ফুটবল
মরিনহোই হচ্ছেন নেইমারদের কোচ
কাতার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে ক্রোয়েশিয়ার কাছে হেরে বিদায় নিতে হয় পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলকে। অথচ হেক্সা মিশনের লক্ষ্যেই দুর্দান্ত এক দল নিয়ে কাতারে পা রাখে টিটের ব্রাজিল। বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার পর কোচের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেন টিটে। এরপর থেকেই টিটের জায়গায় নতুন কোচ নিয়োগের চেষ্টা শুরু করে সেলেসাওরা। প্রথাগত নিয়ম থেকে সরে এসে দেশের বাইরের হাইপ্রোফাইল কোচ খুঁজতে শুরু করে তারা। প্রথমবারের মত ইউরোপের বাইরের কোচ নিয়োগের চেষ্টা চালায়।
যে তালিকায় ছিল রিয়াল মাদ্রিদের আনচেলত্তি, ফ্রান্সের জিনেদিন জিদান এবং ম্যানসিটির কোচ গার্দিওলা। কিন্তু প্রত্যেকেই ব্রাজিলের অফার প্রত্যাখ্যান করেন। আনচেলোত্তি অনেকটা এগিয়ে থাকলেও রিয়ালের সঙ্গে ২০২৪ পর্যন্ত চুক্তি থাকায় আর শেষ পর্যন্ত সম্ভব হয়নি। একই অবস্থা গার্দিওলার। ম্যানসিটির সঙ্গে চুক্তি থাকায় তারও আর হয়ে উঠেনি।
জিদানের ক্ষেত্রে বিষয়টা অন্যরকম। তিনি চেয়েছিলেন ফ্রান্সের দায়িত্ব নিতে। কিন্তু ফরাসি বোর্ড দেশমের সঙ্গে পুনরায় ৪ বছরের চুক্তি করায় তা ভেস্তে যায়। তারপর অনেকে ভেবেছিলেন যে তাহলে হয়ত ব্রাজিলের দায়িত্বে যাবেন জিদান। কিন্তু সেখানেও তিনি না করে দেন। ব্রাজিল ছাড়াও ফরাসি কিংবদন্তিকে চেয়েছিল ২০২৬ বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ যুক্তরাষ্ট্র। তিনি তাদেরও না করে দেন। বর্তমানে বিশ্বকাপজয়ী এ ফরাসি কিংবদন্তি আছেন দল শূণ্য।
এরপর গুঞ্জন উঠে স্পেশাল ওয়ান কোচ হিসেবে খ্যাত হোসে মরিনহোকে নিয়ে। আর শেষ পর্যন্ত এই মরিনহোই নাকি ব্রাজিলের কোচ হতে যাচ্ছেন এমনটাই জানিয়েছেন পোর্তোর হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতা ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার কার্লোস আলবার্তো।
মুন্ডো জিভি পডকাস্টে এক সাক্ষাৎকারে ব্রাজিলের সাবেক এই তারকা জানিয়েছেন, আমি একটি বিশাল খবর বলতে যাচ্ছি। হয়তো মরিনহো ব্রাজিলের কোচ হবে। কথাবার্তা অনেকদূর এগিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমি এই তথ্য কোথায় থেকে কিভাবে পেয়েছি সেটা বড় কথা নয়। আমি একটি তথ্য দিলাম শুধু আপনাকে। কারণ সে আমাকেও তার সহকারি হতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল।
কার্লোস আলবার্তোর এই খবরকে গুরুত্ব দিয়েই প্রকাশ করেছে অনেকগুলো গণমাধ্যম। বিশেষ করে, তার প্রকাশ করা খবরের নাকি সত্যি হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে।
তবে স্কাই স্পোর্টস জানিয়েছে অন্য কথা। তারা জানিয়েছে, মরিনহোর কাছে ব্রাজিলের কোচের প্রস্তাব এসেছিল। কিন্তু পর্তুগিজ কোচ নাকি সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন।
উল্লেখ্য, ৩৮ বছর বয়সী কার্লোস আলবার্তো ২০১৯ সালে সবধরণের ফুটবল থেকে অবসরে যান। জাতীয় দলের হয়ে তিনি মাত্র ৫টি ম্যাচে অংশ নেন।
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন