বাংলাদেশ
জনমানুষের পাশে নেই বিএনপি, পুরোনো রেকর্ড বাজিয়ে যাচ্ছে দলটি
করোনাকালে রাজনীতি হচ্ছে মানুষকে বাঁচানো, কিন্তু বিএনপি মিথ্যাচার করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বুধবার (৭ জুলাই) তার সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, দলটির নেতারা বলেছেন তাদের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে এবং নির্যাতন করা হচ্ছে। করোনার উচ্চমাত্রার সংক্রমণের সময় বিএনপি জনমানুষের পাশে না থেকে পুরনো রেকর্ড বাজিয়ে যাচ্ছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগ কল্পিত ও তাদের ধারাবাহিক মিথ্যাচারের অংশ। করোনা মহামারিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অর্থনীতি যখন পর্যুদস্ত, তখন শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও দক্ষ নেতৃত্ব দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বিস্ময় জাগিয়েছে।
তিনি বলেন, জনগণের জীবন ও জীবিকার সুরক্ষায় সরকার এবং আওয়ামী লীগ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে মহামারির বিরুদ্ধে সফলতার সঙ্গে লড়ে যাচ্ছে। করোনার প্রথম ঢেউ সরকার অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে সামাল দিয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এখন আবার হঠাৎ মহামারি দেখা দিলে নমুনা পরীক্ষার সুযোগ সম্প্রসারণ, সুরক্ষা সামগ্রী সংগ্রহ, দেশব্যাপী চিকিৎসা নেটওয়ার্ক তৈরিসহ সম্মুখসারির যোদ্ধা এবং অসহায় মানুষের সুরক্ষায় শেখ হাসিনা সরকারের সুদক্ষ কর্মপ্রয়াস বিশ্বসভায় প্রশংসিত হলেও দেশের রাজনীতিবীদ ও মিডিয়ার একটি অংশের প্রশংসা করতে একধরনের কার্পণ্য দেখা যায়। কর্মের ন্যূনতম স্বীকৃতিও তাদের থেকে পাওয়া যায় না।
তিনি বলেন, সংক্রমণ ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়েছে শহর থেকে গ্রামে। বাড়ছে অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু। এ অবস্থায় দলমত নির্বিশেষে সংকট মোকাবিলায় সবার সহযোগিতার মনোভাব থাকা জরুরি। নিজের সুরক্ষায় সচেতন থাকার পাশাপাশি অন্ধ সমালোচনার বিপরীতে সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসা প্রয়োজন।
বলেন, অপ্রয়োজনে বা সামান্য প্রয়োজনে ঘর থেকে বের না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে পরিবারের সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, নিজের সুরক্ষার জন্য নিজে সচেতন না হলে আমাদের কেউই বাঁচাতে পারবে না। একটি মহল অবিরাম সরকারের অন্ধ সমালোচনা করে যাচ্ছে। রাজনীতিবীদদের একটি অংশের পাশাপাশি গণমাধ্যমের একটি অংশও সরকারের দোষ খুঁজে বেড়াচ্ছে। তারা সরকারের ভালো কিছু দেখতে পায় না। দেখতে পায় না কোনো সাফল্য।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনা সরকার গঠনমূলক সমালোচনাকে স্বাগত জানায়। সমালোচনা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে চায়। কিন্তু ঢালাও সমালোচনা এবং উদ্দেশ্যমূলক অপপ্রচার সরকারের কর্ম উদ্যমকে ব্যাহত করে।
তিনি বলেন, সংকটে, দুর্যোগে দলমত নির্বিশেষে সবারই দায়িত্বশীল হতে হয়, সরকারবিরোধী রাজনীতি যারা করছেন, জনগণকে সচেতন করাও তাদের দায়িত্ব।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ঐক্যবদ্ধ হয়ে অভিন্ন শত্রু করোনা মহামারি থেকে দেশ ও জনগণের সুরক্ষায় সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
মুক্তা মাহমুদ
জাতীয়
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানালেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা
শপথ নেয়ার পরের দিন ভাষা শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৩ জন উপদেষ্টা নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও অন্য উপদেষ্টারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
আই/এ
জাতীয়
উপদেষ্টা পরিষদকে অভিনন্দন জানালেন জাসদ
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস এবং অন্য উপদেষ্টাদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন
বৃহস্পতিবার ( ৮ আগস্ট ) রাতে দলের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান তারা।
বিবৃতিতে জানানো হয়, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর দেশে আর একটিও প্রাণহানি, হামলা ও সম্পদ ধ্বংসের ঘটনা যেন না ঘটে তা নিশ্চিত হবে।”
বিবৃতিতে আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতিসহ সংবিধানকে সমুন্নত রেখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির সাথে আলোচনা করে সরকারের কর্ম পরিকল্পনার রূপরেখা দ্রুত প্রকাশ করে বিদ্যমান অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা প্রশমিত করবেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক ও প্রধান কাজ হিসেবে অনতিবিলম্বে দেশে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
জাসদ নেতৃবৃন্দ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
জাসদ জোর দাবি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ববর্তী সরকারের পদত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ পেশাজীবী ও হিন্দু ও আহমদীয়াসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও হত্যা করা, মন্দিরসহ ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে ও নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে হামলা-হত্যা-নির্যাতন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ, সংসদ ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন-বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে হামলা, লুটপাট, জ্বালিয়ে ছারখার, দেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, সাত বীরশ্রেষ্ঠর ভাস্কর্যসহ ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ও ম্যুরাল ভেঙে ফেলা এবং কুমিল্লার বীরচন্দ্র পাঠাগার, সুনামগঞ্জের ঐতিহ্য জাদুঘর, কুড়িগ্রামের উত্তরবঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক শশীলজের ভেনাস ভাস্কর্য ভেঙে ফেলাসহ অগনিত শিল্পকর্ম ভেঙে ফেলার সব অপরাধ কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার।
জেডএস/
জাতীয়
তদবির থেকে বিরত থাকুন, দেশগঠনে পরামর্শ দিন : আসিফ মাহমুদ
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ১৭ সদস্যের অন্তবর্তীকালীন সরকার। এ উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন প্রতিনিধি। এদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ। তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার পর ঘনিষ্ঠজনদের নিজেদের সুবিধার জন্য কোনো আবদার কিংবা তদবির করতে বারণ করেছেন। বরং দেশগঠনে কোনো পরামর্শ থাকলে দেয়ার অনুরোধ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্ট করে এ অনুরোধ করেন।
পোস্টে এই তরুণ উপদেষ্টা লিখেছেন, ব্যক্তিগত লাভের আশায় আবদার, তদবির করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে আমার সাথে আপনার সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। দেশগঠনে পরামর্শ থাকলে জানাবেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ জনকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টাদের শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ঢাকার বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আযম, বিধান রঞ্জন রায় এবং সুপ্রদীপ চাকমা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্যান্য উপদেষ্টারা হলেন- ১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ২. ড. আসিফ নজরুল ৩. আদিলুর রহমান খান ৪. হাসান আরিফ ৫. তৌহিদ হোসেন ৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ৭. মো. নাহিদ ইসলাম ৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন ১০. সুপ্রদীপ চাকমা ১১. ফরিদা আখতার ১২. বিধান রঞ্জন রায় ১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান ১৪. নুরজাহান বেগম ১৫. শারমিন মুরশিদ ১৬. ফারুক-ই-আযম।
জেএইচ