খেলাধুলা
গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে ফাইনাল রাউন্ডে ব্রাজিল
কাতার বিশ্বকাপের শুরুটা স্বপ্নের মতো হলেও কোয়ার্টার ফাইনালে সেই স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হয় পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলের। দলটির সেরা তারকা নেইমার জুনিয়র বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার পর বলেছিলেন, এমন পরাজয়ের ক্ষত দীর্ঘ দিন থেকে যাবে। অবশ্য, বিশ্বকাপে পাওয়া ক্ষত পুরোপুরি ঠিক না হলেও কিছুটা হলেও কমাতে পারে ব্রাজিল অনূর্ধ্ব-২০ দল।
চলমান অনূর্ধ্ব-২০ সাউথ আমেরিকা চ্যাম্পিয়নশিপের ৩০তম আসরে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে ফাইনাল রাউন্ডে উঠেছে নেইমার-ভিনিসিয়স-রিচার্লিসনদের অনুজরা। গ্রুপ পর্বের চার ম্যাচের তিনটিতে জয় ও একটিতে ড্র নিয়ে সর্বোচ্চ ১০ পয়েন্টে ফাইনাল রাউন্ড নিশ্চিত হয় সেলেসাও জুনিয়রদের।
শনিবার (২৮ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সময় ভোর সাড়ে ছয়টায় গ্রুপ পর্বের চতুর্থ ও শেষ ম্যাচে প্যারাগুয়ে অনূর্ধ্ব-২০ দলের মুখোমুখি হয় ব্রাজিল। আগেই সুপার সিক্স নিশ্চিত করার ব্রাজিলের জন্য ম্যাচটি ছিল গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়রা মিশন।
ম্যাচের ২২ মিনিটের মাথায় এগিয়ে যায় প্যারাগুয়ে। তবে এর আট মিনিট পর সমতায় ফিরে ব্রাজিল। ম্যাচের ৩০তম মিনিটে ব্রাজিলের হয়ে প্রথম গোলটি করেন স্টেনিও ক্রুজ। প্রথমার্ধে আর কোনো গোল না হলে ১-১ সমতায় বিরতিতে যায় দুই দল।
বিরতি থেকে ফেরার দশম মিনিটেই (৫৫) ব্রাজিলের জয় সূচক গোলটি করেন রোনালদো কার্ডোসো ফালকোস্কি। ২-১ গোলে জয় নিশ্চিত করে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয় ব্রাজিল।
এবার তাদের ১২তম শিরোপার মিশন। এর আগে ২৯টি আসরে অংশ নিয়ে ১১বার চ্যাম্পিয়ন হয় সেলেসাও যুবারা। রানার্সআপ হয় আরও সাতবার।
অনূর্ধ্ব-২০ সাউথ আমেরিকা চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে পেরুকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দেয় ব্রাজিল। এরপর দ্বিতীয় ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনাকে ৩-১ গোলে পরাজিত করে তারা। তৃতীয় ম্যাচে গত বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) কলম্বিয়ার সঙ্গে ড্র করে।
উল্লেখ্য, অনূর্ধ্ব-২০ সাউথ আমেরিকা চ্যাম্পিয়নশিপের ফরম্যাট অনুসারে প্রতিটি গ্রুপ থেকে তিনটি করে দল পরবর্তী রাউন্ডে উঠবে। সেখানে সবাই সবার মুখোমুখি হবে। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ দু’দল হবে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ।
‘গ্রুপ এ’ থেকে ফাইনাল রাউন্ড নিশ্চিত করেছে ব্রাজিল, কলম্বিয়া ও প্যারাগুয়ে। ছিটকে পড়েছে আর্জেন্টিনা ও পেরু। ব্রাজিল চার ম্যাচে তিন জয় ও এক ড্রয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়। স্বাগতিক কলম্বিয়া দুই ড্র ও দুই জয়ে পায় ৮ পয়েন্ট। তৃতীয় স্থানে থাকা প্যারাগুয়ের দুই জয় ও এক ড্রয়ে ৭ পয়েন্ট। এছাড়া মাত্র এক জয় পাওয়া আর্জেন্টিনার পয়েন্ট তিন। পেরু জেতেনি একটি ম্যাচও।
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন