করোনা ভাইরাস
সারাদেশে দুপুর না পেরোতেই করোনায় শতাধিক মৃত্যুর খবর
সারাদেশে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী, বরিশাল, ময়মনসিংহসহ দেশের ১১ জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এবং উপসর্গ নিয়ে ১০৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
রাজশাহী: রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে পাঁচজন ও উপসর্গ নিয়ে ১৩ জন মারা গেছেন। সোমবার (৫ জুলাই) সকালে রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, রোববার সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ১৮ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে পুরুষ ১২ জন ও নারী ছয়জন রয়েছেন। মৃতদের অধিকাংশের বয়স ৩৫-৬৫ বছরের মধ্যে।
তিনি আরও বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে রাজশাহীর আট জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের একজন, নাটোরের তিনজন, নওগাঁর চারজন ও পাবনার একজন ও কুষ্টিয়ার একজন। এর মধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে রাজশাহীর চারজন ও নাটোরের একজন মারা গেছেন। উপসর্গে রাজশাহীর চারজন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের একজন, নাটোরের দুজন, নওগাঁর চারজন, পাবনার একজন ও কুষ্টিয়ার একজন। মৃতদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে দাফন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
রোগীদের ভর্তি ও সংক্রমণের বিষয়ে তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় রামেকে নতুন ভর্তি হয়েছেন ৬৯ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪৮ জন। রামেকে করোনা আক্রান্ত হয়ে ২১০ জন এবং সন্দেহভাজন ও উপসর্গ নিয়ে ২৮৫ জন ভর্তি রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় রামেকে ৪০৫টি শয্যার বিপরীতে রোগী ভর্তি ছিলেন ৪৯৫ জন।
করোনা পরীক্ষা নিয়ে পরিচালক বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় রামেক হাসপাতালের পিসিআর মেশিনে ২৮২টি নমুনা পরীক্ষায় ৮১ জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। মেডিকেল কলেজের পিসিআর মেশিনে ৩৭২টি নমুনা পরীক্ষায় ১৩৭ জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। দুই ল্যাবের টেস্টে মোট ৬৫৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে ২১৮ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৩৪ দশমিক ০৯ শতাংশ।
নাটোর: সদর হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
টাঙ্গাইল: গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে, আক্রান্ত হয়েছেন ২২৭ জন।
বরিশাল: বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ওয়ার্ডে মারা গেছেন ১২ জন। এরমধ্যে পজিটিভ ছিল একজনের। উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ১১ জন।
খুলনা: গত ২৪ ঘণ্টায় খুলনার চারটি হাসপাতলে আরও ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতলে আক্রান্ত হয়ে এবং উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ১০ জন, সদর হাসপাতালে দুজন, আবু নাছের হাসপাতালে একজন এবং গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪ জন মারা গেছেন। এদের মধ্যে খুলনার ৯ জন এবং বাগেরহাটের ৩ জন মারা গেছেন। বাকি ৫ জনের ঠিকানা পাওয়া যায়নি।
কুষ্টিয়া: করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে এ জেলায়। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে আরও ১৫ জনের। এ সময় ৮৮৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২৯২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। জেলায় এটিই এখন পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু ও শনাক্ত। জেলায় এ পর্যন্ত ৮ হাজার ৭৬৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আর মারা গেছেন ২৪৫ জন। সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ৮২৩ জন।
সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ৮ জন।
চুয়াডাঙ্গা: করোনা ও উপসর্গ নিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে জেলায়।
কুড়িগ্রাম: গত ২৪ ঘণ্টায় কুড়িগ্রামে ১৪১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৪৮ জন পজিটিভ পাওয়া গেছে। আক্রান্তের হার ৩৩ দশমিক ০৪ ভাগ। জেনারেল হাসপাতালের করোনা ডেডিকেটেট ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন ৩৪ জন। মারা গেছেন একজন।
পঞ্চগড়: নতুন করে আরও ৪৭ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ সময় ১৭৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৪৭ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২২৭ জন। এ পর্যন্ত জেলায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। সুস্থ হয়েছেন ৮৫১ জন।
পঞ্চগড় জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো.ফজলুর রহমান সময় নিউজকে জানান, পঞ্চগড়ে ১৭৭ জনের শরীরের নমুনা পরীক্ষা করে নতুন করে আরও ৪৭ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়।
পঞ্চগড় সদর উপজেলায় ২৮ জন, তেঁতুলিয়া উপজেলায় ১২ জন, আটোয়ারী উপজেলায় ৩ জন, বোদা উপজেলায় ৩ জন ও দেবীগঞ্জ উপজেলায় একজন বলে জানান তিনি।
ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে যেন মৃত্যুর মিছিল থামছেই না। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ছয়জন করোনায় এবং ৯ জন উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। সোমবার (০৫ জুলাই) সকাল ১০টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. মহিউদ্দিন খান মুন।
চট্টগ্রাম: গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৫৯ জন, যা একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড। এ সময় করোনায় মৃত্যু হয়েছে আরও পাঁচ জনের। শনাক্তের হার ৩৪.১২ শতাংশ।
সোমবার (৫ জুলাই) চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এর আগে গত ১ জুলাই সর্বোচ্চ ৫৫২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, চট্টগ্রামের ১০টি ও কক্সবাজারে একটি ল্যাবে এক হাজার ৬৩৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৫৫৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে চট্টগ্রাম নগরের ৪১৪ জন এবং বিভিন্ন উপজেলার ১৪৫ জন রয়েছেন।
করোনা ভাইরাস
ফের ফিরে আসছে করোনা-আতঙ্ক!
মানুষ যখন করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণের কথা প্রায় ভুলতে বসেছে, তখনই হঠাৎ করে আবার জেএন.১ নামের এক উপধরন ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইতিমধ্যে এই ধরন পার্শ্ববর্তী ভারতসহ বিশ্বের ৪১টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এই অবস্থায় বাংলাদেশে নতুন ধরনের সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সরকারের কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। যদিও নতুন এ ধরনে বাংলাদেশে কেউ এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়নি।
নতুন ধরনের সংক্রমণ মোকাবেলায় আবারও হাসপাতাল-ক্লিনিকসহ সকল স্থানে মাস্ক ব্যবহারসহ চার দফা পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডাক্তার মোহাম্মদ সহিদুল্লা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির ৬৫তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সকলের পরামর্শের আলোকে নিম্নলিখিত সিদ্ধান্তসমূহ গৃহীত হয়। সেগুলো হলো—
১। উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে যেমন হাসপাতাল/চিকিৎসা কেন্দ্র এবং উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তি— যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের সতকর্তা হিসেবে মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হলো। কমিটি মনে করে কোভিড-১৯ ছাড়াও অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা প্রতিরোধে এটি সহায়ক হবে।
২। সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করার জন্য বৈশ্বিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও দেশে নজরদারি জোরদার করার জন্য সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআর প্রতি পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলে কোভিড পরীক্ষা ও আইসিইউসহ দ্রুত চিকিৎসার সকল প্রস্তুতি রাখার সুপারিশ করা হয়েছে। বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের স্ক্রিনিং এর প্রস্তুতি নেয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
৩। কোভিড ভ্যাকসিন বিষয়ে নিয়মিত বৈজ্ঞানিক তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণসাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ মোতাবেক উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের চতুর্থ ডোজ ভ্যাকসিন নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
৪। সভায় অস্ত্রোপচার অথবা অন্য কোনো রোগের চিকিৎসার আগে কোভিড পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। কমিটি কেবলমাত্র কোভিডের লক্ষণ/উপসর্গ থাকলে কোভিড পরীক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছে।
এদিকে ইতিমধ্যে একে ‘ভেরিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট’ হিসেবে অভিহিত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, এই ধরনটি অতিদ্রুত ছড়াচ্ছে।
জনস্বাস্থ্যবিদরা বলছেন, ওমিক্রনের উপধরন হলো জেএন.১। রোগ প্রতিরোধক্ষমতাকে ফাঁকি দেওয়ায় জেএন.১ আরও অনেক বেশি কার্যকর। ফলে সংক্রমণের হার বেশি। তবে ঝুঁকি কম।
করোনা ভাইরাস
বিশ্বে করোনায় মৃত্যু হয়েছে আরও ২০৪ জনের
গেলো ২৪ ঘণ্টায় করোনায় বিশ্বব্যাপী আরও ২০৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আক্রান্ত হয়েছেন ৮৮ হাজার ৫৯৯ জন। সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮২৫ জন।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে করোনার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এ তথ্য পাওয়া যায়।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ও আক্রান্তের ঘটনা ঘটেছে রাশিয়ায়। এ সময় দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ১৮৬ জনের এবং আক্রান্ত হয়েছে ৭৯ হাজার ৩২ জন।
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্ত হয়েছে ৬ হাজার ৪৪৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। ভারতে আক্রান্ত হয়েছে ১ হাজার ৪০ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। আফগানিস্তানে আক্রান্ত হয়েছে ১৯৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১ জনের।
বিশ্বে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭০ কোটি ৪ লাখ ৮১ হাজার ২৪৮ জন। এরমধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৬৯ লাখ ৬১ হাজার ১৩৬ জনের। সুস্থ হয়েছেন ৬৭ কোটি ১৬ লাখ ৮৩ হাজার ২২৪ জন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে।
করোনা ভাইরাস
এক মাসে করোনা রোগী বেড়েছে ৫২%
বিশ্বজুড়ে আবারও বাড়তে শুরু করেছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। গেলো চার সপ্তাহে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী বেড়েছে প্রায় ৫২ শতাংশ। এ সময় নতুন করে সাড়ে ৮ লাখের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। পাশাপাশি বেড়েছে মৃত্যুহারও। জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
ডব্লিউএইচওর তথ্যমতে, আগের ২৮ দিনের তুলনায় গেলো চার সপ্তাহে বিশ্বব্যাপী করোনায় মৃত্যু প্রায় ৮ শতাংশ বেড়েছে। এ সময়ে মারা গেছে তিন হাজারের বেশি মানুষ।
সংস্থাটির হিসাবে, ২০২৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন অন্তত ৭৭ কোটি ২০ লাখ মানুষ। প্রাণ হারিয়েছেন ৭০ লাখেরও বেশি। এ সময়ে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন প্রায় ১ লাখ ১৮ হাজার মানুষ। গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখতে হয়েছে ১ হাজার ৬০০ জনকে।
বিশ্বব্যাপী দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার কারণে সম্প্রতি করোনাভাইরাসের জেএন.১ ধরনটিকে পৃথক ‘ভ্যারিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট’ হিসেবে ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এটিকে এতদিন করোনার বিএ.২.৮৬ ধরনের একটি অংশ হিসেবে ‘ভ্যারিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট’ গণ্য করা হতো। ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত অনুসারে, জেএন.১-এর কারণে এ মুহূর্তে অতিরিক্ত কোনো বৈশ্বিক স্বাস্থ্যঝুঁকি নেই। তবে উত্তর গোলার্ধে শীত শুরুর সঙ্গে সঙ্গে এটি শ্বাসযন্ত্রে সংক্রমণের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে।