ক্রিকেট
৪ জুলাই থেকে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় আসর
ইংল্যান্ড-ভারত টেস্ট সিরিজ দিয়ে নতুন মোড়কে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় আসর শুরু হচ্ছে ৪ জুলাই থেকে। যেখানে বাংলাদেশ সবচেয়ে কম ১২ ম্যাচ খেলবে। টাইগারদের প্রথম সিরিজ নভেম্বরে ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে।
সাউদাম্পটনে ফাইনালের উত্তেজনা শেষ না হতেই শুরু হচ্ছে দ্বিতীয় টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। সেটা ইংল্যান্ডের মাটিতেই। রানার্সআপ ভারতকে সঙ্গী করে। প্রতিপক্ষ বদলে খেলবে স্বাগতিকরা ।
আগামী দুই বছর টেস্ট ক্রিকেটকে নতুন মাত্রা দিতে টুর্নামেন্টে বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছে আইসিসি। র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ নয় দল এবারও থাকছে। ১২৩ ম্যাচের লড়াই শেষে ফাইনাল ২০২৩ সালে।
যেখানে প্রতিটি দল তিনটি করে হোম ও অ্যাওয়ে সিরিজ খেলবে। বাংলাদেশ দুই ম্যাচের সিরিজ খেলবে প্রতিটিতে। সবচেয়ে বেশি পাঁচ ম্যাচ ইংল্যান্ড-ভারত পাতৌদি ট্রফিতে। এ বছরের অ্যাশেজেও থাকবে ৫ টেস্ট।
নভেম্বরে পাকিস্তানের বিপক্ষে হোম সিরিজ দিয়ে শুরু হবে বাংলাদেশের অভিযান। এ বছরই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজও হবে দেশের মাটিতে। ২০২২এ বাকি চার সিরিজ। জানুয়ারিতে নিউজিল্যান্ড, মার্চে দক্ষিণ আফ্রিকা আর জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর। শেষ সিরিজটি হবে নভেম্বরে ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে।
বাংলাদেশের ম্যাচ সংখ্যা ১২। সেখানে প্রায় দ্বিগুন ম্যাচ খেলবে ইংল্যান্ড। ভারত ১৯, অস্ট্রেলিয়া ১৮, দক্ষিণ আফ্রিকা ১৫ ও পাকিস্তান খেলবে ১৪ ম্যাচ। নিউজিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও শ্রীলঙ্কার সমান ১৩ ম্যাচ।
পয়েন্ট পদ্ধতিতেও পরিবর্তন আসছে। আগের মত সিরিজ ভিত্তিক ১২০ পয়েন্টের পরিবর্তে ম্যাচ হিসাবে পয়েন্ট পাবে দলগুলো। যেখানে জিতলে এবার ১২ পয়েন্ট। ড্র হলে ৪ আর টাই হলে ৬ পয়েন্ট। থাকছে জরিমানা প্রথাও। সময়ের হিসাবে ওভাররেট কম থাকলে এক পয়েন্ট করে জরিমানা গুনতে হবে দলকে।
তবে প্রতিটি দলই ছয়টি করে সিরিজ খেলবে। যার তিনটি হোমে আর তিনটি বিদেশে। ছয় সিরিজ শেষে পয়েন্টকে ম্যাচের শতাংশের হিসাবে সমান করা হবে। সেখান থেকে শীর্ষ দুই দল খেলবে ফাইনাল।
এএ
ক্রিকেট
ক্রিকেট বোর্ডে পরিবর্তন প্রসঙ্গে যা বললেন বিজয়
পাকিস্তান ‘এ’ দলের বিপক্ষে সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। এছাড়াও বাংলাদেশ জাতীয় দলের সফর আছে একই সময়ে। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) গণমাধ্যমের সাথে কথা বলেছেন এনামুল হক বিজয়।
বিজয় বাংলাদেশ ‘এ’ দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করবেন। বর্তমানে দেশের পরিস্থিতি কিছুটা অস্থির। সোমবার (৫ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। এরপর থেকে দেশের বিভিন্ন স্তরে পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে, কিছু জায়গায় পরিবর্তনের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে।
বিসিবির বিভিন্ন জায়গায় পরিবর্তনের দাবিও তোলা হয়েছে। এমনকি ক্রিকেটারদের মধ্যে ইমরুল কায়েস ও রুবেল হোসেনও এই প্রসঙ্গে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। দলে সুযোগ পাওয়া বা না পাওয়া নিয়ে এনামুল হক বলেন, ‘এটা তো হতেই থাকবে। এটা আপনিও কখনো বলতে পারবেন না যে আপনার সঙ্গে হয়নি। এটা হতেই থাকে। তারপরও এটা সামনে যত কম হয় সেই আশা আমরা করবো।’
বোর্ডের বিভিন্ন স্তরে পরিবর্তনের কথা অনেকেই উচ্চারণ করেছেন শেখ হাসিনা চলে যাওয়ার পরপর। এই পরিবর্তন প্রসঙ্গে এনামুল হক বলেন,
‘আমার কাছে মনে হয় এটার (ক্রিকেট বোর্ড) বড় আলোচনা জরুরী। দুজন একজনের কথায় আসলে এটা হবে না। ব্যক্তিগতভাবে বললে, আমি চাই বড় গ্রুপ যারা আমরা সবাই ক্রিকেট নিয়ে কাজ করি তারা একত্রে বসে আলোচনা করে এটা করা। যারা ক্রিকেট খেলেছি, কেউ খেলেছে বা সামনে কেউ খেলবে। বড় ধরনের আলোচনা দরকার। যার যেটা প্রয়োজন সেটা তারা বলবে। যেখানে যে আছে।’
এম এইচ//
ক্রিকেট
পাকিস্তানের টেস্ট দলে এইচপি কোচ হলেন টিম নিলসন
টিম নিলসনকে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) নতুন হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে। বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ সামনে রেখে এই নিয়োগ দিয়েছে পাকিস্তান বোর্ড।
পাকিস্তানের লাল বলের ক্রিকেটে দায়িত্বে আছেন জেসন গিলেস্পি। যার কোচিং স্টাফে যুক্ত হতে যাচ্ছেন টিম নিলসন। ইতোমধ্যে এই দুই কোচ পাকিস্তান শাহীন’স এ দলের ট্রেনিং ক্যাম্প পর্যবেক্ষণ করেছেন।
বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ সামনে রেখে আগস্টের ১১ তারিখ থেকে শুরু হতে যাচ্ছে পাকিস্তানের ট্রেনিং ক্যাম্প। রাওয়ালপিন্ডিতে দুই দল প্রথম ম্যাচটি খেলবে আগস্টের ২১ থেকে ২৫ তারিখ। আর দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচটি দুই দল খেলবে আগস্টের ৩০ থেকে সেপ্টেম্বরের ৩ তারিখ পর্যন্ত।
সাউথ অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটে গিলেস্পির সাথে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে নিলসনের। সবমিলিয়ে তার অভিজ্ঞতার ঝুলি বেশ ভারী।
সম্প্রতি পিসিবি বাংলাদেশ সিরিজের জন্য স্কোয়াড ঘোষণা করেছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের বিপক্ষে খেলার জন্যেও দল ঘোষণা করেছে পাকিস্তান শাহীন’স।
এম এইচ//
ক্রিকেট
দুই মাসের ছুটি চান অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিন
বাংলাদেশ ‘এ’ দলের পাকিস্তান সফর থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। মানসিকভাবে বেশ ভেঙে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। এই প্রেক্ষিতে সকল ধরনের ক্রিকেট থেকে ২ মাসের ছুটি চেয়েছেন তিনি।
পাকিস্তান ‘এ’ দলের বিপক্ষে চারদিনের দুই ম্যাচের সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ, পাশাপাশি ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দলে ছিলেন সাইফউদ্দিন। এই মাসের শুরুতে একজন নির্বাচক ইমেইল করেন এই অলরাউন্ডার। এরপর জানিয়ে দেন, তিনি ক্রিকেট থেকে আপাতত বিরতি নিতে চান এবং তা দুই মাসের জন্য।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের একজন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
জুনে অনুষ্ঠিত আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে যুক্ত হতে না পারা এবং গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি খেলতে কানাডায় যেতে না পারা- সাইফউদ্দিনের জন্য বেশ হতাশার ছিল। এসব কারণেই তিনি আগামী ২ মাস সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিজেকে দূরে রাখতে চান। এই সিদ্ধান্তকে ইতিবাচকভাবে দেখার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
গত মে মাসে, বাংলাদেশের হয়ে সবশেষ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছিলেন সাইফউদ্দিন।
এম এইচ//