ফুটবল
পিএসজির সর্বকালের সেরা একাদশে রোনালদিনহো-এমবাপ্পে
বরাবরই ফ্রান্সে শীর্ষ দল পিএসজি। ইতোমধ্যে ১০টি লিগ ওয়ান, ১৪টি কোপ কোপ ডি ফ্রান্স, ৯টি কাপল ডি লা লিগ এবং ১১টি ট্রফি দেস চ্যাম্পিয়নস গংস জিতেছে তারা।
হাঁটি হাঁটি পা পা করে ১৯৭০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় প্যারিস সেইন্ট জার্মেইন (পিএসজি)। সময়ের পরিক্রমায় ইউরোপিয়ান ফুটবলের পাওয়ারহাউসে পরিণত হয়েছে ফ্রেঞ্চ ক্লাবটি। এ সময়ে তাদের সেরা অর্জন ১৯৯৬ উয়েফা কাপ।
দীর্ঘ ৫২ বছরের ইতিহাসে পিএসজির হয়ে খেলেছেন বিশ্বের অসংখ্য ফুটবল সুপারস্টার। তাদের মধ্যে যাচাই-বাছাই করে সর্বকালের সেরা একাদশ তৈরি করা হয়েছে। খেলাধুলা বিষয়ক জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম গোল ডটকমের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
পিএসজির স্বপ্নের দলে স্থান পেয়েছেন ব্রাজিলের বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার রোনালদিনহো। তার সঙ্গে রয়েছেন ফ্রান্স সুপারস্টার কিলিয়ান এমবাপ্পে। তবে এই তালিকায় জায়গা হয়নি আর্জেন্টিনা ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসির। ঠাঁই পাননি ব্রাজিলীয় যুবরাজ নেইমারও।
পিএসজির সর্বকালের সেরা একাদশে গোলপোস্টের নিচে অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে আছেন বার্নার্ড লামা। ফ্রান্সের ১৯৯৮ বিশ্বকাপ এবং ২০০০ ইউরো কাপজয়ী দলে ছিলেন তিনি। সেই সঙ্গে ক্লাবটির হয়ে দুর্দান্ত দুটি মৌসুম কাটান এই বাজপাখি।
রাইটব্যাক হিসেবে স্থান পেয়েছেন মারকুইনহোস। ২০১৩ সাল থেকে পিএসজির হয়ে খেলছেন তিনি। এরই মধ্যে দলটির পক্ষে ২৫০ ম্যাচ খেলে ফেলেছেন ব্রাজিলীয় খেলোয়াড়। দ্য পারিসিয়ানদের হয়ে যা তৃতীয় সর্বোচ্চ। এসময়ে ২৬টি ট্রফি জিতেছে দলটি।
সেন্টার ব্যাক হিসেবে স্থান পেয়েছেন আরেক সেলেসাও তারকা থিয়াগো সিলভা। ইতোমধ্যে পিএসজির ক্যাপ্টেন ফ্যান্টাস্টিক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন তিনি। ২০১২ সালে এই দলে যোগ দেন এই ডিফেন্ডার। তার নেতৃত্বে প্রায় সবধরনের কাপ জিতেছে পিএসজি। ক্লাবটির হয়ে ৩১৫ ম্যাচ খেলেন তিনি।
লেফ্ট ব্যাক হিসেবে স্থান পেয়েছেন ম্যাক্সওয়েল। ২০১২ সালে পিএসজিতে যোগ দেন তিনি। দলটির হয়ে ২০০ ম্যাচ খেলেন এই রক্ষণসেনা। এসময়ে ফ্রান্সের প্রায় সব শিরোপা জিতেছে বিখ্যাত ক্লাবটি।
এই দলে রাইট মিডফিল্ডার হিসেভে আছেন সাফেট সুসিক। ১৯৮২ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত পিএসজিতে ৩৪৪ ম্যাচ খেলেন তিনি। দলটির সর্বকালের সেরা ফুটবলার সুসিক। ফ্রান্স ফুটবলের ভোটে এই খেতাব জেতেন তিনি।
পিএসজির স্বপ্নের টিমে সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার মার্কো ভেরাত্তি। ২০১২ সালে ক্লাবটিতে যোগদান করেন তিনি। ৮টি লিগ ওয়ান টাইটেল জিতেছেন এই ইতালিয়ান। যা আর কারো নেই। সবমিলিয়ে দলের হয়ে ২৫০ ম্যাচ খেলেন তিনি।
লেফট মিডফিল্ডার হিসেবে রয়েছেন কিংবদন্তি রোনালদিনহো। মূলত তার মাধ্যমে বিশ্বে পরিচিতি পায় পিএসজি। ২০০১ সালে ক্লাবটিতে যোগদান করেন তিনি। দলের হয়ে ৭৭ ম্যাচে ২৫ গোল করেন এই জাদুকর। সাধারণত তার কাছেই জায়গা হারিয়েছে মেসি।
পিএসজির সর্বকালের সেরা একাদশে রাইট ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপ্পে। ২০১৭ সালে মোনাকো ছেড়ে ক্লাবটিতে যোগদান করেন তিনি। মূলত, সেখানে থেকেই বিশ্ব তারকা বনে গেছেন ২৪ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড।
এমবাপ্পের চোখধাঁধানো পারফরম্যান্সে ২০১৯-২০ মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে ওঠে পিএসজি। তবে শিরোপা জিততে পারেনি দলটি। সেটা এখনও তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে তাকে। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ গোল তারই। মূলত তার কাছে স্থান খুইছেন নেইমার।
আলোচিত দলে সেন্টার ফরোয়ার্ড জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ। ২০১২ সালে পিএসজিতে যোগদান করেন তিনি। ক্লাবটির ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা এই সুইডিশ মায়েস্ত্রো। ১৮০ ম্যাচে করেন ১৫৬ গোল।
পিএসজির স্বপ্নের দলে লেফট ফরোয়ার্ড এডিনসন কাভানি। ২০১৩ সালে ক্লাবটিতে যোগদান করেন তিনি। এরপর ৩০১ ম্যাচে ২০০ গোল করেন এই উরুগুইয়ান। দলের হয়ে রেকর্ড ২২টি ট্রফি জেতেন তিনি।
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন