ফুটবল
অপ্রতিরোধ্য ইতালিকে থামাতে পারবে তারুণ্যে ভরা স্পেন?
সময় কত দ্রুতই না বদলে যায়। বদলে দেয় সব হিসাব নিকাশ। এই তো ক'দিন আগেও যে দুই দলকে নিয়ে ছিল না তেমন মাতামাতি, ছিল না চায়ের কাপে ঝড় উঠা তর্ক-বিতর্ক, সেই স্পেন-ইতালিই খেলতে নামছে প্রথম সেমিফাইনালে। টানা ৩২ ম্যাচ অপরাজেয় থেকে নামছে আজ্জুরিরা। টুর্নামেন্টে তারুণ্যের ঝলক দেখিয়ে চলছে লা রোহাও। ওয়েম্বলিতে বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় শুরু এই মহারণ।
মানচিনির অধীনে রীতিমতো উড়ছে আজ্জুরিরা। যেন হারতেই ভুলে গেছে। ৩২ ম্যাচ অপরাজেয় থাকার পাশাপাশি সবশেষ ১৩ টিতেই জয়। রক্ষণ সামলে আক্রমনে ওঠার সেই পুরনো ইতালির দেখা মিলেছে এবারের ইউরোয়। প্রতিপক্ষের জালে ১১ গোলের বিপরীতে হজম করেছে মাত্র দুইটি।
ইতালির মতো এতটা অপ্রতিরোধ্য না হলেও কম যায়না স্পেনও। ১৩ ম্যাচ ধরে অপরাজেয় লা রোহা। যদিও শেষ চারে পা রাখতে ভাগ্য সহায় হয়েছে তিনবারের চ্যাম্পিয়নদের। এনরিকের হাত ধরে তিকিতাকা কৌশলে ক্রমেই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে স্পেন। টুর্নামেন্টে ড্র করা প্রথম দুই ম্যাচে মাত্র এক গোল করা দলটাই শেষ তিন ম্যাচে পেয়েছে ১১ গোলের দেখা।
পরিসংখ্যান আর ইতিহাস দুটোই স্পেনের পক্ষে। কোয়ার্টার ফাইনাল উতরে গেছে, এমন তিন আসরেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে লা রোহা। ইতালির বিপক্ষে হেড টু হেডেও এগিয়ে সার্জিও বুসকেটসের দল। ৩৩ দেখায় ১২ জয়ের বিপরীতে হেরেছে ৯ টিতে। ড্র হয়েছে ১২ ম্যাচ।
ইউরোয় অবশ্য সমানে সমান ইতালি। ৬ ম্যাচে সমান ২ জয় উভয় দলের। ড্রয়ের সংখ্যাও একই। সবশেষ আসরে জয়ের আত্মবিশ্বাস এবার সঙ্গী আজ্জুরিদের।
প্রতিপক্ষকে সমীহ করলেও নিজেদেরকে পিছিয়ে রাখছেন না লিওনার্দো বনুচ্চি। সেমিফাইনালের লড়াইয়ে ফেভারিট বলে কিছু নেই উল্লেখ করে ইতালি ডিফেন্ডার বলেন, 'স্পেন দারুণ, তবে আমরাই বেশি ভালো খেলছি। এটাও মনে রাখতে হবে। খেলাটা যখন ইউরোর সেমিফাইনাল, আর স্পেন ইতালি, তখন ফেভারিট বলতে কিছুই নেই।'
এদিকে ইউরো শুরুর আগে তারুণ্যে ভরা এক দল ঘোষণা করেছিলেন স্পেন কোচ লুইস এনরিকে। একাধিক সিনিয়র তারকা ফুটবলারদের স্কোয়াডের বাইরে রেখে যে জুয়াটা খেলেছিলেন, সেখানে এখন পর্যন্ত হারেননি তিনি। স্পেন কোচ বলেন, 'আমাদের দলটা অভিজ্ঞ নয় ঠিক, কিন্তু এতোটা আনাড়িও নয়। ক্লাব লেভেলে সবাই চাপ নিয়ে খেলেই অভ্যস্ত। পুরো স্পেন আমাদের তাকিয়ে আছে। আশা করি তাদের উপভোগ্য একটা ম্যাচ উপহার দিতে পারবো।'
যদিও বিগ ম্যাচের আগে দুশ্চিন্তা ইতালিয়ান শিবিরে। বেলজিয়াম ম্যাচে পাওয়া ইনজুরিতে টুর্নামেন্ট শেষ ফুল ব্যাক লিওনার্দো স্পিনাৎজোলার। স্পেনের বিপক্ষে তার জায়গা নিতে পারেন এমারসন। ফেরার অপেক্ষায় আলেসান্দ্রো ফ্লোরেঞ্জি ও মার্কো ভেরাত্তি।
স্প্যানিশ একাদশেও আসতে পারে পরিবর্তন। ইনজুরিতে অনিশ্চিত পাবলো সারাবিয়া। পিএসজি উইঙ্গারের পরিবর্তে বেস্ট এলিভেনে দেখা যেতে পারে দানি ওলমোকে।
মাঠের ফল যাই হোক। ভবিষ্যৎবাণী করে সাড়া জাগানো কুকুর সাইকিক সসেজের দান অবশ্য ইতালির পক্ষে। সসেজের প্রেডিকশন হেলাফেলার নয়। চার কোয়ার্টার ফাইনালে তার ভবিষ্যৎবানী মিলেছে অক্ষরে অক্ষরে।
এস
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//