লাইফস্টাইল
যে জিনিসগুলো রাখতে পারেন হ্যান্ডব্যাগে
অনেকের মনেই প্রশ্ন আসে মেয়েদের ওই হ্যান্ডব্যাগটিতে কি কি থাকে। কি কি থাকে না- বলুন তো মেয়েদের হ্যান্ডব্যাগে!
তবে মেয়েরা অনেক সময় বুঝে উঠতে পারেন না তাদের দৈনন্দিন ব্যবহৃত ব্যাগটিতে আসলে কি কি রাখা উচিৎ। তবে প্রতিটি মেয়েকেই এ বিষয়ে জানতে হবে। কারণ, হাতব্যাগে উল্টোপাল্টা জিনিস রেখে তা বোঝাই করার কোনও প্রয়োজন নেই। বরং, প্রয়োজনীয় জিনিস রাখলে আপনার কাজে দেবে।
চলুন জেনে নেয়া যাক, বাইরে বেরোনের সময় আপনার হ্যান্ডব্যাগে ঠিক কী কী রাখা উচিত-
এটা কখনও মিস করা যাবে না
আমাদের সবারই ব্যাগে এই জিনিসটা রাখা উচিত। কারণ, এটা নিতে যদি ভুলে যান তাহলে আর দুর্ভোগের শেষ থাকবে না। ঠিক ধরেছেন, বলছিলাম টাকা পয়সা কথা। ব্যাগে সবসময়ই টাকা পয়সার ব্যাগ বা মানিব্যাগটি রেখে দিন। তাহলে তাড়াহুড়ো করে বেরনোর সময়েও ভুলে যাবেন না এই টাকা পয়সা বা মানিব্যাগের কথা। প্রয়োজনের চেয়ে কিছু বেশি টাকা ও ডেবিট কার্ডটি সব সময় হাতব্যাগে রাখুন।
প্রয়োজনীয় ওষুধ
আমাদের সবারই কিছু প্রয়োজনীয় ওষুধ আছে। যা সব সময়ই হাতব্যাগে থাকা প্রয়োজন। অন্তত যখন বাইরে বের হবেন তখন। আপনার প্রয়োজনীয় ওষুধের একটি তালিকা করে সেই ওষুধগুলো এখনই ব্যাগে ভরে ফেলুন। এছাড়াও প্রয়োজনীয় ওষুধ যেমন প্যারাসিটামল, পেটের ওষুধ, ইনহেলারের মতো ওষুধগুলো সবসময়ই আপনার ব্যাগে রাখা দরকার। এছাড়া অ্যালার্জি জনিত সমস্যা থাকলে সেই ওষুধ রাখুন। আর ব্যান্ডেডের মতো প্রাথমিক ফার্স্ট এইডও রেখে দিন হ্যান্ডব্যাগে।
ফোনের চার্জার বা পাওয়ার ব্যাঙ্ক
মোবাইল ফোনের চার্জার সব সময় ব্যাগে রাখা উচিত। কারণ বর্তমানে মোবাইল ফোন খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস। বাইরে বের হওয়ার পর মাঝপথে যদি আপনার ফোনের চার্জ ফুরিয়ে যায়, তখন কিন্তু ভোগান্তির শেষ থাকে না। বাড়ি থেকে অনেক সময়ই আমাদের ফোন ফুল চার্জ করে বেরনো হয় না। তাই এ সময়ে ব্যাগে ফোনের চার্জার রাখুন। নাহলে পাওয়ার ব্যাঙ্ক রাখতে পারলে তো খুবই ভালো।
পানির বোতল ও ছাতা
এই দুই জিনিস অবশ্যই আপনার হ্যান্ডব্যাগে রাখতে হবে। নাহলে কিন্তু রাস্তায় বেরিয়ে মুশকিলে পড়বেন আপনি। কখনও প্রখর রোদ আবার কখনও ছায়া। তাই সব সময় অবশ্যই আপনার হ্যান্ডব্যাগে ছাতা রাখুন। তার সঙ্গে পানির বোতলও রাখতে হবে ব্যাগে। ঘর থেকে বের হলে ব্যাগে সবসময় পানি রাখা দরকার। আপনি কিনে নিতেই পারেন। কিন্তু সবসময় রাস্তায় পানির বোতলের দোকান নাও পেতে পারেন। তাই নিজের পানির বোতল সঙ্গে রাখাই ভালো।
রাখতে হবে এটাও
মহিলাদের ব্যাগে টাকা-পয়সা বাদে আর অন্য কোনও গুরুত্বপূর্ণ জিনিস থাক বা না থাক, এটা রাখতেই হবে আপনাকে। সেটা হল স্যানিটারি ন্যাপকিন বা ট্যাম্পনস বা মেনস্ট্রুয়াল কাপ। মেনস্ট্রুয়াল কাপ ব্যবহার করলে সেটাই আপনার ব্যাগে রাখুন কাপড়ে মুড়িয়ে। কিন্তু তা হলেও আপনার ব্যাগে সব সময় স্যানিটারি ন্যাপকিন রাখতে হবে। এই স্যানিটারি ন্যাপকিন হয়তো আপনার প্রয়োজন নাও হতে পারে, কিন্তু আপনার অপরিচিত বা পরিচিত কোনও মহিলার কাজে আসতেই পারে। তাই ব্যাগে কখনও এই জিনিসটা রাখতে ভুলে যাবেন না ।
মহিলারা এটা কখনও ভোলেন না!
আপনি বাইরে বোরেচ্ছেন? তাহলে এটা কীভাবে ভুলে যেতে পারলেন আপনি? আমরা সাজ-সরঞ্জামের কথা বলছি! না এটা নিয়ে বেশি ভাবার কিংবা লজ্জা পাওয়ার কিছুই নেই। নিজেকে একটু সাজিয়ে গুছিয়ে রাখা খারাপ নাকি? আপনার ব্যাগে রাখুন কমপ্যাক্ট পাউডার। আর অবশ্যই পছন্দের লিপস্টিক ও পারফিউম রাখতে ভুলবেন না। কিছু ওয়েট টিস্যুও ব্যাগের মধ্যে রেখে দিন। তাহলেই হবে! অতিরিক্ত জিনিসে ব্যাগ বোঝাই হবে না। আবার প্রয়োজনীয় জিনিসগুলোও আপনার ব্যাগের মধ্যেই থাকবে।
পরামর্শ
মুখে ঘা দূর করতে মেনে চলুন ৫ উপায়
খাওয়া দাওয়ার সময় বা কথা বলার সময়ে মুখে ঘা হলে বেশ সমস্যায় পড়তে হয়। এই সমস্যা দীর্ঘদিন সহ্য না করাই উত্তম। এই সমস্যা কিন্তু একসময় মুখে আলসারেরও লক্ষণ হতে পারে। মুখের আলসারকে সামান্য ঘা ভেবে অবহেলা করলেই বিপদে পড়বেন। কোষ্ঠকাঠিন্য, হরমোন জনিত সমস্যার কারণে মুখের ভিতরে আলসার হতে পারে। অনেকে আবার ব্রেসেস পড়েন, তাঁদেরও মাঝেমাঝে এই সমস্যা হয়। শরীরে ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি, আয়রন, জিঙ্ক, ফোলেটের ঘাটতির কারণেও মুখের ঘা থেকে আলসার হতে পারে।
মুখে ঘা হলে কিছুদিনের জন্য ঝাল, টক জাতীয় খাবার এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। না হলে মুখে জ্বালা অনুভূত হবে। মুখে ঘা হলে মুক্তি পেতে পারেন ৫ উপায়ে ।
১) মুখের ঘা কমাতে হালকা গরম পানিতে সামান্য লবন মিশিয়ে কুলকুচি করুন। এতে আরাম পাবেন। দিনে তিন থেকে চার বার করলে ব্যথা ও ঘা দুটোই কমে আসবে।
২) ঘায়ের জায়গায় সামান্য মধু লাগিয়ে রাখতে পারেন, ভালো উপকার পাবেন। কয়েক ঘণ্টা অন্তর অন্তর মধু লাগালে সুফল পাবেন।
৩) ঘায়ের জায়গায় বিশুদ্ধ নারিকেল তেল লাগিয়ে রাখলেও বেশ আরাম পাবেন।
৪) যে কোনও ঘায়ের জন্য ভালো প্রাকৃতিক ঔষধ হতে পারে হলুদ। মুখে যে জায়গায় ঘা হয়েছে, সেই স্থানে হলুদ বাটা লাগিয়ে রাখতে পারেন। কিছু দিন ব্যবহার করলেই ঘায়ের তীব্র জ্বালা-যন্ত্রণা কমে আসবে।
৫) বেকিং সোডা ঘা সারাতে দারুণ উপকারী একটি জিনিস। এক কাপ পানিতে এক চা চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে কুলকুচি করলে ঘা কমে যাবে। এছাড়া বেকিং সোডার সঙ্গে সামান্য পানি মিশিয়ে একটা ঘন পেস্ট তৈরি করে নিতে পারেন। সেই পেস্ট ক্ষতস্থানে লাগিয়ে রাখলেও বেশ উপকার পেতে পারেন।
জেডএস/
লাইফস্টাইল
জুতো-মোজার দুর্গন্ধ দূর হবে যেভাবে
এসে গেছে বৃষ্টির দিন। দিনভর ঘ্যানঘ্যানে বৃষ্টিতে বাড়ি থেকে বের হওয়াই সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। বাড়ি থেকে বেরিয়েই কাকভেজাহয়ে অফিসে যাচ্ছে মানুষ। জুতো থেকে মোজা, সব ভিজে একেবারে চুপচুপে। সেই জুতো-মোজা পরেই সারাদিন কাটিয়ে দেয়া।
সবশেষে ঘরে পৌছে জুতো খুলতেই বিকট গন্ধ! এই পরিস্থিতির সম্মুখীন অনেকেই হচ্ছেন নিশ্চয়ই? এই সমস্যা দূর করতে ঘরোয়া কিছু টিপসে খুব সহজেই দূর করতে পারবেন জুতো, মোজার এই বাজে গন্ধ।
আসুন জেনে নেই তাহলে –
১. ছোট্ট একটি কাপড়ে অল্প পরিমাণ বেকিং সোডা নিয়ে ছোট পুটলি বানিয়ে মোজার মধ্যে রেখে দিন। দেখবেন মোজা থেকে দুর্গন্ধ দূর হবে।
২. ন্যাপথোলিন গুঁড়ো করে নিয়ে ট্যালকম পাউডারের সঙ্গে তা মিশিয়ে জুতোর মধ্যে ছড়িয়ে দিন। দেখবেন জুতোয় আর দুর্গন্ধ হচ্ছে না।
৩. বাড়িতে ফিরেই ভিজে জুতো ভালো করে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিন। তারপর জুতোর মধ্যে কিছু পরিমাণ বেকিং সোডা ছিটিয়ে দিন।
পরের দিন জুতোর ভিতর ভালো করে মুছে ফেলুন। দেখবেন গন্ধ দূর হয়েছে।
৪. জুতোর মধ্যে এক টুকরো ফেব্রিক সফটনার সিট রেখে দিন রাতে। পরদিন সেটি বের করে জুতো পরুন। বাজে গন্ধ একেবারে দূর হয়ে যাবে।
৫. বাড়িতে ফিরে জুতো ধুয়ে হেয়ার ড্রায়ার চালিয়ে হালকা শুকিয়ে নিন। এবার এক টুকরো কাপড় বা তুলো লবঙ্গ তেলে ভিজিয়ে জুতোর মধ্যে রেখে দিন সারারাত। জুতোর দুর্গন্ধ দূর হবে।
৬. ফুটন্ত জলে টি ব্যাগ ফেলে রাখুন ২ মিনিট। টি ব্যাগ ঠাণ্ডা হলে জুতোর মধ্যে রেখে দিন। এক ঘণ্টা পর তা সরিয়ে জুতোর ভেতরের অংশ ভাল করে মুছে নিন। দুর্গন্ধের পাশাপাশি দূর হবে তাতে থাকা ব্যাকটেরিয়াও।
জেডএস//
রেসিপি
ম্যাংগো পুডিং তৈরির রেসিপি
আমের সিজনে অনেকেই আমের পাল্প ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করেন। সেই ম্যাংগো পাল্প দিয়েই ম্যাংগো পুডিং বানানো যাবে। আর আমের সিজনে তো ফ্রেশ আমই ব্যবহার করতে পারবেন। ছোট বাচ্চাদের জন্য এটি বেশ হেলদি একটি ডেজার্ট আইটেম। মাত্র ৪টি উপাদান দিয়েই ইয়াম্মি ইয়াম্মি ম্যাংগো পুডিং বানিয়ে নেয়া যায়। চলুন দেরি না করে রেসিপিটি জেনে নেই এখনই।
উপকরণ
ঘন দুধ- ১ কাপ
চিনি- স্বাদ অনুযায়ী ( আমি হাফ কাপ দেই )
আম- ২টি
ডিম- ২টি
ম্যাংগো পুডিং তৈরির পুরো প্রণালী
১. প্রথমে আম ছোট ছোট করে কেটে নিন। দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করুন এবং ঠাণ্ডা করে নিন।
২. এবার ব্লেন্ডার জগে আম, চিনি, দুধ ও ডিম সবকিছু দিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিন।
৩) মিশ্রণটি মোটামুটি ঘন ও থকথকে হবে। যদি বেশি ঘন হয়ে যায়, লিকুইড দুধ মিশিয়ে নিতে হবে।
৪. এবার একটি স্টিলের টিফিন বক্সে পুডিংয়ের মিশ্রণ ঢেলে নিতে হবে।
৫. বড় সসপ্যানে পানি ফুটতে দিন। এবার একটি স্ট্যান্ড প্যানে সেট করে তার উপর স্টিলের টিফিন বক্সটি রাখুন।
৬. বাটির ঢাকনা ভালোভাবে আটকাবেন এবং পানি যেন ভেতরে না যেতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
৭. চুলার আঁচ মিডিয়াম রাখুন, ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করে চেক করুন পুডিং জমেছে কি না।
৮. পুডিং জমে গেলে চুলা নিভিয়ে দিন। এরপর রুম টেম্পারেচারে ঠাণ্ডা করে নিতে হবে।
ব্যস, আমের পুডিং বানানো হয় গেলো! চাইলে ফ্রিজে রেখে ম্যাংগো পুডিং ভালোভাবে সেট করে নিতে পারেন। সেট হয়ে গেলে টিফিন বক্স থেকে পুডিংটি একটি প্লেটে সাবধানে উল্টিয়ে ঢেলে নিন। এবার ছুরি দিয়ে পিস পিস করে কেটে সার্ভ করুন। আর এটি ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা খেতে কিন্তু বেশি মজা লাগে। সব উপকরণগুলো বাসাতে থাকলে আজই বানিয়ে নিন দারুন মজাদার ডেজার্টটি।
জেএইচ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন