Connect with us

দক্ষিণ আমেরিকা

যুক্তরাষ্ট্রে ফ্লয়েড হত্যায় সাবেক পুলিশ কর্মকর্তার সাড়ে ২২ বছরের সাজা

Published

on

যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপোলিসে কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি জর্জ ফ্লয়েডকে নির্যাতন করে হত্যার দায়ে সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক শাউভিনকে সাড়ে ২২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। শুক্রবার মিনেসোটার একটি আদালতে রায় দেওয়া হয়।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, ২২ পৃষ্ঠার রায় ঘোষণার সময় বিচারক পিটার কাহিল উল্লেখ করেন, আবেগ বা জনমতের ভিত্তিতে সাবেক পুলিশ কর্মকর্তার শাস্তি নির্ধারিত হয়নি।

বিচারক কাঠগড়ায় বসে থাকা শাউভিনের উদ্দেশে বলেন, কর্তৃত্ব ও আস্থার অবস্থানে থেকে এর অপব্যবহার এবং সুনির্দিষ্ট নিষ্ঠুরতা দেখানোর ভিত্তিতে এ শাস্তি নির্ধারিত হলো।

আদালত রায়ে আরো বলেছেন, নিষ্ঠুরতার পাশাপাশি শিশুদের সামনে অপরাধটি সংঘটিত করেছেন ডেরেক। তাছাড়া এসময় তার সঙ্গে আরও তিনজন কর্মকর্তা ছিলেন। ফলে আদালত একে একটি সংঘবদ্ধ অপরাধ হিসেবে দেখছে। অপরাধী তার দায়িত্বের অপব্যবহার এবং তার প্রতি রাষ্ট্রের আস্থা ভঙ্গ করেছেন। সে কারণে তাকে এই সাজা ভোগ করতে হবে।

ডেরেক শাউভিনের আইনজীবী বলেন, দায়িত্ব পালনকালে ভালো উদ্দেশে কাজ করতে গিয়ে তার ভুল হয়েছে।

Advertisement

ফ্লয়েডকে হাঁটুর নিচে চেপে ধরে রাখা পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক দ্বিতীয় মাত্রার হত্যার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের আইনি ভিন্নতার পরিপ্রেক্ষিতে সাড়ে ২২ বছরের মধ্যে ১৫ বছর সরাসরি কারাগারে থাকার পর বাকি সাড়ে সাত বছর প্যারোল বা পর্যবেক্ষণে থেকে কারামুক্ত থাকবেন তিনি। পাশাপাশি শাস্তির অংশ হিসেবে আজীবন আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে তাকে।

গেল এপ্রিলে মিনেসোটার হেনোপিন আদালতে ফ্লয়েড হত্যায় দোষী সাব্যস্ত হন ডেরেক। তার বিরুদ্ধে আনা তিনটি অভিযোগই প্রমাণিত হয়। গেল বছরের মে মাসে মিনিয়াপোলিসের শিকাগো স্ট্রিটে জাল নোট ব্যবহারের অভিযোগে গ্রেপ্তারের পর ফ্লয়েডের ঘাড়ে হাঁটু রেখে মাটিতে গলাচেপে হত্যা করেন ডেরেক। টানা নয় মিনিট ওইভাবে রাখলে ফ্লয়েড মারা যান। এ সময় শ্বাস নিতে পারছেন না বলে চিৎকার করে বলেছিলেন তিনি।

এ ঘটনার ৯ মিনিটের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। ফ্লয়েড হত্যার বিচার দাবিতে বর্ণবাদ ও পুলিশি নির্যাতনের বিরুদ্ধে ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটারস শ্লোগানে যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গ অধিকার আন্দোলন শুরু হয়।

ফ্লয়েডের নাগরিক অধিকার হরণের অভিযোগে ডেরেক ও অপর তিন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আলাদাভাবে বিচার কাজ শুরু হয়। এ ঘটনায় চাকরিচ্যুত হন ৪৫ বছর বয়সী পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক।

এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে ফ্লয়েডের পরিবার। একে স্বাগত জানিয়েছে তারা। টুইট করে ফ্লয়েডের আইনজীবী বেন ক্রাম্প বলেছেন, ঐতিহাসিক এই রায়ে অপরাধী জবাবদিহিতার মুখোমুখি হয়েছে। এটি ফ্লয়েড পরিবার ও গোটা জাতিকে জবাবদিহিতার স্বস্তির বার্তা দিয়েছে। এই রায়ে সমাজের ক্ষত সারিয়ে তোলার পথে একধাপ অগ্রগতি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

Advertisement

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ খুবই বিরল একটি ব্যাপার। এমনকি সাজাও খুব বিরল।

 

এসএন

Advertisement

দক্ষিণ আমেরিকা

ভেনেজুয়েলার ‘বিতর্কিত নির্বাচনে’ মাদুরো জয়ী

Published

on

ভেনেজুয়েলার ‘বিতর্কিত’ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন সমাজতান্ত্রিক পিএসইউভি পার্টির নেতা নিকোলাস মাদুরো।

দেশটির ন্যাশনাল ইলেক্টোরাল কাউন্সিলের (সিএনই) প্রধান ও মাদুরোর ঘনিষ্ঠ মিত্র এলভিস আমরোসো জানিয়েছেন, ৮০ শতাংশ ভোট গণনার পর দেখা গেছে- মাদুরো ৫১ দশমিক ২ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী বিরোধী জোটের প্রার্থী এডমান্ডো গঞ্জালেজ উরুতিয়া পেয়েছেন ৪৪ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ ভোট।

এদিকে, ভোট গণনায় ব্যাপক জালিয়াতির অভিযোগ এনে ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করার কথা জানিয়েছে মাদুরোর মূল প্রতিদ্বন্দী অ্যাডমুন্ড গঞ্জালেজ।

নির্বাচনের আগে হওয়া প্রায় সব জনমত জরিপে এগিয়ে ছিলেন গঞ্জালেজ। তবে যে কোনো উপায়ে মাদুরো ক্ষমতা ধরে রাখবেন বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন মাদুরো।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে গতকাল রোববার লাতিন আমেরিকার দেশটিতে ভোট হয়। দেশটিতে গেলো ১১ বছর ধরে ক্ষমতায় আছেন মাদুরো। গতকালের নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় তিনি তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন।

Advertisement

২৫ বছর ধরে দেশটির ক্ষমতায় রয়েছে মাদুরোর দল। তার মধ্যে টানা ১১ বছর ধরে প্রেসিডেন্ট হিসেবে রয়েছেন মাদুরো। বলা হচ্ছিল এবারের নির্বাচনে তিনি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বেন। কারণ তার মূল প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাডমুন্ড গঞ্জালেজ এবার ব্যাপক সমর্থন টানতে পেরেছিলেন।

ভোট গণনা উপলক্ষে বিরোধী জোট কেন্দ্রগুলোতে হাজারো পর্যবেক্ষক নিয়োগ করে। জোটের এক মুখপাত্র অভিযোগ করে বলেন, অনেক ভোটকেন্দ্র থেকে তাঁদের পর্যবেক্ষকদের বের করে দেয়া হয়েছে।

সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ না হওয়ার অভিযোগে ২০১৮ সালের নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছিল বিরোধীরা। এবারের নির্বাচনেও ব্যাপক কারচুপির আশঙ্কা করে আসছিল তারা।

জেএইচ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

দক্ষিণ আমেরিকা

আমেরিকায় এ ধরনের সহিংসতার কোনো স্থান নেই : বাইডেন

Published

on

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমাবেশে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে সাবেক এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট কানে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এরপরই এই হামলার বিষয়ে কঠোর নিন্দা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

তিনি বলেছেন, আমেরিকায় এ ধরনের সহিংসতার কোনো স্থান নেই। এমনকি এই ধরনের হামলা ক্ষমা করা করা যায় না বলেও জানিয়েছেন তিনি।

রোববার (১৪ জুলাই) এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

শনিবার (১৩ জুলাই) পিটসবার্গ থেকে প্রায় ৩০ মাইল (৫০ কিলোমিটার) উত্তরে পেনসিলভানিয়ার বাটলারে নির্বাচনী প্রচারণার সমাবেশে গুলিবিদ্ধ হন রিপাবলিকানের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই ঘটনায় সন্দেহভাজন হামলাকারী ও ট্রাম্পের এক সমর্থক নিহত হয়েছেন।

একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, ট্রাম্প মঞ্চে ওঠার কিছুক্ষণ পরেই পাশের একটি ভবনের ছাদে ওঠেন সন্দেহভাজন হামলাকারী। তার হাতে একটি রাইফেল ছিল।

Advertisement

প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, ‘আমেরিকাতে এই ধরনের সহিংসতার কোনো স্থান নেই। এটি অসুস্থ, এটি অসুস্থ (হামলা)।’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘পেনসিলভেনিয়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমাবেশে গুলি চালানোর বিষয়ে আমাকে ব্রিফ করা হয়েছে। আমি কৃতজ্ঞ যে তিনি নিরাপদে ও ভালো আছেন।’

জো বাইডেন বলেন, ‘আমি তার (ট্রাম্প) জন্য এবং তার পরিবারের জন্য ও সমাবেশে যারা ছিলেন তাদের জন্য প্রার্থনা করছি। আমরা আরও তথ্যের জন্য অপেক্ষা করছি।

তিনি বলেন, আমি নিশ্চিত করতে চাই, আমাদের কাছে সমস্ত তথ্য আছে। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এজেন্সিগুলো গুলিবর্ষণের এই ঘটনায় তদন্তে কাজ করছে।

বাইডেন বলেন, পেনসিলভেনিয়ায় সহিংস এই হামলার ঘটনায় ‘সবাইকে নিন্দা করতে হবে।’

Advertisement

গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ট্রাম্পকে লক্ষ্য করেই এ হামলা চালানো হয়েছিল এবং এটি ছিল গুপ্তহত্যার প্রচেষ্টা।

জেএইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

দক্ষিণ আমেরিকা

নির্বাচনী জনসভায় সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গুলিবিদ্ধ

Published

on

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের বাটলারে এক নির্বাচনী জনসভায় বক্তৃতা দেয়ার সময় হামলার শিকার হন তিনি। একেবারে তার কানে গুলি লেগেছে। তবে এতে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছেন এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট। খবর বিবিসির।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, স্থানীয় সময় শনিবার একটি সমাবেশে ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে এই হামলা হয়। ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তাকে লক্ষ্য করে ‘একটি গুলি করা হয়েছে যা আমার ডান কানের ওপরের অংশে বিদ্ধ হয়েছে।’

রোববার (১৪ জুলাই) এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটি।

এরপরই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, আমাদের দেশে যে এমন হামলার ঘটনা ঘটতে পারে তা অবিশ্বাস্য।

সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেয়া এক পোস্টে ট্রাম্প জানান, ‘এটা অবিশ্বাস্য যে আমাদের দেশে এ রকম একটি ঘটনা ঘটেছে। হামলাকারী সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায়নি। হামলাকারী নিহত হয়েছেন।’ পোস্টের শেষে ট্রাম্প বলেন, ‘ঈশ্বর আমেরিকার মঙ্গল করুন!’

Advertisement

হামলার পরপরই তিনি মাটিতে পড়ে যান। এসময় তার মুখমণ্ডলে রক্ত দেখা গেছে। এই ঘটনার পর পরই সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা হামলাকারীকে গুলি করলে তিনি নিহত হন। এছাড়া আরও দুজন এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন বলে সিক্রেট সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

র‌্যালিতে উপস্থিত একজন প্রত্যক্ষদর্শী বিবিসিকে বলেন, গুলির শব্দ শোনার পর তারা একজন রাইফেলধারীকে ছাদে হামাগুড়ি দিতে দেখেছেন।

স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটের দিকে ট্রাম্পের ওপর হামলা হয়। পেনসিলভানিয়ায় এক নির্বাচনী প্রচারে এ ঘটনা ঘটে। হামলাকারীর গুলিতে আহত হয়েছেন ট্রাম্প। তবে তা গুরুতর নয়।

জেএইচ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

প্রধান সম্পাদক : সৈয়দ আশিক রহমান

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: বেঙ্গল টেলিভিশন লিমিটেড , ৪৩৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২১৫
ফোন : 01878-184154, ই-মেইল : contact.bayannotv@gmail.com
© 2023 bayanno.tv

কারিগরি সহায়তায় Build it