আওয়ামী লীগ
গবেষণায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বজায় রাখার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
সম্পদ মোবিলাইজেশনের মাধ্যমে গবেষণা ও উদ্ভাবনে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
আজ বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) সকালে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে অ্যাপ্লাইড সায়েন্সেস অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের আয়োজিত ৭ম আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশীয় সম্পদ মোবিলাইজেশনের মাধ্যমে শিল্প-একাডেমিয়া সম্পর্ক বাড়াতে হবে যা প্রকৌশল গবেষণা এবং উদ্ভাবনে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং অংশীদারিত্ব বজায় রেখে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করতে পারে।
ড. মোমেন বলেন, বৈশ্বিক মহামারি পরিস্থিতির পরে অন্যান্য দেশের মতো সমানভাবে বাংলাদেশও জ্বালানি সংকটের মুখোমুখি হয়েছে। এ সংকট মোকাবেলায় গবেষক ও বিশেষজ্ঞদের বিকল্প সমাধান বের করতে হবে যা শিল্প উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করতে পারে।
এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, সহস্রাব্দ লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অন্যতম সফল দেশ এবং এখন আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত জাতিতে পরিণত করতে এসডিজি অর্জনের জন্য নিরলসভাবে কাজ করছি। এসময় প্রকৌশলী, বিজ্ঞানী, উদ্যোক্তা ও নীতিনির্ধারকদের উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশকে একটি স্মার্ট জাতিতে পরিণত করতে হবে।
নতুন সহস্রাব্দে ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষায় চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির বিভিন্ন ফিল্ডের আধুনিক অগ্রগতি অনুসরণ ও একাডেমিয়া-শিল্প সম্পর্ক শক্তিশালী করার লক্ষ্যে ‘সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, পরিবেশ ও স্থাপত্য’, ‘কম্পিউটার সায়েন্স, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স’, ‘কেমিক্যাল, খাদ্য, পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং’ এবং ‘মেকানিক্যাল, ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং’ এ চারটি বিষয়ের উপর বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১৪টি দেশের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের গবেষকদের ১৯০টি নিবন্ধ উপস্থাপিত হবে।
সম্মেলনের আয়োজকরা জানান, অ্যাপ্লাইড সায়েন্স অনুষদের এটি ৭ম আন্তর্জাতিক সম্মেলন। আজ বৃহস্পতিবার থেকে ১৪ জানুয়ারি শনিবার পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে এ সম্মেলন চলবে। এতে দেশ-বিদেশের প্রকৌশলী, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উদ্ভাবন ও শিক্ষার উন্নয়নের ওপর তাদের গবেষণাপত্র নিয়ে উপস্থিত থাকবেন। নিবন্ধনকারীদের মধ্য থেকে এবারের সম্মেলনে ১৯০টির বেশি গবেষণাপত্র বাছাই করা হয়েছে। তিনদিনে ৪টি প্লেনারিসহ ৩৪টি টেকনিক্যাল সেশনে এসব গবেষণাপত্র উপস্থাপন করা হবে।
এতে বাংলাদেশসহ ১৪টি দেশের ৬৪টি বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ৫শ’ জনের অধিক গবেষক অংশ নেয়ার কথা রয়েছে। এবারের সম্মেলনে নিবন্ধন ছাড়াই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সম্মেলনে প্রবেশ উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। এছাড়া পূর্বের সম্মেলনগুলো থেকে এবার আরো নতুন অনেক কিছু সংযোজন করা হয়েছে বলে জানান আয়োজকরা।
আওয়ামী লীগ
শেখ হাসিনাকে নিয়ে যে নতুন বার্তা দিলেন জয়
এবার শেখ হাসিনার দেশের ফেরা নিয়ে নতুন বার্তা দিলেন জয়। অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিলেই দেশে ফিরবেন শেখ হাসিনা। তবে ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি অংশগ্রহণ করবেন কিনা সে সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো বার্তা দেননি সজিব ওয়াজেদ জয়।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসব কথা বলেন তিনি।
জয় বলেন, রাজনীতি নিয়ে তার কখনওই উচ্চ আকাঙ্ক্ষা ছিল না। কিন্তু চলমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে নেতৃত্বের সংকট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় দলের প্রয়োজনে তাকে সক্রিয় হতে হবে এবং সামনের সারিতে থেকেই কাজ করবেন।
এর আগে ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনের মুখে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে তার ছেলে জয় বিবিসিকে জানিয়েছিলেন “ মা আর দেশে ফিরবে না এবং রাজনীতি করবেন না”।
প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর দেশের চলমান সংকট সমাধানে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আই/এ
আওয়ামী লীগ
আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয় : জয়
আওয়ামী লীগ দেশের সবচেয়ে পুরোনো এবং বড় গণতান্ত্রিক দল। আওয়ামী লীগ কিন্তু মরে যায়নি। আওয়ামী লীগ এই দেশকে স্বাধীন করেছে। আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
বুধবার (৭ আগস্ট) নিজের ফেসবুক আইডিতে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশে এখন একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি চলছে উল্ল্যেখ করে জয় বলেন, সারা দেশে ভাঙচুর হচ্ছে, লুটপাট হচ্ছে। শহরের বাইরে আমাদের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা চলছে। অনেককে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর যেভাবে হামলা হচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে আমরা হাল ছেড়ে দিতে পারি না। বাংলাদেশে যদি গণতন্ত্রের নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হয়, আওয়ামী লীগ ছাড়া সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগ হচ্ছে সবচেয়ে বড় দল। আওয়ামী লীগ কোথাও যাবে না।”
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘আমি সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি। আপনারা সবাই সাহস নিয়ে দাঁড়ান, আমরা আছি। বঙ্গবন্ধুর পরিবার কোথাও যায়নি। আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি। দেশকে, আমাদের নেতা-কর্মীদের এবং আওয়ামী লীগকে রক্ষা করার জন্য যা প্রয়োজন আমরা করতে প্রস্তুত।’
বর্তমানে ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এই যে আমাদের বর্তমানে যারাই আছেন ক্ষমতায় তাঁদের আমি বলব, আমরাও একটি গণতান্ত্রিক, সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ দেশ চাই, জঙ্গিবাদ মুক্ত। তার জন্য আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত। শুধু তারা যদি জঙ্গিবাদ, ভায়োলেন্স (সহিংসতা) বাদ দেন। শেখ হাসিনা মরে যাননি। আমরা কোথাও যাইনি। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ছাড়া গণতন্ত্র, নির্বাচন সম্ভব না।’
আই/এ
আওয়ামী লীগ
ধৈর্য্য, সহনশীলতা মানে দুর্বলতা নয় : নানক
সরকার পতনের নামে বিএনপি-জামায়াত দেশে হত্যা ও ধ্বংস চালাতে চায় এবং দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে চায়। আওয়ামী লীগ ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। বলেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
রোববার (৪ আগস্ট) বিকেল পৌনে ৫টায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, এই বিএনপি, জামায়াত-শিবির জঙ্গির উদ্দেশ্যে বলতে চাই, এই দেশমাতৃকাকে ভালোবেসে আমরা ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছি। ধৈর্য, সহনশীলতা মানে দুর্বলতা নয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা এই জঙ্গিগোষ্ঠীকে প্রতিরোধ করার জন্য দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি৷
নানক বলেন, রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্ট করবেন না। আমরা সংঘাত চাই না। শান্তি চাই। সকলকে দ্বায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে৷
তিনি বলেন, আমরা মোকাবিলা করব। এখন আর ঘরে বসে থাকার সময় নেই। যে যেখানে আছেন, দেশবিরোধী জামায়াত-শিবিরকে নির্মূল করতে হবে। আমাদের শরীরে শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত এই আস্ফালন সহ্য করব না। গণতন্ত্র সংবিধান রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
এএম/
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন