ফুটবল
৮ বছর প্রেমের পর বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন রোনালদো
তার ভক্তরা মজা করে বলতেই পারেন আট বছর ‘ড্রিবলিং’য়ের পর চতুর্থ ‘গোল’ করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি! ব্রাজিলের মডেল সেলিনা লকসের সঙ্গে দীর্ঘ আট বছরের প্রেমের পর জীবনের জুটি বাঁধতে চলেছেন ‘ফেনোমেনন’ নামে পরিচিত রোনালদো লুইস নাজারিও দে লিমা।
ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যম ল্যান্স জানিয়েছে, আট বছর প্রেমের পর সেলিনাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন ইন্টার মিলান ও রিয়াল মাদ্রিদ মাতানো স্ট্রাইকার। সেলিনাও ‘হ্যাঁ’ বলতে দেরি করেননি।
রোনালদোর বিয়ের প্রস্তাব দেয়ার খবর নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টেই জানিয়েছেন সেলিনা। প্যারিস ফ্যাশন উইকের নিয়মিত এই মুখ ইনস্টাগ্রামে রোনালদোর সঙ্গে ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘হ্যাঁ। আমি রাজি। তোমাকে চিরদিনের জন্য ভালোবাসি।’ রোনালদোও এই পোস্টে ভালোবাসার জবাবে ভালোবাসা ফিরিয়ে দিয়ে লিখেছেন, ‘তোমাকেও ভালোবাসি।’
সেলিনা অল্প বয়স থেকেই মডেলিংয়ের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। ফ্যাশন নিয়ে বেশ কিছু খ্যাতিমান সাময়িকীর প্রচ্ছদকন্যাও হয়েছেন। ‘ভোগ’, ‘বাজার’ ও ‘দিওর’-এর মতো বেশ কিছু নামীদামি ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাজও করেছেন ৩২ বছর বয়সী সেলিনা। তাঁর ইনস্টাগ্রামে অনুসারীসংখ্যা তিন লাখের বেশি। ২০১৫ সালে পরিচিত হওয়ার পর স্পেনের ইবিজায় রোনালদোর বাসায় যাতায়াত শুরু করেন সেলিনা। এই জুটি এখনো কোনো সন্তান নেননি।
তবে এর আগে ‘কুয়েম’ সাময়িকীতে দেয়া সাক্ষাৎকারে সেলিনা বলেছিলেন, রোনালদোর চার সন্তানকে তিনি নিজের সন্তান হিসেবেই দেখেন, ‘ওরা আমারই সন্তান। বেশ কয়েক বছর আগে রোনালদোর যখন সম্পর্কটা শুরু হলো, ওরা অনেক ছোট ছিল। কাউকে ভালোবেসে সম্পর্ক শুরু করলে তার সবকিছুই মেনে নেয়া যায়। আমি এই পরিবারকে ভালোবাসি। ওদের সঙ্গে দারুণ সময় কাটছে। এই পরিবারকে জিতে নেয়ায় গর্ব লাগে।’
৪৬ বছর বয়সী রোনালদো এর আগে তিনবার বিয়ে করেছেন। রোনাল্ড, অ্যালেক্স, মারিয়া সোফিয়া ও মারিয়া এলিস নামে চারটি সন্তান রয়েছে তাঁর। ১৯৯৭ সালে ব্রাজিলিয়ান মডেল সুজানা ওয়ের্নারের প্রেমে পড়েন রোনালদো। তাঁকে বিয়ে না করলেও ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত মিলানে একসঙ্গে বসবাস করেছেন। সে বছর বিচ্ছেদের পর ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার মিলান ডমিনগুয়েজকে বিয়ে করেন রোনালদো। পরের বছর রোনাল্ডের জন্ম হয়। এই বিয়ে চার বছর টিকেছিল।
২০০৫ সালে ব্রাজিলিয়ান মডেল ও এমটিভি ভিজে ড্যানিয়েল সিকারেল্লিকে বিয়ে করেন রোনালদো। সেই ঘর টিকেছিল মাত্র তিন মাস। এরপর মারিয়া বিয়েট্রিচকে বিয়ে করেন রোনালদো। এই ঘরে জন্ম মারিয়া সোফিয়া ও মারিয়া এলিসের। অ্যালেক্সের জন্ম ২০০৫ সালে। ব্রাজিলিয়ান মিশেল উমেজুর সঙ্গে ২০০২ সালে টোকিওতে পরিচয় হয়েছিল রোনালদোর। উমেজুর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে ২০০৫ সালে অ্যালেক্সের বাবা হন রোনালদো। ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যম ল্যান্স জানিয়েছে, উমেজু বডিবিল্ডার ছিলেন।
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন