ফুটবল
প্রিমিয়ার ফুটবল লিগ পুনরায় মাঠে ফিরছে আজ
করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউয়ে বাড়ছে সংক্রমণ ও মৃত্যু। যে কারণে আগামী সোমবার (২৮ জুন) থেকে আবারও লকডাউনে যাচ্ছে সারাদেশ। এরমধ্যেই পুনরায় মাঠে গড়াচ্ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগ (বিপিএল)। শনিবার (২৬ জুন) বিকাল ৫টায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বসুন্ধরা কিংসের মুখোমুখি হবে রহমতগঞ্জ।
বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের তিন ম্যাচ খেলতে কাতারে যাওয়ার জন্য গত ১১ মে সাইফ স্পোর্টিং ও মুক্তিযোদ্ধার ম্যাচের পর স্থগিত হয় লিগ। দীর্ঘ ৪৫ দিন পর আবারও শুরু হচ্ছে পেশাদার লিগ। লিগে অংশ নিতে এরইমধ্যে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে (বাফুফে) করোনা রিপোর্ট জমা দিয়েছে ক্লাবগুলো। রিপোর্ট অনুযায়ী মোহামেডান ছাড়া অন্য ক্লাবগুলোতে করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর নেই।
সারাদেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ প্রসঙ্গে বাফুফের পেশাদার লিগ কমিটির চেয়ারম্যান আবদুস সালাম মুর্শেদী বলেন, ‘ঢাকার বাইরের পরিস্থিতি খারাপ হলেও ঢাকায় জীবনযাত্রা স্বাভাবিক। ক্লাবগুলো প্রস্তুত। এসব বিবেচনা করেই আমরা খেলা শুরু করছি। তবে পরিস্থিতি খারাপের দিকে গেলে সরকারের সিদ্ধান্ত মেনে নেবে বাফুফে।’
পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ঢাকা আবাহনীর চেয়ে তাদের পার্থক্য ১১ পয়েন্টের। লিগে তাদের আরও নয় ম্যাচ বাকি। বড় অঘটন না ঘটলে শিরোপা কিংসের ঘরেই যাচ্ছে। একমাত্র তারাই লিগে এখন পর্যন্ত কোনো ম্যাচ হারেনি। আজকের ম্যাচে রহমতগঞ্জের বিপক্ষে সদ্য ‘বাংলাদেশি’ হওয়া এলিটা কিংসলি খেলতে পারেন। মাঠে নামলে তিনি হবেন একমাত্র বিদেশি ক্রীড়াবিদ, যিনি নিজ দেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন। গত মার্চে বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে কিংসলি নাগরিকত্ব সনদ পান। কিন্তু জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্ট না থাকায় দ্বিতীয় লেগের শুরুতে বসুন্ধরা কিংসের হয়ে খেলতে পারেননি। সম্প্রতি জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট হাতে পাওয়ায় খেলতে আর বাধা নেই কিংসলির।
শিরোপা লড়াইয়ে এককভাবে এগিয়ে কিংস। রানার্সআপ হওয়ার লড়াই উন্মুক্ত। সুবিধাজনক অবস্থায় ঢাকা আবাহনী ও শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। দুদলেরই সমান ৩২ পয়েন্ট। ২৮ পয়েন্ট চট্টগ্রাম আবাহনী ও ঢাকা মোহামেডানের। ২৬ পয়েন্ট সাইফ ও শেখ রাসেলের।
অবনমন এড়াতে এগিয়ে উত্তর বারিধারা। ছয় ম্যাচ ড্র করেছে তারা। মুক্তিযোদ্ধা ১১তম স্থানে। রেলিগেশনের শঙ্কায় ব্রাদার্স ইউনিয়ন ও আরামবাগ। লকডাউনের কারণে আপাতত বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে হবে খেলা। ২৯ জুন থেকে প্রতিদিন দুটি করে ম্যাচ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে। ঢাকার বাইরে লকডাউন অব্যাহত থাকলে ঢাকায় বিকল্প ভেন্যুতে খেলা হতে পারে।
এস
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//