ফুটবল
ইউরোতে করোনার হানা, ভেন্যু ঘিরে শঙ্কা
ইউরোর এমন জমজমাট লড়াই আদৌ দেখেছিলো কখনো ফুটবল বিশ্ব? আসর শুরুর আগে ফেভারিটের তালিকায় থাকা অধিকাংশ দলই ছিটকে গেছে রাউন্ড অব সিক্সটিন থেকে। অপেক্ষায় এখন কোয়ার্টার ফাইনাল। তবে করোনার সংক্রমণ বাড়ায় সেমিফাইনাল আর ফাইনালের ভেন্যু ওয়েম্বলিকে ঘিরে জমেছে শঙ্কার মেঘ।
ফুটবল জীবনের চেয়েও বেশি কিছু। পৃথিবীর জনপ্রিয়তম খেলাকে এভাবেই বিশেষায়িত করেছেন লিভাপুল কিংবদন্তি বিল স্যঙ্কলি। ফুটবল হাসায়, ফুটবল কাঁদায়.ফুটবলেই বাঁচে এমন মানুষের সংখ্যা নেহায়েত কম নয়।
দ্যা মোস্ট বিউটিফুল গেম আরো বেশি মহিমান্বিত হয়েছে এবারের ইউরোয়। ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো, কিলিয়ান এমবাপ্পে, টমাস মুলারদের মলিন মুখগুলোর বিপরীতে চেক প্রজাতন্ত্র, সুইজারল্যান্ড, ইউক্রেনের মত দলগুলোর দারুন জয় নয়া দিগন্তের সূচনা।
গেলো আসরের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলা দেশগুলোর মধ্যে মাত্র দুই দলই টিকে আছে এবারের শেষ আটে। ফেভারিটদের বিদায়ের মিছিলে আছে গত আসরের দুই ফাইনালিস্ট ফ্রান্স ও পর্তুগালের নাম। স্বপ্নভঙ্গের বেদনায় নীল হয়েছে টুর্নামেন্টের সবচেয়ে সফল দল জার্মানিও।
তবে বিজ্ঞাপনের বাজারে সেমিফাইনালে হাইভোল্টেজ তকমা পাচ্ছে বেলজিয়াম-ইতালি মহারণ। যদিও আজ্জুরিদের মুখোমুখি হওয়ার আগে চিন্তার পাহাড় জমেছে রেড ডেভিল শিবিরে। ইনজুরিতে অনিশ্চয়তায় দলটির দুই নিউক্লিয়াস এইডেন হ্যাজার্ড ও কেভিন ডি ব্রুইনা।
আজ সকালেও এইডেন মেডিক্যাল স্টাফদের সাথে জিমে সময় কাটিয়েছে। যেভাবেই হোক, ও কোয়ার্টার ফাইনাল খেলতে চায়। এজন্য কঠোর পরিশ্রমও করছে।
ইউরোর ভেন্যু নিয়েও দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। লন্ডনে করোনার ভারতীয় ডেলটা ধরণের ঊর্ধ্বমুখীতার কারণে ইংল্যান্ডে দুই সেমিফাইনাল ও ফাইনাল আয়োজনে সতর্ক করেছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন। উয়েফাকে বিকল্প ভেন্যু খোঁজার পরামর্শ দিয়েছেন ইইউর ভাইস প্রেসিডেন্ট।
কোয়ার্টার ফাইনালের আগে সমালোচনা চলছে ইংলিশ সমর্থকদের নিয়েও। ওয়েম্বলিতে ইতিহাস গড়ার ম্যাচে এক জার্মান ক্ষুদে সমর্থককে দুয়োধ্বনি দিয়ে তোপের মুখে থ্রি লায়ন্স ফ্যান। মাঠে আসা কোমলমতি জার্মান শিশুর কান্না উপেক্ষা করে তার প্রতি বিরুপ আচরণ প্রশ্নের মুখে ফেলেছে ইংলিশদের মানসিকতাকে।
এএ
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//