ক্যাম্পাস
ইবির ঠাকুরগাঁও জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতিতে নতুন নেতৃত্ব
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ঠাকুরগাঁও জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে। এতে সভাপতি হিসেবে ইংরেজি বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রাকিব শাহরিয়ার নিশাত ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের একই শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফাহিম ফয়সালকে নির্বাচিত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সংগঠনের উপদেষ্টামন্ডলী এবং সদ্য বিদায়ী সভাপতি আসাদুজ্জোহা বাঁধন ও সাধারণ সম্পাদক নূর ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ নতুন কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। আগামী এক বছরের জন্য তারা এই দায়িত্ব পালন করবেন।
কমিটির অন্যান্যরা হলেন, সহ-সভাপতি মামুন আর রশিদ, আরিফ বিল্লাহ ও আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফারহান ইসরাক, মিনহাজুল হক রুমন, মোখলেসুর রহমান সুইট সহ ১২ জন। এছাড়া সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রিমন আল হেলাল, অর্থ সম্পাদক কপিল দেব রায়, উপ-অর্থ সম্পাদক আসাদুল্লাহ আল গালিব।
দপ্তর সম্পাদক সাদমান সাকিব, উপ-দপ্তর সম্পাদক মিলন রানা মুরাদ, প্রচার সম্পাদক রুমন রানা, উপ-প্রচার সম্পাদক শাহিন কাদির। ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক নাইম রনি, উপ-ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক আবু নুরহাসান নাহিব, ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক সানজিদা লাবণ্য ও ফয়জুন নাহার জুই এবং উপ-ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক তামান্না আক্তার।
এছাড়া ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক, আইন সম্পাদক, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক, সাংস্কৃতিক সম্পাদক সহ ২০টি পদে ২১ জন এই কমিটিতে স্থান পেয়েছেন। এছাড়াও কার্যনির্বাহি সদস্য হিসেবে রয়েছেন ২৯ জন।
সমিতির উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য হিসেবে আছেন প্রফেসর ড. পরেশ চন্দ্র বর্মণ, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান, এ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর তৌহিদুর রহমান। এছাড়া আরাফাত সরকার জীবন, সাজ্জাদ বিন ইব্রাহিম এবং সদ্য বিদায়ী সভাপতি আসাদুজ্জোহা বাঁধন ও সাধারণ সম্পাদক নূর ইসলাম।
নবগঠিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফাহিম ফয়সাল বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য থাকবে ঠাকুরগাঁও জেলার যেসকল শিক্ষার্থীরা এখানে আসবে তাদের যাবতীয় সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা এবং তাদের যাবতীয় সমস্যা দূর করতে সহায়তা করা। আমাদের এই ক্যাম্পাসে আমরা তো অনেক দূর থেকেই আসি, আমাদের সকলের মধ্যে যাতে একটা হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক থাকে সেই উদ্দেশ্যেই মূলত আমাদের কাজ করা। আর আমরা এসব কাজগুলো একসাথে সবাই মিলে করার চেষ্টা করবো।’
ক্যাম্পাস
খুলছে জবি, প্রাথমিকভাবে ক্লাস চলবে অনলাইনে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি)১৮ আগস্ট থেকে অনলাইন ক্লাস শুরু হবে।আজকেই ছাত্রীদের জন্য বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রী হল খুলে দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৮তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত হয় বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম।
জানা যায়, ১৮ আগস্ট থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে ক্লাস চলবে। অনলাইন ক্লাস শুরুর আগে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করে সব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, ছাত্র উপদেষ্টা ও অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ আলোচনায় বসবেন।
এক সিন্ডিকেট সদস্য গণমাধ্যমকে জানান,তারা ক্যাম্পাসে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন। তাই প্রাথমিকভাবে অনলাইন ক্লাস চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরবর্তীতে ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হলে ক্যাম্পাসে এমনিই ছাত্র রাজনীতি থাকবে না বলে তার মনে হচ্ছে, তবে রাজনীতি নিষিদ্ধ হলে সেটা নতুন সরকার সিদ্ধান্ত নেবে।
প্রসঙ্গত, সিন্ডিকেট সভায় আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা খরচসহ তাদের খোঁজ নেওয়ার বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়েছে।
আই/এ
শিক্ষা
চুয়েটে নিষিদ্ধ হলো ছাত্ররাজনীতি
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) নিষিদ্ধ করা হয়েছে সব ধরনের ছাত্ররাজনীতি।
বুধবার (০৭ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়টির ১৩৬তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে তা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ১৩৬/১(ঘ) অনুযায়ী অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষক/কর্মকর্তা/কর্মচারীদের সকল ধরনের রাজনৈতিক সংগঠন এবং এর কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ততা নিষিদ্ধ করা হলো। এ আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় বিধান অনুযায়ী শাস্তি প্রদান করা হবে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জানায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সে দাবি আরও জোরালো হয়। এমন প্রেক্ষাপটে ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে চুয়েট।
এসি//
শিক্ষা
আজ থেকে শুরু একাদশ শ্রেণির ক্লাস
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্লাস মঙ্গলবার (০৬ আগস্ট) হওয়ার কথা ছিল। কোটা সংস্কার আন্দোলনের পরিস্থিতিতে পিছিয়ে তা শুরু হচ্ছে আজ।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি বিভিন্ন কলেজ ও মাদ্রাসাগুলোকে বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) থেকে একাদশের ক্লাস শুরু করতে বলেছে। এরইমধ্যে অধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষকদের এ নির্দেশনা দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সব উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষককে পাঠানো চিঠিতে কমিটি বলছে, বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) থেকে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে অনলাইনের মাধ্যমে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু হবে।
এদিকে প্রথম থেকে তৃতীয় ধাপে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তির সময় বুধবার (০৭ আগস্ট) শেষ হয়েছে। তবে, একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির চতুর্থ ধাপের আবেদনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে শিক্ষার্থীদের। তিন ধাপে আবেদন গ্রহণ ও শিক্ষার্থী নির্বাচনের পরও কিছু কলেজ মাদ্রাসায় সিট খালি থাকায় ও কিছু শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য নির্বাচিত হতে না পারায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, যেসব শিক্ষার্থী কলেজে ভর্তির আবেদন করেননি বা আবেদন করে কলেজ সিলেকশন পাননি তারা এবং যেসব শিক্ষার্থী চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েও কলেজে ভর্তি হতে পারেননি বা নিশ্চায়ন করতে পারেননি তারা চতুর্থ ধাপে ভর্তির আবেদন করতে পারবেন।
অনলাইনে নির্ধারিত ওয়েবসাইটে (https://www.xiclassadmission.gov.bd) প্রবেশ করে নির্দেশিকা অনুসারে শিক্ষার্থীদের আবেদন করতে হবে। শিক্ষার্থীদের কলেজের আসন সংখ্যা দেখে ৫টি থেকে ১০টি কলেজে আবেদনের চয়েজ দিতে পারবেন। আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫০ টাকা। ব্যাংক কার্ড ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে এ ফি পরিশোধ করতে হবে।
জানা গেছে, ১১ থেকে ১৪ আগস্ট (বুধবার) রাত ১০টা পর্যন্ত চতুর্থ বা সর্বশেষ ধাপের আবেদন গ্রহণ করা হবে। ১৭ আগস্ট (শনিবার) রাত ৮টায় চতুর্থ ধাপের ফল প্রকাশ করা হবে। ১৮ আগস্ট থেকে ১৯ আগস্ট (সোমবার) রাত ৮টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের সিলেকশন নিশ্চায়ন করতে হবে। চতুর্থ ধাপে নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা ২০ আগস্ট (মঙ্গলবার) কলেজে ভর্তি হতে পারবেন।
এসি//
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন