রাজশাহী
রাবির ১০৩ শিক্ষার্থীকে স্বর্ণপদক প্রদান
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কৃতি শিক্ষার্থীদের স্বর্ণপদক প্রদান করা হয়েছে।
আজ সোমবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে শিক্ষার্থীদের হাতে স্বর্ণপদক তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে প্রথম স্থান অর্জনকারী ১০৩ কৃতি শিক্ষার্থীকে পুরস্কার প্রদান করা হয়।
তিন ক্যাটাগরিতে এই পদক প্রদান করা হয়। রাবির চারুকলা, প্রকৌশল, বিজনেস স্টাডিজ, বিজ্ঞান, সামাজিক বিজ্ঞান, আইন, জীব ও ভূ-বিজ্ঞান, কৃষি এবং কলা অনুষদের ৯৬ জনকে ‘বঙ্গবন্ধু স্বর্ণপদক, অগ্রণী ব্যংক’, প্রদান করা হয়। দর্শন বিভাগের ৫ জন শিক্ষার্থীকে ‘ড. মমতাজ উদ্দিন আহমদ স্বর্ণপদক’ এবং চিকিৎসা বিজ্ঞান অনুষদের ২ জন শিক্ষার্থীকে ‘ডা. এ.কে খান স্বর্ণপদক’ প্রদান করা হয়েছে।
পদক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘২০৪১ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী যে স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণের কথা বলেছেন সেটির জন্য স্মার্ট নাগরিক হতে হবে। স্মার্ট নাগরিক হওয়ার জন্য প্রয়োজন স্মার্ট শিক্ষা ব্যবস্থা। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অগ্রণী ভূমিকা পারন করতে হবে। তাই প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যান থাকতে হবে। যেটি বিশ্বের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে কয়েক বছর পর পর আবার পরিবর্তন হবে।’
তনি আরও বলেন, ‘শুধুমাত্র জ্ঞানভিত্তিক শিক্ষা এ যুগের জন্য অচল। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে যে শিক্ষার্থী তৈরি হবে সেই শিক্ষার্থী যেন এই যুগে চলতে পারে, ভবিষ্যতে চলতে পারে এবং সমস্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারে। আর সেটি করতে হলে তাকে শুধু জ্ঞানভিত্তিক শিক্ষায় শিক্ষিত হলে চলবে না। জ্ঞানের সঙ্গে দক্ষতাও অর্জন করতে হবে। তাকে মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষ হতে হবে। তার সৃজনশীলতা থাকতে হবে। তার যোগাযোগের দক্ষতা, সুক্ষ্ম চিন্তার দক্ষতা, সমস্যা নিরূপন করার দক্ষতা, একসঙ্গে কাজ করার দক্ষতা অর্জন না করলে আমাদের শিক্ষার্থী এই বিশ্বে অচল প্রমাণিত হবে। আর এই অচল নাগরিক দিয়ে আমাদের সোনার বাংলা হবে না।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার। এসময় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিশেষ অতিথি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্যদ্বয় অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম ও অধ্যাপক হুমায়ুন কবির এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক অবায়দুর রহমান প্রামাণিক। সম্মানিত অতিথি হিসেবে ছিলেন, অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুরশেদুল কবির। এছাড়া বিভিন্ন অনুষদের অধিকর্তা, বিভাগীয় প্রধান এবং পদকপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।
রাজশাহী
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সকল প্রকার সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) দুপুরে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ বৈষম বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় দেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক বক্তব্য দেন এবং সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার আহ্বান ও জানান। যাতে কোন অপশক্তি আবারও দেশটাকে অস্থিতিশীল তৈরি করতে না পারে তারও আহ্বান জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, এডওয়ার্ড কলেজের উপাধ্যক্ষ আব্দুল আউয়াল, বাংলা বিভাগের শিক্ষক মাহবুব, এডওয়ার্ড কলেজের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক বরকাতুল্লাহ ফাহাদ,স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক সিরাজুল মনিরা,রাব্বি রুহান ও এম এইচ অনিক।
এএম/
অপরাধ
এনায়েতপুর থানায় হামলা, ১৩ পুলিশ সদস্য নিহত
সিরাগঞ্জের এনায়েতপুরে থানায় হামলা চালিয়ে ১৩ পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
রোববার (৪ আগস্ট) পুলিশ সদর দপ্তর এবং রাজশাহী বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি বিজয় বসাক গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো বার্তায় বলা হয়, সন্ত্রাসী হামলায় সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার ১৩ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। এছাড়া কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানায় হামলায় এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।
এদিকে, সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ কর্মসূচির প্রথম দিনে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সংঘর্ষে বিভিন্ন জেলায় ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন সহস্রাধিক।
এর মধ্যে নরসিংদীতে ৬ জন, রংপুরে ৫ জন, ফেনীতে ৫ জন, ঢাকায় ৪ জন, সিরাজগঞ্জে ৪ জন, পাবনায় ৩ জন, বগুড়ায় ৩ জন, কিশোরগঞ্জে ৩ জন, ভোলায় ৩ জন, লক্ষ্মীপুরে ৩ জন, মুন্সীগঞ্জে ৩ জন, মাগুরায় ২ জন, সিলেটে ২ জন, ঢাকার আশুলিয়ায় একজন, বরিশালে একজন, জয়পুরহাটে একজন ও কুমিল্লায় একজন মারা গেছেন।
দেশজুড়ে
রাজশাহীতে থানা ও ভূমি অফিসে হামলা-অগ্নিসংযোগ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চলমান অসহযোগ কর্মসূচিতে রাজশাহী নগরীর মোহনপুর থানা, আওয়ামী লীগের অফিস, ভূমি অফিস ও একটি মার্কেটে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
তেমন কোনো অপ্রিতিকর ঘটনা না থাকলেও জেলার মোহনপুরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আজ রোববার রোববার (৪ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মোহনপুর উপজেলা সদরে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে মোহরপুর পুরো উপজেলা নিয়ন্ত্রণ নেন। এসময় বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ চালায়। এতে ওই এলাকায় চরম আতঙ্ক দেখা যায়। পরে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মোহনপুর থানায় হামলা করার পর পাশেই উপজেলা ভুমি অফিসে হামলা চালায়। এসময় সহকারী কমিশনারের (ভুমি) গাড়ি ভাংচুর করা হয়। এছাড়াও ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় থানার সামনের মার্কেটেও। বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছে থানা পুলিশ।
আই/এ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন