উত্তর আমেরিকা
মার্কিনিরা সরাসরি শরণার্থীদের স্পন্সর হতে পারবেন
এখন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আনতে বা পুনর্বাসনের জন্য শরণার্থীদের সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতা (স্পন্সর) করতে পারবেন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরা। জানা যায় স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার থেকে ‘ওয়েলকাম কর্পস’ কর্মসূচির আওতায় এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হতে যাওয়া ওয়েলকাপ কর্পস কর্মসূচির অধীনে শরণার্থীদের স্পনসর করতে হলে, মার্কিন নাগরিকদের কমপক্ষে পাঁচজনের একটি গ্রুপ তৈরি করতে হবে। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এসব বলা হয়।
কর্মসূচির সঙ্গে জড়িত তিন ব্যক্তি বলেন, সরকার পাঁচজনের ওই গ্রুপকে নির্দিষ্ট সংখ্যক শরণার্থী নির্ধারণ করে দেবে ও গ্রুপটি প্রত্যেক শরণার্থীর জন্য সর্বোচ্চ ২ হাজার ২৭৫ মারি্কন ডলার সংগ্রহ করতে পারবে। এছাড়া, পৃষ্ঠপোষক গ্রুপগুলোকেও ব্যাকগ্রাউন্ড চেক পরীক্ষায় পাস করতে হবে ও শরণার্থীদের নিয়ে তাদের কী পরিকল্পনা রয়েছে তা স্পষ্ট করে জানাতে হবে।
অনেকের দাবি, এমন পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রে শরণার্থী প্রবেশের গতি-সংখ্যা আরও বাড়াবে ও এ সংক্রান্ত সরকারি খরচ কমাতে কার্যকরি ভূমিকা রাখবে। এ কর্মসূচির মূল লক্ষ্য হলো, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৫ হাজার শরণার্থীর জন্য মার্কিন পৃষ্ঠপোষক খুঁজে বের করা। মার্কিন এ অর্থবছর শেষ হবে ৩০ সেপ্টেম্বর।
পুনর্বাসনের প্রয়োজন এমন ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা সংস্থা রিফিউজপয়েন্টের প্রতিষ্ঠাতা সাশা চ্যানফ বলছেন, নতুন এ কর্মসূচির মাধ্যমে ১৯৮০ সালে শুরু হওয়া মার্কিন শরণার্থী প্রোগ্রামের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হতে পারে। তাছাড়া, মার্কিন নাগরিকরাও এ সংক্রান্ত কাজ করার আরও বেশি সুযোগ পেতে চলেছেন।
রয়টার্স বলছে, ইউএস রিফিউজি রিসেটেলমেন্ট প্রোগ্রামের মাধ্যমে শরণার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে আসা হবে। আর রিফিউজি রিসেটেলমেন্ট প্রোগ্রামটি জাতিসংঘ ও মার্কিন দূতাবাস থেকে সুপারিশ করা হয়।
জানা যায়, কানাডাতেও শরণার্থীদের জন্য এমন পৃষ্ঠপোষক কর্মসূচি ব্যবহার করা হয়। তাই সুরক্ষা বা আশ্রয় চাওয়া বিদেশিদের সহায়তা করার জন্য ও মার্কিন নাগরিকদের শরণার্থীদের নিয়ে কাজ করার সুযোগ করে দিতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রেও এ ধরণের কর্মসূচি প্রণয়ন করলেন।
চলতি মাসের শুরুর দিকে বাইডেন প্রশাসন জানায়, এখন থেকে প্রতি মাসে চারটি অনুন্নত দেশের ৩০ হাজার অভিবাসীকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সুযোগ দেয়া হবে। মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় নেয়া ওই পদক্ষেপের অধীনে প্রতি মাসে কিউবা, নিকারাগুয়া, হাইতি ও ভেনেজুয়েলা নির্দিষ্ট পরিমাণ বৈধ অভিবাসী এ সুযোগ পাবেন।
জানা যায়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট চলতি অর্থবছরে ১ লাখ ২৫ হাজার শরণার্থীকে যুক্তরাষ্ট্রে লক্ষ নির্ধারণ করেছেন। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গেলো বছরের ১ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এ অর্থবছরে এখন পর্যন্ত ৬ হাজার ৭৫০ জন শরণার্থী যুক্তরাষ্ট্রে এসেছেন।
আন্তর্জাতিক
যুক্তরাষ্ট্র অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত : মার্কিন মুখপাত্র
অন্তর্বর্তী সরকার এবং ড. ইউনূসের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত। অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশের জনগণের জন্য গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে বলে জানিয়েছেন, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের শপথ নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে মিলার বলেন, বাংলাদেশের জন্য আজ একটি শুভ দিন। নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ইউনূস সবেমাত্র বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্র এ সরকারকে অভিননন্দ জানিয়েছে কি না এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ ডি’অ্যাফেয়ার্স আজ শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এবং তারা সাম্প্রতিক সহিংসতা বন্ধের জন্য ড. ইউনুসের আহ্বানকে স্বাগত জানাচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, এসময়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের যোগাযোগ হয়েছে বলেও জানান ম্যাথিউ মিলার। তবে কোন বিষয়ে যোগাযোগ হয়েছে তিনি সে বিষয়ে বিস্তারিত বলেন নি।
আই/এ
উত্তর আমেরিকা
গাজার পরিস্থিতি নিয়ে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীকে চাপ দিলেন কামলা হ্যারিস
গাজার মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে চাপ প্রয়োগ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কামলা হ্যারিস।
যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ( ২৫ জুলাই) হোয়াইট হাউজে নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ বিষয়ে নেতানিয়াহুকে চাপ প্রয়োগ করেন। এর মধ্য দিয়ে কামলা প্রেসিডেন্ট হলে ইসরাইল ইস্যুতে কিভাবে যুক্তরাষ্ট্রের নীতিতে পরিবর্তন আনবেন তা স্পষ্ট হয়। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
বৈঠকের পর সাংবাদিকদের কামলা বলেন, ‘ইসরাইলের আত্মরক্ষার অধিকার আছে। কিন্তু সেটি কীভাবে করা হচ্ছে তা গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি বলেন, ‘আমি গাজায় ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতি সম্পর্কে আমার উৎকণ্ঠা জানিয়েছে। আমি চুপ করে থাকব না।’
হ্যারিসের এই তীক্ষ্ণ ও জোরালো মন্তব্যের মধ্য দিয়ে তিনি কিভাবে নেতানিয়াহুকে মোকাবেলা করছেন সে বিষয়ে বাইডেনের সঙ্গে তার পার্থক্য পরিষ্কার হয়ে উঠেছে।
এর কয়েক ঘন্টা আগে, প্রেসিডেন্ট বাইডেন নেতানিয়াহুর সঙ্গে হোয়াইট হাউজে বৈঠক করেন। গেলো ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর বাইডেনের ইসরাইলে সফর শেষে এটিই নেতানিয়াহুর সঙ্গে তার প্রথম মুখোমুখি আলোচনা। এই আলোচনায় গাজায় ৯ মাস ধরে চলা সংঘাতে একটি যুদ্ধবিরতির জন্য নেতানিয়াহুকে চাপ দেন বাইডেন।
এদিকে হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, যুদ্ধবিরতির বিষয়ে এখনও ইসরাইল এবং হামাসের মধ্যে ব্যবধান রয়ে গেছে তবে আমরা আগের চেয়ে এখন চুক্তির কাছাকাছি আছি। যা আগে কখনও ছিলাম না।
নেতানিয়াহুর এই সফর এমন সময় হলো যখন মার্কিন রাজনীতিতে পরিবর্তন এসেছে। রোববার ( ২১ জুলাই) ৮১ বছরের বাইডেন ডেমোক্র্যাটদের চাপে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন এবং দলের ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট মনোনয়নের জন্য হ্যারিসকে সমর্থন করেন।
জেএইচ
উত্তর আমেরিকা
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দৌঁড়ে ‘শেষ পর্যন্ত’ থাকছেন বাইডেন
২০২৪ সালের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের লড়াইয়ে জো বাইডেন সরে যাচ্ছেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নির্বাচনী দৌঁড় থেকে কেউ তাকে বাইরে ঠেলে দিচ্ছে না। তিনি দলের মনোনীত প্রেসিডেন্ট প্রার্থী। সব চাপ উপেক্ষা করে লড়াইয়ে ‘শেষ পর্যন্ত’ থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আমেরিকার এই প্রেসিডেন্ট।
স্থানীয় সময় বুধবার (৩ জুলাই) ডেমোক্রেটিক দলের নির্বাচনী প্রচারাভিযানে থাকা কিছু কর্তা ব্যক্তির সঙ্গে এক ফোনালাপে তিনি এ কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি দেয়া প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
জো বাইডেন গেলো সপ্তাহে তার দুর্বল বিতর্কের জন্য ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন। নির্বাচনী দৌঁড় থেকে সরে যেতে তার ওপর চাপ কার্যত বেড়েই চলেছে। এমনকি নিজের দল ডেমোক্রেটিক পার্টির ভেতর থেকেও চাপের মুখে পড়েছেন তিনি। এমন পরিস্থিতিতেই বাইডেনের এই ফোনকল।
বিবিসির প্রতিবেদন বলছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বুধবার তার প্রচারণা কর্মীদের সঙ্গে ফোন কলে কথা বলেন এবং ডেমোক্র্যাটিক আইন প্রণেতা ও গভর্নরদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এসময় আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়াইয়ে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
আসন্ন এই নির্বাচনকে সামনে রেখে গেলো বৃহস্পতিবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের আটলান্টায় সিএনএনের স্টুডিওতে ট্রাম্প ও বাইডেনের মধ্যে বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়।
বিতর্কে পররাষ্ট্রনীতি, অর্থনীতি, সীমান্ত ইস্যু, সামাজিক নিরাপত্তা, চাইল্ড কেয়ার, কংগ্রেস ভবনে হামলার ঘটনা এবং গর্ভপাতসহ বিভিন্ন ইস্যুতে কথা বলেন জো বাইডেন ও ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই বিতর্কে বাইডেনের পারফরম্যান্স ছিল অত্যন্ত দুর্বল। অনেকেই বলছেন, ৮০ বছরের বেশি বয়সী বাইডেনের এবার আর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা উচিত নয়। কারণ, তিনি ঠিকমতো কথা বলতে পারছেন না। বিতর্কের সময় প্রতিপক্ষের কথার জবাবও দিতে পারছেন না।
নির্বাচনী প্রচারণার শুরু থেকেই বাইডেনের বয়স এবং কর্মক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন সাবেক এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট।
এমন অবস্থায় বুধবার প্রচারণা কর্মীদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি ডেমোক্র্যাটিক আইন প্রণেতা ও গভর্নরদের সঙ্গে বৈঠক করেন বাইডেন। এর মাধ্যমে তিনি মূলত গেলো সপ্তাহের বিতর্কে নড়বড়ে পারফরম্যান্সের পরে তাকে নির্বাচনী লড়াই বাদ দেয়ার আহ্বানগুলো ঝেড়ে ফেলেন।
তবে ডেমোক্রেটিক পার্টির অনেকেই মনে করছেন, দলের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে জো বাইডেনের আগামী নভেম্বরের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা উচিত হবে না।
টিআর/
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন