ফুটবল
৩২ তলা উঁচু কবরস্থানের নবম তলায় পেলে
ক্যান্সারের সঙ্গে লম্বা সময়ের লড়াইয়ের পর গেলো বৃহস্পতিবার ৮২ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন পেলে। খেলোয়াড় হিসেবে তিনটি বিশ্বকাপ জেতা ইতিহাসের একমাত্র ফুটবলার তিনি। সাও পাওলোর আলবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতাল থেকে সোমবার ভোরে তার কফিন আনা হয় সান্তোসের ঘরের মাঠ ভিলা বেলমিরো স্টেডিয়ামে। তার মৃত্যুতে ফুটবল দুনিয়া শোকে মুহ্যমান। এবার শেষশ্রদ্ধায় তাকে অন্তিমযাত্রায় শায়িত করার পালা। পেলে সমাহিত হবেন তার জন্মস্থান সাও পাওলোয়।
সবার আগ্রহ, পেলেকে কোথায় সমাহিত করা হবে? পেলেকে সমাহিত করা হবে ৩২ তলা উঁচু কবরস্থানের নবম তলায়। এই কবরস্থানের কথা অনেক আগেই ভেবে রেখেছিলেন পেলে। সান্তোসের বিশ্বরেকর্ডধারী এই কবরস্থানে ২০০৩ সালেই জায়গা কিনে রেখেছিলেন তিনবারের বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার। বাবা ডনডিনহোর প্রতি সম্মান জানিয়ে সেটি কিনেছিলেন কবরস্থানের নয় তলায়। বাবা যখন ফুটবল খেলতেন তখন পড়তেন নয় নম্বর জার্সি। সেখান থেকেই এমন চিন্তা। যদিও বাবা তা দেখে যেতে পারেননি। ১৯৯৬ সালে পৃথিবীর মায়া ছেড়েছেন। শতবর্ষী মা এখনো বেঁচে আছেন।
আজ সেখানেই চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন ফুটবল সম্রাট। পেলের ফুটবলার হয়ে ওঠা যে সান্তোস স্টেডিয়ামে সেখান থেকে মাত্র আটশ পঞ্চাশ মিটার দূরে ইকুমেনিকা। সান্তোসের এই উঁচু কবরস্থান তৈরি হয়েছে ১৯৮৩ সালে। যার ভেতরে বাগান আছে। রেস্টুরেন্ট আছে। আছে কার মিউজিয়ামও। জায়গা আছে ১৪ হাজার কবরের। একেকটি ভল্ট। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডেও জায়গা করে নিয়েছে সান্তোসের ইকুমেনিকা। পুরো নাম ইকুমেনিকাল নেকরোপলিস সিমেট্রি। ভেতরে আলিশান ব্যবস্থা। যা কিনা বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভার্টিকাল সিমেট্রি।
সান্তোসে পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ এই কবরস্থানের একেকটি কবরের দাম ছয় হাজার থেকে বিশ হাজার ডলার পর্যন্ত। তবে সেটাও তিন বছরের জন্য। আর পারিবারিক প্যাকেজ ৫০ হাজার ডলার। তবে পেলের কবর থাকবে স্থায়ীরূপে।
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন