জাতীয়
ইজতেমা শেষে মুসল্লিরা ফিরবেন যেভাবে
আখেরি মোনাজাত শেষে শুরু হলো বাড়ি ফেরার পালা। গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে কুয়াশা ও কনকনে শীত উপেক্ষা করে দেশ বিদেশ থেকে আগত লাখো মুসল্লির অংশগ্রহণে আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়েছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব।
রোববার (১৫ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় শুরু হয় আখেরি মোনাজাত। আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন কাকরাইলের সুরাসদস্য কারি মোহাম্মদ জোবায়ের। মোনাজাত শেষে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিগণ যেভাবে সহজে ফিরতে পারবেন গন্তব্যে সে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে।
বিশ্ব ইজতেমা শেষে বাড়ি ফিরতে ইতোমধ্যে যানবাহন চলাচলে বেশকিছু নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। ইজতেমা পরবর্তী সময়ে যানবাহন পার্কিংয়ের জন্য রয়েছে নির্দিষ্ট স্থান। ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের বাড়ি ফেরা নিশ্চিত করতে এসব নির্দেশনা পালনের আহ্বান জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পুলিশ।
আগেই জানানো হয়, টঙ্গী-কামারপাড়া রোড, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী থেকে গাজীপুরের ভোগরা বাইপাস পর্যন্ত এবং আবদুল্লাহপুর থেকে আশুলিয়ার বাইপাইল পর্যন্ত যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া ময়মনসিংহ ও গাজীপুরগামী যানবাহনগুলোকে গাবতলী দিয়ে কোনাবাড়ি হয়ে এবং ময়মনসিংহ থেকে ঢাকাগামী যানবাহনগুলোকে ভোগরা বাইপাস দিয়ে তিনশো ফিট রাস্তা ব্যবহার করে চলাচল করতে বলা হয়।
সাধারণ যানবাহনের পাশাপাশি ইজতেমা উপলক্ষে বিশেষ ট্রেন সার্ভিসও চালু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ইজতেমায় আগতরা বাড়ি ফেরার পথে সব ট্রেনের সার্ভিস নিতে পারবে। ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের প্রতি বিশেষ আবেদনে বলা হয়েছে, ট্রেন, বাস বা অন্য কোনো যানবাহনের ছাদে উঠে বা বাম্পারে ঝুলে জীবনে ঝুঁকি নেবেন না। বরং কিছু সময় অপেক্ষা করলে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে ভ্রমণের আহ্বান জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। সম্ভব হলে কিছু পথ হেঁটে এগিয়ে গেলেও ভিড় ও অনেক জটিলতা এড়ানো যাবে। ইজতেমা থেকে বাড়ি ফিরতে আজ সব আন্তঃনগর ট্রেন টঙ্গী স্টেশনে দাঁড়াবে।
ঢাকা-টঙ্গী স্পেশাল ট্রেন : ইজতেমা উপলক্ষে টঙ্গী-ঢাকা স্পেশাল-১ টঙ্গী ছাড়বে দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে, আর ঢাকা পৌঁছবে দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে। পর্যায়ক্রমে এভাবে চলাচলের জন্য ১৩ টি স্পেশাল ট্রেনের ব্যবস্থা আছে।
টঙ্গী-ময়মনসিংহ স্পেশাল ট্রেন : টঙ্গী-ময়মনসিংহ-১: টঙ্গী থেকে ছাড়বে দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে আর ময়মনসিংহ পৌঁছবে ৩টা ৫৫ মিনিটে। টঙ্গী-ময়মনসিংহ-২: টঙ্গী থেকে ছাড়বে দুপুর ১২-৪০ মিনিটে আর ময়মনসিংহ পৌঁছবে দুপুর ৪-৫৫ মিনিটে।
টঙ্গী-টাঙ্গাইল স্পেশাল ট্রেন : টঙ্গী-টাঙ্গাইল স্পেশাল ট্রেন টঙ্গী ছাড়বে দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে আর টাঙ্গাইল পৌঁছবে দুপুর ২টা ২০ মিনিটে।
উল্লেখ্য, আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো প্রথম পর্বের ইজতেমা। চার দিন বিরতি দিয়ে ২০ জানুয়ারি শুরু হবে দ্বিতীয় পক্ষের (সা’দ অনুসারী) ইজতেমার আয়োজন।
এ বছর বিশ্ব ইজতেমায় এখন পর্যন্ত ৭ মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন- নরসিংদীর মনোহরদী থানার মাসিমপুর গ্রামের রহমতুল্লাহর ছেলে হাবিবুর রহমান হাবি, চট্টগ্রামের রাউজান থানা সদরের আবদুর রশিদের ছেলে আবদুর রাজ্জাক, খুলনার ডুমুরিয়া থানার মলমলিয়া গ্রামের মোবারক হোসেনের ছেলে মুফাজ্জল হোসেন খান, গাজীপুরের আবু তৈয়ব ওরফে আবু তালেব, সিলেটের নুরুল হক, মুন্সীগঞ্জের আক্কাস আলী এবং ঢাকার বংশালের কাজী আলাউদ্দিন রোড এলাকার বাসিন্দা ছমির উদ্দিনের ছেলে আনিসুর রহমান (৭১)।
এবারের বিশ্ব ইজতেমায় বিশেষ আকর্ষণ ছিল যৌতুকবিহীন শতাধিক বিয়ে। ইজতেমার দ্বিতীয় দিন শনিবার (১৪ জানুয়ারি) বিশ্ব ইজতেমার মিডিয়া সমন্বয়কারী মাওলানা জহির ইবনে মুসলিম সাংবাদিকদের বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ভারতের মাওলানা মো. জোহায়রুল হাসান ইজতেমা ময়দানের পশ্চিম-উত্তর দিকের দোয়া মঞ্চে এ বিয়ে পড়ান। হজরত ফাতেমা (রা.) ও হজরত আলী (রা.)-এর বিয়ের দেনমোহর অনুসারে বিনা যৌতুকে শতাধিক বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ের আগে বাদ-আসর হাফেজ মাওলানা জোবায়ের বিয়ের খুতবা প্রদান করেন।
বয়ান শেষে বর-কনের অভিভাবকদের সম্মতিতে বরের উপস্থিতিতে এ বিয়ে পড়ানো হয়। বিয়ে শেষে উপস্থিত দম্পতিদের স্বজন ও মুসল্লিদের মধ্যে খুরমা খেজুর বিতরণ করা হয়।
জাতীয়
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানালেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা
শপথ নেয়ার পরের দিন ভাষা শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৩ জন উপদেষ্টা নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও অন্য উপদেষ্টারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
আই/এ
জাতীয়
উপদেষ্টা পরিষদকে অভিনন্দন জানালেন জাসদ
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস এবং অন্য উপদেষ্টাদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন
বৃহস্পতিবার ( ৮ আগস্ট ) রাতে দলের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান তারা।
বিবৃতিতে জানানো হয়, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর দেশে আর একটিও প্রাণহানি, হামলা ও সম্পদ ধ্বংসের ঘটনা যেন না ঘটে তা নিশ্চিত হবে।”
বিবৃতিতে আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতিসহ সংবিধানকে সমুন্নত রেখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির সাথে আলোচনা করে সরকারের কর্ম পরিকল্পনার রূপরেখা দ্রুত প্রকাশ করে বিদ্যমান অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা প্রশমিত করবেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক ও প্রধান কাজ হিসেবে অনতিবিলম্বে দেশে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
জাসদ নেতৃবৃন্দ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
জাসদ জোর দাবি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ববর্তী সরকারের পদত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ পেশাজীবী ও হিন্দু ও আহমদীয়াসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও হত্যা করা, মন্দিরসহ ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে ও নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে হামলা-হত্যা-নির্যাতন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ, সংসদ ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন-বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে হামলা, লুটপাট, জ্বালিয়ে ছারখার, দেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, সাত বীরশ্রেষ্ঠর ভাস্কর্যসহ ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ও ম্যুরাল ভেঙে ফেলা এবং কুমিল্লার বীরচন্দ্র পাঠাগার, সুনামগঞ্জের ঐতিহ্য জাদুঘর, কুড়িগ্রামের উত্তরবঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক শশীলজের ভেনাস ভাস্কর্য ভেঙে ফেলাসহ অগনিত শিল্পকর্ম ভেঙে ফেলার সব অপরাধ কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার।
জেডএস/
জাতীয়
তদবির থেকে বিরত থাকুন, দেশগঠনে পরামর্শ দিন : আসিফ মাহমুদ
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ১৭ সদস্যের অন্তবর্তীকালীন সরকার। এ উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন প্রতিনিধি। এদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ। তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার পর ঘনিষ্ঠজনদের নিজেদের সুবিধার জন্য কোনো আবদার কিংবা তদবির করতে বারণ করেছেন। বরং দেশগঠনে কোনো পরামর্শ থাকলে দেয়ার অনুরোধ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্ট করে এ অনুরোধ করেন।
পোস্টে এই তরুণ উপদেষ্টা লিখেছেন, ব্যক্তিগত লাভের আশায় আবদার, তদবির করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে আমার সাথে আপনার সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। দেশগঠনে পরামর্শ থাকলে জানাবেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ জনকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টাদের শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ঢাকার বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আযম, বিধান রঞ্জন রায় এবং সুপ্রদীপ চাকমা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্যান্য উপদেষ্টারা হলেন- ১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ২. ড. আসিফ নজরুল ৩. আদিলুর রহমান খান ৪. হাসান আরিফ ৫. তৌহিদ হোসেন ৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ৭. মো. নাহিদ ইসলাম ৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন ১০. সুপ্রদীপ চাকমা ১১. ফরিদা আখতার ১২. বিধান রঞ্জন রায় ১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান ১৪. নুরজাহান বেগম ১৫. শারমিন মুরশিদ ১৬. ফারুক-ই-আযম।
জেএইচ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন