দক্ষিণ আমেরিকা
তীব্র দাবদাহে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় জনজীবন বিপর্যস্ত
যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে প্রচণ্ড দাবদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে রেকর্ড তাপমাত্রা ধারণ করা হয়েছে।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, যুক্তরাষ্ট্রে ভয়াবহ দাবদাহে বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। প্রচণ্ড গরমের জন্য ওয়াশিংটন, ওরেগনসহ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে সতর্কতা জারি করেছে জাতীয় আবহাওয়া বিভাগ। তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে পড়া থেকে বাঁচতে বাসিন্দাদেরকে সাবধানতা অবলম্বন করতে বলেছে বিভিন্ন শহরের কর্তৃপক্ষ। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাসিন্দাদের বাইরে না যাওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। গ্রাহকদেরকে কম বিদ্যুৎ খরচেরও পরামর্শ দিয়েছে বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলো।
মার্কিন জাতীয় আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহের শেষে এবং পরের সপ্তাহজুড়ে ওয়াশিংটন ও অরেগনের সব এলাকা এবং আইডাহো, ওয়াইয়োমিং ও ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের বিভিন্ন অংশে স্বাভাবিকের চেয়ে তাপমাত্রা ২০ থেকে ৩০ ডিগ্রি পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে। এজন্য অত্যধিক তাপমাত্রাজনিত সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সামনের কয়েকটি দিনে দেশটির দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। সিয়াটল, পোর্টল্যান্ডসহ বেশ কিছু স্থানে তাপমাত্রা আগের সব রেকর্ডকে ছাড়িয়ে যেতে পারে। তীব্র গরমে কিছু এলাকায় করোনার টিকা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
শনিবার সিয়াটলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পৌঁছেছে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। সোমবার শহরটিতে তাপমাত্রার রেকর্ড ভেঙে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছাতে পারে বলেও পূর্বাভাসে ধারণা দেওয়া হয়েছে।
শহরটির বাসিন্দাদের বেশি বেশি পানি পান, জানালায় পর্দা ব্যবহার, পাখা ব্যবহার এবং প্রয়োজনে কুলিং সেন্টারে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে স্থানীয় কর্মকর্তারা।
টুইটারে এক বাসিন্দা জানান, এটা অসহ্য। আমি একটা কাজে পোস্ট অফিসে গিয়েছিলাম। শেষ পর্যন্ত গাড়িতে করে বাড়ি ফিরতে হয়েছে। সানস্ক্রিন, শেড ব্রেক, প্রচুর পানি পান করেও প্রায় অচেতন হয়ে পড়েছিলাম।
অত্যধিক তাপমাত্রার কারণে বিদ্যুৎ বিভ্রাট, যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিঘ্ন এবং জরুরি চিকিৎসাসেবার ওপর চাপ বাড়তে পারে বলে ধারণা করছে অরেগনের মতনোমাহ এলাকার কর্মকর্তারা।
এক বিবৃতিতে দশটি রাজ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা প্যাসিফিক পাওয়ার জানিয়েছে, দাবদাহে তাদের সেবায় বিঘ্ন ঘটবে না বলে আশা করা হচ্ছে। তবে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে গ্রাহকদের কম বিদ্যুৎ খরচের পরামর্শ দিয়েছে তারা।
দাবদাহের কারণে কয়েকদিনে বিভিন্ন এলাকায় দাবানল দেখা যেতে পারে বলে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস। গেল বছর দাবানলে পুড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ১৭ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা। ধ্বংস হয়েছে হাজার হাজার বাড়িঘর।
বিশেষজ্ঞরা বলছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বৈশ্বিক উষ্ণতা বেড়ে যাওয়ায় এ ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ আরও ঘন ঘন দেখা দিতে পারে। এছাড়াও দাবদাহ, বন্যা ও ঝড়ের মতো দুর্যোগগুলোতে মারা যাবে বহু মানুষ।
এসএন
দক্ষিণ আমেরিকা
ভেনেজুয়েলার ‘বিতর্কিত নির্বাচনে’ মাদুরো জয়ী
ভেনেজুয়েলার ‘বিতর্কিত’ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন সমাজতান্ত্রিক পিএসইউভি পার্টির নেতা নিকোলাস মাদুরো।
দেশটির ন্যাশনাল ইলেক্টোরাল কাউন্সিলের (সিএনই) প্রধান ও মাদুরোর ঘনিষ্ঠ মিত্র এলভিস আমরোসো জানিয়েছেন, ৮০ শতাংশ ভোট গণনার পর দেখা গেছে- মাদুরো ৫১ দশমিক ২ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী বিরোধী জোটের প্রার্থী এডমান্ডো গঞ্জালেজ উরুতিয়া পেয়েছেন ৪৪ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ ভোট।
এদিকে, ভোট গণনায় ব্যাপক জালিয়াতির অভিযোগ এনে ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করার কথা জানিয়েছে মাদুরোর মূল প্রতিদ্বন্দী অ্যাডমুন্ড গঞ্জালেজ।
নির্বাচনের আগে হওয়া প্রায় সব জনমত জরিপে এগিয়ে ছিলেন গঞ্জালেজ। তবে যে কোনো উপায়ে মাদুরো ক্ষমতা ধরে রাখবেন বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন মাদুরো।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে গতকাল রোববার লাতিন আমেরিকার দেশটিতে ভোট হয়। দেশটিতে গেলো ১১ বছর ধরে ক্ষমতায় আছেন মাদুরো। গতকালের নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় তিনি তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন।
২৫ বছর ধরে দেশটির ক্ষমতায় রয়েছে মাদুরোর দল। তার মধ্যে টানা ১১ বছর ধরে প্রেসিডেন্ট হিসেবে রয়েছেন মাদুরো। বলা হচ্ছিল এবারের নির্বাচনে তিনি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বেন। কারণ তার মূল প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাডমুন্ড গঞ্জালেজ এবার ব্যাপক সমর্থন টানতে পেরেছিলেন।
ভোট গণনা উপলক্ষে বিরোধী জোট কেন্দ্রগুলোতে হাজারো পর্যবেক্ষক নিয়োগ করে। জোটের এক মুখপাত্র অভিযোগ করে বলেন, অনেক ভোটকেন্দ্র থেকে তাঁদের পর্যবেক্ষকদের বের করে দেয়া হয়েছে।
সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ না হওয়ার অভিযোগে ২০১৮ সালের নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছিল বিরোধীরা। এবারের নির্বাচনেও ব্যাপক কারচুপির আশঙ্কা করে আসছিল তারা।
জেএইচ
দক্ষিণ আমেরিকা
আমেরিকায় এ ধরনের সহিংসতার কোনো স্থান নেই : বাইডেন
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমাবেশে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে সাবেক এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট কানে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এরপরই এই হামলার বিষয়ে কঠোর নিন্দা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
তিনি বলেছেন, আমেরিকায় এ ধরনের সহিংসতার কোনো স্থান নেই। এমনকি এই ধরনের হামলা ক্ষমা করা করা যায় না বলেও জানিয়েছেন তিনি।
রোববার (১৪ জুলাই) এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
শনিবার (১৩ জুলাই) পিটসবার্গ থেকে প্রায় ৩০ মাইল (৫০ কিলোমিটার) উত্তরে পেনসিলভানিয়ার বাটলারে নির্বাচনী প্রচারণার সমাবেশে গুলিবিদ্ধ হন রিপাবলিকানের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই ঘটনায় সন্দেহভাজন হামলাকারী ও ট্রাম্পের এক সমর্থক নিহত হয়েছেন।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, ট্রাম্প মঞ্চে ওঠার কিছুক্ষণ পরেই পাশের একটি ভবনের ছাদে ওঠেন সন্দেহভাজন হামলাকারী। তার হাতে একটি রাইফেল ছিল।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, ‘আমেরিকাতে এই ধরনের সহিংসতার কোনো স্থান নেই। এটি অসুস্থ, এটি অসুস্থ (হামলা)।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘পেনসিলভেনিয়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমাবেশে গুলি চালানোর বিষয়ে আমাকে ব্রিফ করা হয়েছে। আমি কৃতজ্ঞ যে তিনি নিরাপদে ও ভালো আছেন।’
জো বাইডেন বলেন, ‘আমি তার (ট্রাম্প) জন্য এবং তার পরিবারের জন্য ও সমাবেশে যারা ছিলেন তাদের জন্য প্রার্থনা করছি। আমরা আরও তথ্যের জন্য অপেক্ষা করছি।
তিনি বলেন, আমি নিশ্চিত করতে চাই, আমাদের কাছে সমস্ত তথ্য আছে। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এজেন্সিগুলো গুলিবর্ষণের এই ঘটনায় তদন্তে কাজ করছে।
বাইডেন বলেন, পেনসিলভেনিয়ায় সহিংস এই হামলার ঘটনায় ‘সবাইকে নিন্দা করতে হবে।’
গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ট্রাম্পকে লক্ষ্য করেই এ হামলা চালানো হয়েছিল এবং এটি ছিল গুপ্তহত্যার প্রচেষ্টা।
জেএইচ
দক্ষিণ আমেরিকা
নির্বাচনী জনসভায় সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গুলিবিদ্ধ
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের বাটলারে এক নির্বাচনী জনসভায় বক্তৃতা দেয়ার সময় হামলার শিকার হন তিনি। একেবারে তার কানে গুলি লেগেছে। তবে এতে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছেন এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট। খবর বিবিসির।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, স্থানীয় সময় শনিবার একটি সমাবেশে ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে এই হামলা হয়। ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তাকে লক্ষ্য করে ‘একটি গুলি করা হয়েছে যা আমার ডান কানের ওপরের অংশে বিদ্ধ হয়েছে।’
রোববার (১৪ জুলাই) এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটি।
এরপরই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, আমাদের দেশে যে এমন হামলার ঘটনা ঘটতে পারে তা অবিশ্বাস্য।
সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেয়া এক পোস্টে ট্রাম্প জানান, ‘এটা অবিশ্বাস্য যে আমাদের দেশে এ রকম একটি ঘটনা ঘটেছে। হামলাকারী সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায়নি। হামলাকারী নিহত হয়েছেন।’ পোস্টের শেষে ট্রাম্প বলেন, ‘ঈশ্বর আমেরিকার মঙ্গল করুন!’
হামলার পরপরই তিনি মাটিতে পড়ে যান। এসময় তার মুখমণ্ডলে রক্ত দেখা গেছে। এই ঘটনার পর পরই সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা হামলাকারীকে গুলি করলে তিনি নিহত হন। এছাড়া আরও দুজন এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন বলে সিক্রেট সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
র্যালিতে উপস্থিত একজন প্রত্যক্ষদর্শী বিবিসিকে বলেন, গুলির শব্দ শোনার পর তারা একজন রাইফেলধারীকে ছাদে হামাগুড়ি দিতে দেখেছেন।
স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটের দিকে ট্রাম্পের ওপর হামলা হয়। পেনসিলভানিয়ায় এক নির্বাচনী প্রচারে এ ঘটনা ঘটে। হামলাকারীর গুলিতে আহত হয়েছেন ট্রাম্প। তবে তা গুরুতর নয়।
জেএইচ