আওয়ামী লীগ
বিএনপি আমাদের কাছে কোনো সাবজেক্ট নয়: নানক
আগামী রোববার রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা। এ জনসভা ঘিরে রাজশাহীতে বিএনপির নেতাকর্মীদের পুলিশ হয়রানি করছে বলে দুদিন আগে দাবি করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল মাহমুদ টুকু। তার এ বক্তব্যকে মিথ্যাচার উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, বিএনপি আমাদের কাছে কোনো সাবজেক্ট নয়। টুকু মিথ্যা তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করেছেন।
আজ শুক্রবার দুপুরে জনসভাস্থল রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্র্রাসা মাঠ পরিদর্শনে গিয়ে তিনি সাংবাদিকদের একথা বলেন।
বিএনপির অভিযোগ নিয়ে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ইকবাল মাহমুদ টুকুরা এভাবেই মিথ্যা বলেন। সত্যকে আড়াল করা তাদের কাজ। তারা বাংলাদেশের ইতিহাসকে বিকৃতি করার চেষ্টা করেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার চেষ্টা করেছে। মুক্তিযোদ্ধাদেরকে বিলীন করে দিয়েছিল এই টুকু সাহেবরা।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় উন্নয়নের বার্তা শুনতে লাখ লাখ মানুষ আসবেন। উত্তরাঞ্চলের মানুষ অধীর আগ্রহে বসে আছেন। আমরা বিশ্বাস করি, বিএনপির লোকেরাও এই সভায় উপস্থিত হবে। কারণ যারা বিএনপি করে তারা এই দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন কোনো দ্বীপের নাগরিক নয়।
এ সময় নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ বিএনপি যে ১০ দফা দাবি দিয়েছে- তা দেশের মানুষ পাত্তা দিচ্ছে না বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের আরেক সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান। তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনকেই ভণ্ডুল করার জন্য অসাংবিধানিক-অগণতান্ত্রিক দাবি সামনে নিয়ে আসে। এই দাবিকে এই দেশের মানুষ পাত্তা দিচ্ছে না, আমলে নিচ্ছে না। নির্বাচন কমিশনের অধীনেই সুষ্ঠু এবং অবাধ নির্বাচন হবে।
আবদুর রহমান বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবির কথা বিএনপি বহু আগে থেকেই বলছে, এটা নতুন কথা না। বিএনপি একটা দেউলিয়া রাজনৈতিক দল, নেতৃত্বহীন দল। বেগম খালেদা জিয়া-তারেক জিয়া দুজনেই সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তাদের দলে একটা সংকট আছে, সেই সংকটে তারা ভুগছেও। সুতরাং বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে-মধ্যে একটু উৎসাহ-উদ্দীপনা দেয়ার জন্যই তারা এসব কথা বলে।
তিনি বলেন, বিএনপি বলেছিল ১০ তারিখের পরে বেগম খালেদা জিয়ার কথায় দেশ চলবে। কিন্তু এখনো শেখ হাসিনার নির্দেশেই দেশ চলে। সুতরাং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবির পেছনের প্রেক্ষাপটটা হলো একটা অসাংবিধানিক এবং অপরাজনৈতিক শক্তিকে ক্ষমতায়ন করা এবং এই ক্ষমতার ভাগবাটোয়ারার একটা প্রশ্ন আছে। এটা দেশের মানুষ মানে না।
আওয়ামী লীগের এই সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বলেন, বিএনপি কখনো নির্বাচনে জয়লাভ করতে পারে না , ১৯৯১ সালে স্থুল কারচুপির মাধ্যমে তারা ক্ষমতায় এসেছিল। ২০০১ সালেও কিন্তু এই বাংলাদেশের মানুষের যে গ্যাস, সেই গ্যাসের কথা বলে ক্ষমতায় এসেছিল। সেই গ্যাসও তারা দিতে পারেনি। ২০০১ এর পরে সুন্দরভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরও তারা করতে পারেনি। কোনো সুষ্ঠু-অবাধ নির্বাচনে বিএনপি মানুষের ভোটে নির্বাচিত হবে না।
আওয়ামী লীগ
শেখ হাসিনাকে নিয়ে যে নতুন বার্তা দিলেন জয়
এবার শেখ হাসিনার দেশের ফেরা নিয়ে নতুন বার্তা দিলেন জয়। অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিলেই দেশে ফিরবেন শেখ হাসিনা। তবে ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি অংশগ্রহণ করবেন কিনা সে সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো বার্তা দেননি সজিব ওয়াজেদ জয়।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসব কথা বলেন তিনি।
জয় বলেন, রাজনীতি নিয়ে তার কখনওই উচ্চ আকাঙ্ক্ষা ছিল না। কিন্তু চলমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে নেতৃত্বের সংকট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় দলের প্রয়োজনে তাকে সক্রিয় হতে হবে এবং সামনের সারিতে থেকেই কাজ করবেন।
এর আগে ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনের মুখে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে তার ছেলে জয় বিবিসিকে জানিয়েছিলেন “ মা আর দেশে ফিরবে না এবং রাজনীতি করবেন না”।
প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর দেশের চলমান সংকট সমাধানে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আই/এ
আওয়ামী লীগ
আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয় : জয়
আওয়ামী লীগ দেশের সবচেয়ে পুরোনো এবং বড় গণতান্ত্রিক দল। আওয়ামী লীগ কিন্তু মরে যায়নি। আওয়ামী লীগ এই দেশকে স্বাধীন করেছে। আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
বুধবার (৭ আগস্ট) নিজের ফেসবুক আইডিতে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশে এখন একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি চলছে উল্ল্যেখ করে জয় বলেন, সারা দেশে ভাঙচুর হচ্ছে, লুটপাট হচ্ছে। শহরের বাইরে আমাদের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা চলছে। অনেককে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর যেভাবে হামলা হচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে আমরা হাল ছেড়ে দিতে পারি না। বাংলাদেশে যদি গণতন্ত্রের নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হয়, আওয়ামী লীগ ছাড়া সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগ হচ্ছে সবচেয়ে বড় দল। আওয়ামী লীগ কোথাও যাবে না।”
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘আমি সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি। আপনারা সবাই সাহস নিয়ে দাঁড়ান, আমরা আছি। বঙ্গবন্ধুর পরিবার কোথাও যায়নি। আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি। দেশকে, আমাদের নেতা-কর্মীদের এবং আওয়ামী লীগকে রক্ষা করার জন্য যা প্রয়োজন আমরা করতে প্রস্তুত।’
বর্তমানে ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এই যে আমাদের বর্তমানে যারাই আছেন ক্ষমতায় তাঁদের আমি বলব, আমরাও একটি গণতান্ত্রিক, সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ দেশ চাই, জঙ্গিবাদ মুক্ত। তার জন্য আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত। শুধু তারা যদি জঙ্গিবাদ, ভায়োলেন্স (সহিংসতা) বাদ দেন। শেখ হাসিনা মরে যাননি। আমরা কোথাও যাইনি। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ছাড়া গণতন্ত্র, নির্বাচন সম্ভব না।’
আই/এ
আওয়ামী লীগ
ধৈর্য্য, সহনশীলতা মানে দুর্বলতা নয় : নানক
সরকার পতনের নামে বিএনপি-জামায়াত দেশে হত্যা ও ধ্বংস চালাতে চায় এবং দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে চায়। আওয়ামী লীগ ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। বলেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
রোববার (৪ আগস্ট) বিকেল পৌনে ৫টায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, এই বিএনপি, জামায়াত-শিবির জঙ্গির উদ্দেশ্যে বলতে চাই, এই দেশমাতৃকাকে ভালোবেসে আমরা ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছি। ধৈর্য, সহনশীলতা মানে দুর্বলতা নয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা এই জঙ্গিগোষ্ঠীকে প্রতিরোধ করার জন্য দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি৷
নানক বলেন, রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্ট করবেন না। আমরা সংঘাত চাই না। শান্তি চাই। সকলকে দ্বায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে৷
তিনি বলেন, আমরা মোকাবিলা করব। এখন আর ঘরে বসে থাকার সময় নেই। যে যেখানে আছেন, দেশবিরোধী জামায়াত-শিবিরকে নির্মূল করতে হবে। আমাদের শরীরে শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত এই আস্ফালন সহ্য করব না। গণতন্ত্র সংবিধান রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
এএম/
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন