আইন-বিচার
মুক্তিযোদ্ধাদের গেজেট বাতিলের এখতিয়ার নেই জামুকার : হাইকোর্ট
গেজেটভুক্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গেজেট বাতিলের এখতিয়ার জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) নেই মর্মে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি এবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার তৌফিক ইনাম টিপু। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান।
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের ২২ জন নৌ-কমান্ডো বীর মুক্তিযোদ্ধার দায়ের করা রিট আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি শেষে এ রায় দেয়া হয়।
হাইকোর্ট এই রায়ে উল্লেখ করেন, গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধাদেরকে সাব কমিটির মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে তাদের গেজেট বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়ার কোন এখতিয়ার জামুকা’র নেই। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন ২০০২ এর ৭ ধারায় অর্পিত ক্ষমতা বলে গেজেট বাতিলের জামুকার নেই। সে কারণেই ২০১৬ সালের ৭ এপ্রিল সিদ্ধান্তটি বাতিল করেন।
২০০৩ সালে সরকার গঠিত একটি ৭ সদস্যের একটি যাচাই-বাছাই কমিটি ৪৭২ জন মুক্তিযুদ্ধের তালিকা প্রণয়ন করেন। উক্ত কমিটির সুপারিশের আলোকে পরবর্তীতে ২০০৫ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় রিট আবেদনকারী ২২ জন নৌ-কমান্ডোক মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে হিসেবে গেজেটভুক্ত করেন এবং মুক্তিযোদ্ধাদের স্বীকৃতি স্বরূপ রাষ্ট্রীয় সম্মানী ভাতা প্রদান করে আসছেন ।
আইনজীবী তৌফিক ইনাম টিপু বলেন, ২০০৩ সালে সরকার গঠিত ৭ সদস্যের একটি যাচাই-বাছাই কমিটি ৪৭২ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার তালিকা প্রণয়ন করে। ওই কমিটির সুপারিশের আলোকে পরে ২০০৫ সালে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় রিট আবেদনকারী ২২ জন নৌ-কমান্ডোক বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে হিসেবে গেজেটভুক্ত করে এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্বীকৃতি হিসেবে রাষ্ট্রীয় সম্মানী ভাতা দিয়ে আসছে। কিন্তু কিছু অতি উৎসাহী ব্যক্তির স্বেচ্ছাচারী কর্মকাণ্ডের কারণে ওই নৌ-কমান্ডো বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরকে আবারো যাচাই-বাছাইয়ের আওতায় আনা হয়। গেজেটভুক্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পুনরায় যাচাই-বাছাই করার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন ২২ বীর মুক্তিযোদ্ধা। রিটের শুনানি নিঢে আদালত রুল জারি করেন। আজ রুল যথাযথ ঘোষণা করেন রায় দেন হাইকোর্ট।
আইন-বিচার
নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে এ নিয়োগ দেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয় আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামানকে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগ প্রদান করলেন।’
উল্লেখ্য, আ.লীগ সরকারের পতনের পর পদত্যাগ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। বুধবার (০৭ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন মো. আসাদুজ্জামান।
২০২০ সালের ৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এ এম আমিন উদ্দিনকে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন। এর আগে তিনি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
এসি//
আইন-বিচার
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর। বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।
পদত্যাগ করার বিষয়টি এস এম মুনীর নিজেই গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও আরেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. মোরসেদ পদত্যাগ করেন।
২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক এবং জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম মুনীরকে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার চূড়ান্ত আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। গেলো ৫ আগস্ট দুপুর আড়াইটায় বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টার তাকে নিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এ সময় তার সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানা ছিলেন। ভারতে যাওয়ার আগে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র দেন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বড় বড় পদে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। আবার অনেকেই স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছেন।
এসি//
আইন-বিচার
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের সেই ভাস্কর্যটি উপড়ে ফেলা হয়েছে
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে হাইকোর্ট এনেক্স ভবনের সামনে থাকা গ্রিক দেবী থেমিসের ভাস্কর্যটি ভাঙচুরের পর উপড়ে ফেলা হয়েছে।তবে কে বা কারা ভাস্কর্যটি ভেঙেছে তা জানা যায়নি।
বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে ভাস্কর্যটি মাটিতে পরে থাকতে দেখা যায়। এর আগে,গেলো মঙ্গলবার সকালে ইস্পাতের তৈরি ভাস্কর্যটির হাত ও দাঁড়িপাল্লা ধরে থাকা হাত ভাঙা অবস্থায় দেখা গিয়েছিলো।
সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা জানান, গ্রিক দেবী থেমিসের আদলে ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে গড়ে তোলা ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছেন, তা তাদের জানা নেই।
এর আগে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশের মূল ফটকের বরাবর থাকা লিলি ফোয়ারায় প্রথমে ভাস্কর্যটি বসানো হয়। হেফাজতসহ কয়েকটি ইসলামি সংগঠনের দাবির মুখে ২০১৭ সালের মে মাসে ভাস্কর্যটি সরিয়ে এনেক্স ভবনের সামনে স্থাপন করা হয়।
আই/এ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন