ফুটবল
ডাচদের বিদায় করে শেষ আটে চেক প্রজাতন্ত্র
ইউরো ২০২০ এর এখন পর্যন্ত সবথেকে বড় অঘটন এটাকেই বলা যেতে পারে। র্যাংকিংয়ে ২৯ ধাপ এগিয়ে থাকা নেদারল্যান্ডকে বিদায় করেছে চেক প্রজাতন্ত্র। শেষ ষোলোর লড়াইয়ে ১০ জনের দলে পরিণত হওয়া হট ফেভারিট ডাচদের ২-০ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে প্যাট্রিক শিকের দল।
গ্রুপ পর্বে রীতিমতো উড়েছে মেম্ফিস ডিপাইরা। তিনে তিন জয়ে নিয়ে ফেভারিট হয়েই শেষ ষোলো খেলতে নেমেছিল কমলা শিবির। কারণ তাঁদের প্রতিপক্ষ যে ইংল্যান্ড-ক্রোয়েশিয়ার গ্রুপ থেকে তৃতীয় হওয়া চেক প্রজাতন্ত্র। যারা এতদূর এসেছে প্যাট্রিক শিকের দুর্দান্ত তিন গোলের সুবাদে। সেই শিক এদিনও গোলের দেখা পেয়েছেন। এই নিয়ে ৪ ম্যাচে ৪ গোল তাঁর। চেক প্রজাতন্ত্রের আক্রমণভাগ মূলত তাঁর কাঁধেই নির্ভার।
যদিও দলের আক্রমণভাগের চেয়ে এই জয়ের পেছনে কৃতিত্বটা রক্ষণভাগের খেলোয়াড়দেরই প্রাপ্য। ডাচদের একটাও অন টার্গেট শট নিতে দেয়নি তারা। বিশ্বকাপ-ইউরো মিলিয়ে ১৯৮০ সালের পর এবারই প্রথম প্রতিপক্ষের গোলমুখে কোন শট নিতে পারলো না নেদারল্যান্ড। বল পায়ে রাখার লড়াইয়ে এগিয়ে থাকলেও শট নেয়া কিংবা ফাউল করা- দুটোতেই যোজন যোজন এগিয়ে ছিল চেক প্রজাতন্ত্র। ডাচদের গোল অভিমুখে মোট ১২ টি শট নিয়েছে আন্ডারডগ চেক প্রজাতন্ত্র। আর ফাউল করেছে ১৪ টি।
বুদাপেস্টে আসা কমলা শিবিরের গগনবিদারী চিৎকার থমকে যায় অবশ্য ম্যাচের ৫৫ তম মিনিটেই। শিককে গোল দেয়া থেকে বিরত রাখতে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন ডাচ ডিফেন্ডার ডি লিট। ১০ জনের নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে এরপরেই ম্যাচের লাগাম নিজেদের হাতে নিয়ে নেয় চেকরা। ফলাফল হিসেবে ৬৮তম মিনিটে দলটিকে এগিয়ে নেন টমাস হোল। ২০০৪ সালের পর থেকে এটাই কিনা ইউরোর নকআউট পর্বে চেকদের করা প্রথম গোল।
এরপর গোল শোধ করতে গিয়ে দ্বিগুণ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে ২০১০ বিশ্বকাপের রানার্স আপরা। ম্যাচের ৮০ তম মিনিটে জয় নিশ্চিত করা শিকের গোলেই শেষ আটে পৌঁছায় চেক। চলতি টুর্নামেন্টে নিজের চতুর্থ গোল করে স্বদেশী ভ্লাদিমির মিসেরকে তিনি ধরে ফেললেন। আর একটা গোল করলেই চেকের কিংবদন্তি মিলান ব্যারসকে ধরে ফেলবেন শিক। কোয়ার্টারে দলটির প্রতিপক্ষ ডেনমার্ক।
এএ
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//