বাংলাদেশ
আশ্রয়ণ প্রকল্পের দুর্নীতি: ৫ কর্মকর্তা ওএসডি
আশ্রয়ণ প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে এবার ওএসডি হলেন ৫ সরকারি কর্মকর্তা। অনিয়মের প্রমাণ মিলেছে তাদের বিরু এবং তদন্ত চলছে আরো বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। সাম্প্রতিক সময়ে দেশের ২২ জেলার ৩৬টি উপজেলায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধীনে ভূমিহীনদের ঘর নির্মাণ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে সংশ্নিষ্ট জেলা প্রশাসকরা তদন্ত কমিটি করেছেন। এ অনিয়মে জড়িত ১৮০ জনের বিরুদ্ধে পর্যায়ক্রমে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
গৃহহীনদের পুনর্বাসনে সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পে অনিয়মের খবর প্রকাশ পাওয়ার পর তদন্তে নামে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।
প্রকল্প পরিচালক বলছেন, বিভাগীয় মামলা হবে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। আর প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের হুঁশিয়ারি, অনিয়মে জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
সব পাখি নীড়ে ফেরে। কিন্তু সব মানুষ ফিরতে পারে না ঘরে। গৃহহীন মানুষ জানে চারদেয়ালের ওপর একটি ছাদের কী মূল্য। তাদের কষ্ট উপলদ্ধি করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বাস্তবায়ন হচ্ছে তার স্বপ্নের আশ্রয়ণ প্রকল্প। যার মাধ্যমে এরই মাঝে জমিসহ মাথা গোঁজার স্থায়ী ঠাঁই মিলেছে ১ লাখ ২৩ হাজার ২শ ৪৪ পরিবারের।
ঠিকানাহীন অনিশ্চিত জীবন পেরিয়ে, অনেকেই বুনছেন সম্বৃদ্ধ ভবিষ্যতের স্বপ্ন। তবে একটি ভালো উদ্যোগও যে প্রশ্নবিদ্ধ হয়, কিছু কর্মকর্তার চরম গাফলতি আর ঠিকাদারের লুলুপ দৃষ্টির কারণে, তার উদাহারণ পাওয়া গেছে স্বপ্নের এই প্রকল্পেও।
এরই মধ্যে কিছু জায়গায় বৃষ্টির কারণে ধসে গেছে ঘর, নীচু জায়গায় নির্মিত হওয়ায় তলিয়ে গেছে বাড়ি, ব্যবহার করা হয়েছে নিম্নমানের সামগ্রী। আছে বরাদ্দে অনিয়মের মতো অভিযোগও।
বিভিন্ন এলাকায় নানা অভিযোগের প্রমাণ মেলায়, ওএসডি বা বিশেষ ভারপ্রাপ্ত করা হলো ৫ কর্মকর্তাকে। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ও প্রকল্প পরিচালক ড. আহমদ কায়কাউস বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেটাকে ইবাদত হিসেবে নিয়েছেন সেটাতে যখন আমরা ব্যর্থ হই তখন সেটা আমাদের ব্যর্থতা। এরই মধ্যে নিম্নমানের কাজ ও ঘর বরাদ্দে অনিয়মসহ আরও নানা অভিযোগ অভিযোগ উঠেছে ২২টি জেলার ৩৬ উপজেলার বিরুদ্ধে।
ওএসডি হওয়া কর্মকর্তারা হলেন, বগুড়ার শেরপুর উপজেলার সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিয়াকত আলী সেখ, সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম, বরগুনা আমতলী উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান, মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবায়েত হায়াত শিপলু ও একই উপজেলার সহকারী কমিশনার ভূমি শেখ মেজবাহ উল সাবেরিন। এদের মধ্যে দুজনের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে বিভাগীয় মামলা হয়েছে। বাকিদের বিরুদ্ধেও মামলা প্রক্রিয়াধীন।
তবে ছাড় পাচ্ছেন না উপজেলা পর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটিতে থাকা অন্যান্য কর্মকর্তারাও। অনিয়মে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ প্রমাণ মিললে, তাদের বিরুদ্ধেও নেয়া হবে ব্যবস্থা।
প্রকল্প পরিচালক মো. মাহবুব হোসেন বলছেন, অনিয়মের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ সুবিধাভোগীদের দেয়া হবে নতুন ঘর।
এস
জাতীয়
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানালেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা
শপথ নেয়ার পরের দিন ভাষা শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৩ জন উপদেষ্টা নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও অন্য উপদেষ্টারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
আই/এ
জাতীয়
উপদেষ্টা পরিষদকে অভিনন্দন জানালেন জাসদ
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস এবং অন্য উপদেষ্টাদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন
বৃহস্পতিবার ( ৮ আগস্ট ) রাতে দলের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান তারা।
বিবৃতিতে জানানো হয়, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর দেশে আর একটিও প্রাণহানি, হামলা ও সম্পদ ধ্বংসের ঘটনা যেন না ঘটে তা নিশ্চিত হবে।”
বিবৃতিতে আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতিসহ সংবিধানকে সমুন্নত রেখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির সাথে আলোচনা করে সরকারের কর্ম পরিকল্পনার রূপরেখা দ্রুত প্রকাশ করে বিদ্যমান অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা প্রশমিত করবেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক ও প্রধান কাজ হিসেবে অনতিবিলম্বে দেশে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
জাসদ নেতৃবৃন্দ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
জাসদ জোর দাবি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ববর্তী সরকারের পদত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ পেশাজীবী ও হিন্দু ও আহমদীয়াসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও হত্যা করা, মন্দিরসহ ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে ও নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে হামলা-হত্যা-নির্যাতন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ, সংসদ ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন-বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে হামলা, লুটপাট, জ্বালিয়ে ছারখার, দেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, সাত বীরশ্রেষ্ঠর ভাস্কর্যসহ ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ও ম্যুরাল ভেঙে ফেলা এবং কুমিল্লার বীরচন্দ্র পাঠাগার, সুনামগঞ্জের ঐতিহ্য জাদুঘর, কুড়িগ্রামের উত্তরবঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক শশীলজের ভেনাস ভাস্কর্য ভেঙে ফেলাসহ অগনিত শিল্পকর্ম ভেঙে ফেলার সব অপরাধ কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার।
জেডএস/
জাতীয়
তদবির থেকে বিরত থাকুন, দেশগঠনে পরামর্শ দিন : আসিফ মাহমুদ
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ১৭ সদস্যের অন্তবর্তীকালীন সরকার। এ উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন প্রতিনিধি। এদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ। তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার পর ঘনিষ্ঠজনদের নিজেদের সুবিধার জন্য কোনো আবদার কিংবা তদবির করতে বারণ করেছেন। বরং দেশগঠনে কোনো পরামর্শ থাকলে দেয়ার অনুরোধ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্ট করে এ অনুরোধ করেন।
পোস্টে এই তরুণ উপদেষ্টা লিখেছেন, ব্যক্তিগত লাভের আশায় আবদার, তদবির করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে আমার সাথে আপনার সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। দেশগঠনে পরামর্শ থাকলে জানাবেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ জনকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টাদের শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ঢাকার বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আযম, বিধান রঞ্জন রায় এবং সুপ্রদীপ চাকমা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্যান্য উপদেষ্টারা হলেন- ১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ২. ড. আসিফ নজরুল ৩. আদিলুর রহমান খান ৪. হাসান আরিফ ৫. তৌহিদ হোসেন ৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ৭. মো. নাহিদ ইসলাম ৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন ১০. সুপ্রদীপ চাকমা ১১. ফরিদা আখতার ১২. বিধান রঞ্জন রায় ১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান ১৪. নুরজাহান বেগম ১৫. শারমিন মুরশিদ ১৬. ফারুক-ই-আযম।
জেএইচ