয়ে বাচ্চা কোলে নেবেন। হ্যান্ড স্যানিটাইজারও ব্যবহার করতে পারেন।
নেতিবাচক কথা থেকে বিরত থাকুন
ছেলে হলে ভালো হতো না মেয়ে হলে ভালো হতো, গায়ের রং কালো না ফরসা, চুল কম না বেশি—এসব বিষয় নিয়ে কোনো রকম নেতিবাচক কথা বলবেন না। নাম পছন্দ না হলেও বলুন, নামটা সুন্দর। অনেক মা আছেন, যারা সন্তান হওয়ার সময় বেশ মোটা হয়ে যান। অতিথি যতই কাছের লোক হোন না কেন, এ বিষয়টি মাকে মনে করিয়ে না দিলেও হবে। মা-বাবার মন খারাপ হয়ে যাবে, এমন কোনো কথা না বলাই ভালো।
উপদেশ নয়
আপনার সন্তান হওয়ার যে অভিজ্ঞতা, আরেকজনের বেলায় তেমনটা না-ও হতে পারে। নতুন মা-বাবা জানতে না চাইলে কোনো ধরনের উপদেশ দেবেন না। এতে অনেক সময় বিরক্ত হয়ে যান তারা।
বিশ্রাম করতে দিন মা’কে
নবাগত শিশুকে দেখতে গিয়ে বেশিক্ষণ না থাকাই ভালো। মা ও সন্তানকে বিশ্রাম করতে দিন। আপনি যত নিকটাত্মীয়ই হোন না কেন, মা যখন সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়াবেন, সেখান থেকে সরে আসুন। মা অনুমতি দিলে থাকতে পারেন। তবে বুকের দুধ কীভাবে খাওয়াবেন, বাচ্চা দুধ পাচ্ছে কি না—এ নিয়ে বেশি কথা না বলাই ভালো।
এক ঝলকে কিছু টিপস্
ছোট্ট নতুন অতিথিকে কোলে নেয়ার আগে অবশ্যই আপনার হাত ধুয়ে নিন।
কোলে নেয়ার ক্ষেত্রে হাত এবং বাহু উভয় ব্যবহার করুন।
আপনি যদি কোনও ধরণের গয়না পরেন তবে এটি খুলে রাখুন, গয়না দিয়েও আঘাত পেতে পারে শিশুটি।
আপনার চুল শিশুর নাগালের বাইরে রাখুন।
শিশুকে চুম্বন করবেন না। মুখে প্রচুর জীবাণু থাকে।
যদি শিশুটি কাঁদতে শুরু করে তবে তাকে তার মা’র কাছে দিয়ে দিন।
জিজ্ঞাসা না করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি পোস্ট করবেন না।
আপনার ফোনটি সাইলেন্ট করে ঘরে ঢুকুন। একটি কল বা ম্যাসেজের শব্দ শিশুর ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।
পরামর্শ
মুখে ঘা দূর করতে মেনে চলুন ৫ উপায়
খাওয়া দাওয়ার সময় বা কথা বলার সময়ে মুখে ঘা হলে বেশ সমস্যায় পড়তে হয়। এই সমস্যা দীর্ঘদিন সহ্য না করাই উত্তম। এই সমস্যা কিন্তু একসময় মুখে আলসারেরও লক্ষণ হতে পারে। মুখের আলসারকে সামান্য ঘা ভেবে অবহেলা করলেই বিপদে পড়বেন। কোষ্ঠকাঠিন্য, হরমোন জনিত সমস্যার কারণে মুখের ভিতরে আলসার হতে পারে। অনেকে আবার ব্রেসেস পড়েন, তাঁদেরও মাঝেমাঝে এই সমস্যা হয়। শরীরে ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি, আয়রন, জিঙ্ক, ফোলেটের ঘাটতির কারণেও মুখের ঘা থেকে আলসার হতে পারে।
মুখে ঘা হলে কিছুদিনের জন্য ঝাল, টক জাতীয় খাবার এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। না হলে মুখে জ্বালা অনুভূত হবে। মুখে ঘা হলে মুক্তি পেতে পারেন ৫ উপায়ে ।
১) মুখের ঘা কমাতে হালকা গরম পানিতে সামান্য লবন মিশিয়ে কুলকুচি করুন। এতে আরাম পাবেন। দিনে তিন থেকে চার বার করলে ব্যথা ও ঘা দুটোই কমে আসবে।
২) ঘায়ের জায়গায় সামান্য মধু লাগিয়ে রাখতে পারেন, ভালো উপকার পাবেন। কয়েক ঘণ্টা অন্তর অন্তর মধু লাগালে সুফল পাবেন।
৩) ঘায়ের জায়গায় বিশুদ্ধ নারিকেল তেল লাগিয়ে রাখলেও বেশ আরাম পাবেন।
৪) যে কোনও ঘায়ের জন্য ভালো প্রাকৃতিক ঔষধ হতে পারে হলুদ। মুখে যে জায়গায় ঘা হয়েছে, সেই স্থানে হলুদ বাটা লাগিয়ে রাখতে পারেন। কিছু দিন ব্যবহার করলেই ঘায়ের তীব্র জ্বালা-যন্ত্রণা কমে আসবে।
৫) বেকিং সোডা ঘা সারাতে দারুণ উপকারী একটি জিনিস। এক কাপ পানিতে এক চা চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে কুলকুচি করলে ঘা কমে যাবে। এছাড়া বেকিং সোডার সঙ্গে সামান্য পানি মিশিয়ে একটা ঘন পেস্ট তৈরি করে নিতে পারেন। সেই পেস্ট ক্ষতস্থানে লাগিয়ে রাখলেও বেশ উপকার পেতে পারেন।
জেডএস/
লাইফস্টাইল
জুতো-মোজার দুর্গন্ধ দূর হবে যেভাবে
এসে গেছে বৃষ্টির দিন। দিনভর ঘ্যানঘ্যানে বৃষ্টিতে বাড়ি থেকে বের হওয়াই সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। বাড়ি থেকে বেরিয়েই কাকভেজাহয়ে অফিসে যাচ্ছে মানুষ। জুতো থেকে মোজা, সব ভিজে একেবারে চুপচুপে। সেই জুতো-মোজা পরেই সারাদিন কাটিয়ে দেয়া।
সবশেষে ঘরে পৌছে জুতো খুলতেই বিকট গন্ধ! এই পরিস্থিতির সম্মুখীন অনেকেই হচ্ছেন নিশ্চয়ই? এই সমস্যা দূর করতে ঘরোয়া কিছু টিপসে খুব সহজেই দূর করতে পারবেন জুতো, মোজার এই বাজে গন্ধ।
আসুন জেনে নেই তাহলে –
১. ছোট্ট একটি কাপড়ে অল্প পরিমাণ বেকিং সোডা নিয়ে ছোট পুটলি বানিয়ে মোজার মধ্যে রেখে দিন। দেখবেন মোজা থেকে দুর্গন্ধ দূর হবে।
২. ন্যাপথোলিন গুঁড়ো করে নিয়ে ট্যালকম পাউডারের সঙ্গে তা মিশিয়ে জুতোর মধ্যে ছড়িয়ে দিন। দেখবেন জুতোয় আর দুর্গন্ধ হচ্ছে না।
৩. বাড়িতে ফিরেই ভিজে জুতো ভালো করে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিন। তারপর জুতোর মধ্যে কিছু পরিমাণ বেকিং সোডা ছিটিয়ে দিন।
পরের দিন জুতোর ভিতর ভালো করে মুছে ফেলুন। দেখবেন গন্ধ দূর হয়েছে।
৪. জুতোর মধ্যে এক টুকরো ফেব্রিক সফটনার সিট রেখে দিন রাতে। পরদিন সেটি বের করে জুতো পরুন। বাজে গন্ধ একেবারে দূর হয়ে যাবে।
৫. বাড়িতে ফিরে জুতো ধুয়ে হেয়ার ড্রায়ার চালিয়ে হালকা শুকিয়ে নিন। এবার এক টুকরো কাপড় বা তুলো লবঙ্গ তেলে ভিজিয়ে জুতোর মধ্যে রেখে দিন সারারাত। জুতোর দুর্গন্ধ দূর হবে।
৬. ফুটন্ত জলে টি ব্যাগ ফেলে রাখুন ২ মিনিট। টি ব্যাগ ঠাণ্ডা হলে জুতোর মধ্যে রেখে দিন। এক ঘণ্টা পর তা সরিয়ে জুতোর ভেতরের অংশ ভাল করে মুছে নিন। দুর্গন্ধের পাশাপাশি দূর হবে তাতে থাকা ব্যাকটেরিয়াও।
জেডএস//
রেসিপি
ম্যাংগো পুডিং তৈরির রেসিপি
আমের সিজনে অনেকেই আমের পাল্প ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করেন। সেই ম্যাংগো পাল্প দিয়েই ম্যাংগো পুডিং বানানো যাবে। আর আমের সিজনে তো ফ্রেশ আমই ব্যবহার করতে পারবেন। ছোট বাচ্চাদের জন্য এটি বেশ হেলদি একটি ডেজার্ট আইটেম। মাত্র ৪টি উপাদান দিয়েই ইয়াম্মি ইয়াম্মি ম্যাংগো পুডিং বানিয়ে নেয়া যায়। চলুন দেরি না করে রেসিপিটি জেনে নেই এখনই।
উপকরণ
ঘন দুধ- ১ কাপ
চিনি- স্বাদ অনুযায়ী ( আমি হাফ কাপ দেই )
আম- ২টি
ডিম- ২টি
ম্যাংগো পুডিং তৈরির পুরো প্রণালী
১. প্রথমে আম ছোট ছোট করে কেটে নিন। দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করুন এবং ঠাণ্ডা করে নিন।
২. এবার ব্লেন্ডার জগে আম, চিনি, দুধ ও ডিম সবকিছু দিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিন।
৩) মিশ্রণটি মোটামুটি ঘন ও থকথকে হবে। যদি বেশি ঘন হয়ে যায়, লিকুইড দুধ মিশিয়ে নিতে হবে।
৪. এবার একটি স্টিলের টিফিন বক্সে পুডিংয়ের মিশ্রণ ঢেলে নিতে হবে।
৫. বড় সসপ্যানে পানি ফুটতে দিন। এবার একটি স্ট্যান্ড প্যানে সেট করে তার উপর স্টিলের টিফিন বক্সটি রাখুন।
৬. বাটির ঢাকনা ভালোভাবে আটকাবেন এবং পানি যেন ভেতরে না যেতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
৭. চুলার আঁচ মিডিয়াম রাখুন, ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করে চেক করুন পুডিং জমেছে কি না।
৮. পুডিং জমে গেলে চুলা নিভিয়ে দিন। এরপর রুম টেম্পারেচারে ঠাণ্ডা করে নিতে হবে।
ব্যস, আমের পুডিং বানানো হয় গেলো! চাইলে ফ্রিজে রেখে ম্যাংগো পুডিং ভালোভাবে সেট করে নিতে পারেন। সেট হয়ে গেলে টিফিন বক্স থেকে পুডিংটি একটি প্লেটে সাবধানে উল্টিয়ে ঢেলে নিন। এবার ছুরি দিয়ে পিস পিস করে কেটে সার্ভ করুন। আর এটি ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা খেতে কিন্তু বেশি মজা লাগে। সব উপকরণগুলো বাসাতে থাকলে আজই বানিয়ে নিন দারুন মজাদার ডেজার্টটি।
জেএইচ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন