ফুটবল
রূপকথার জন্ম দিয়ে কোয়ার্টারে সুইজারল্যান্ড
রাউন্ড অব সিক্সটিনে অঘটনের শিকার ফ্রান্স। পেনাল্টি শ্যুটআউটে বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে প্রথমবারের মতো কোয়ার্টার ফাইনালে পৌছেছে সুইজারল্যান্ড।
কিলিয়ান এমবাপ্পের চোখে মুখে অবিশ্বাস। ঘোর কাটতে কয়েক মূহুর্ত লাগলো সুইজারল্যান্ডেরও। পেনাল্টি শ্যুটআউটে পিএসজি তারকার শট রুখে দিয়ে ততক্ষণে ইতিহাসের পাতায় সুইসরা। প্রথমবারের মতো ইউরোর শেষ আটে রেড ক্রস। সব মিলিয়ে ১৯৫৪ সালের পর প্রথম কোনো বড় আসরের কোয়ার্টারে ওঠা। বিপরীতে রাউন্ড অব সিক্সটিনে থামলো তারকায় ভরা বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের এবারের যাত্রা।
বুখারেস্টের শুরুটাও ছিলো সুইজারল্যান্ডের। ফরাসিদের বিপক্ষে লিড নিতে সময় নিলো মাত্র ১৫ মিনিট। বাঁ প্রান্ত দিয়ে ক্রস করেছিলেন স্টিভেন জুবের। সে ক্রস দেখে লাফিয়ে উঠলেন হারিস সেফেরোভিচ। রক্ষণের কেন্দ্রে থাকা লংলের দায়িত্ব ছিল সেফেরোভিচকে আটকে রাখার। কিন্তু বার্সা ডিফেন্ডার লংলে লাফও দেননি বল হেড দেওয়ার জন্য! ফলাফল? শুরুতেই ধাক্কা খায় ফ্রান্স।
বিরতির পর ব্যবধান দ্বিগুণ করতে পারতো সুইসরা। যদি না বাধার দেয়াল হয়ে দাঁড়াতেন হুগো লরিস। ৫৪তম মিনিটে বেঞ্জামিন পাভাড পেনাল্টি বক্সে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় সুইজারল্যান্ড। তবে রিকার্দো রদ্রিগেজ আগের তিনটি পেনাল্টির মতো এই স্পট কিকেও গোল করতে ব্যর্থ হন।
উল্টো ১৮ মিনিটের ফরাসি ঝড়ে লন্ডভন্ড সুইস রক্ষণ। ৫৭ মিনিটে শুরুটা করিম বেনজেমার। দুই মিনিটের ব্যবধানে পূর্ণ করেন গোলের জোড়া। আর ৭৫ মিনিটে শেষটায় পল পগবা।
তবে রোমাঞ্চের তখনও বাকি। শেষ দশ মিনিটে দুই গোল দিয়ে সমতায় ফেরে সুইজারল্যান্ড। ৮১ মিনিটে সেফেরোভিচের দ্বিতীয় আর ইনজুরি টাইমে গোল করে ফ্রান্সের হৃদয় ভাঙেন গ্যাভ্রানোভিচ।
৩-৩ গোলের সমতায় কাটে অতিরিক্ত ত্রিশ মিনিটও। ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। যেখানে নিজেদের ৫ শটে শতভাগ সফল সুইসরা। বিপরীতে প্রথম চার শটে পগবা, জিরু, থুরাম, কিমপেম্বে ফ্রান্সকে ম্যাচে রাখলেও শেষ শটে মিস করে খলনায়কে রূপ নেন এমবাপ্পে।
এএ
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//