ফুটবল
ফাইনালের লড়াইটা হবে মেসি-নেইমারের
কলম্বিয়াকে টাইব্রেকারে হারিয়ে কোপা আমেরিকার ফাইনালে উঠেছে আর্জেন্টিনা। ১৪ বছর পর ফুটবলবিশ্ব দেখতে যাচ্ছে বহুল আকাঙ্ক্ষিত সুপারক্লাসিকো ফাইনাল। যেখানে স্বাগতিক ব্রাজিলের বিপক্ষে ২৮ বছরের শিরোপা খরা ঘোচাতে মাঠে নামবে আর্জেন্টিনা। আগামী রোববার (১১ জুলাই) রিও দে জেনেইরোর মারাকানা স্টেডিয়ামে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে ব্রাজিলের মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা।
কাগজে-কলমে লড়াইটা ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার হলেও মাঠের লড়াইটা থাকবে দুই দলের দুই তারকার উপর। যেখানে বন্ধুত্বের সম্পর্কটা এক পাশে রেখে প্রতিপক্ষে পরিণত হবেন লিওনেল মেসি আর নেইমার জুনিয়র। এই দুজনের কাঁধে ভর করেই তো শিরোপানির্ধারণী ম্যাচে পৌঁছেছে লাতিন আমেরিকার দুই পরাশক্তি।
বিশেষ করে আর্জেন্টিনা। এবারের আসরে দলটির করা ১১ গোলের ৯টিতেই সরাসরি ভূমিকা রেখেছেন মেসি। ৪ গোল আর ৫ এসিস্টে গোল করা বা করানোর তালিকায় তিনিই শীর্ষে। ইতিমধ্যে কোপার এক আসরে গড়েছেন সর্বোচ্চ এসিস্টের রেকর্ড। অন্যদিকে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা ফাইনালে উঠলেও নিজেদের সেরা খেলাটা উপহার দিতে পারেনি এখনো। আক্রমণভাগের খেলোয়াড়রা ধুঁকছেন গোল পেতে। কোয়ার্টার বা সেমি- দুই ম্যাচেই ঐ নেইমার জাদু। ২ গোল আর ৩ এসিস্টে মেসির ধারেকাছে কেবল এই ব্রাজিলিয়ান পোস্টারবয়।
নেইমার নিজেও অবশ্য শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে চেয়েছিলেন চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের। সেই চাওয়া পূরণ হয়েছে। নেইমারের সামনে হাতছানি দিচ্ছে ব্রাজিলের হয়ে প্রথমবারের মতো কোন মেজর শিরোপা জয়ের সুযোগ। এর আগে ২০১৯ এ ব্রাজিল কোপা জিতলেও ইনজুরিতে সাইডবেঞ্চে থাকতে হয়েছিল পিএসজি তারকাকে। ব্রাজিলের হয়ে ২০১৩ কনফেডারেশন কাপ বা ২০১৬ সালে অলিম্পিকে স্বর্ণ জয়ের নজির থাকলেও তা আক্ষেপ দূর করতে যথেষ্ট নয়। প্রিয় বন্ধু মেসিদের হারালে ব্রাজিলের হয়ে সেই আক্ষেপ দূর হতে পারে।
অবশ্য নেইমারের চেয়ে শিরোপাটা বেশি প্রয়োজন মেসির। শেষ ৭ বছরে আর্জেন্টিনার হয়ে তিনটি বড় টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেললেও একবারও ট্রফি উঁচিয়ে ধরা হয়নি ৬ বারের ব্যালনজয়ীর। বার্সেলোনার হয়ে সর্বজয়ী এই ফুটবলারের অন্তত একটি আন্তর্জাতিক শিরোপা জয়ের সুযোগটা আরও একবার সামনে এসেছে। ৩৪ পেরোনো মেসির জন্য এটাই শেষ সুযোগ কিনা তাও বড় প্রশ্ন।
লিওনেল স্কলারির শিষ্যরা শেষ ১৯ ম্যাচ ধরে অপরাজিত। আকাশী-নীল জার্সিতে উড়ছেন মেসিও। ক্ষুদে জাদুকরের জন্য পরিস্থিতি পুরোটাই অনূকূলে। তবে বিপত্তি অন্যখানে। প্রতিপক্ষ যে স্বাগতিক ব্রাজিল। এর আগে কোপা আয়োজন করে কখনোই শিরোপা হাতছাড়া হয়নি সেলেসাওদের। শেষ ১১ ম্যাচ ধরে ব্রাজিলও অপরাজিত। আর্জেন্টিনার শিরোপা খরা শেষ করতে মারাকানা স্টেডিয়ামে তাই ইতিহাস গড়তে হবে আর্জেন্টিনাকে।
এএ
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//