ফুটবল
ইন্টার মিলানের হাকিমি এখন পিএসজির
আর্থিক কারণে এক মৌসুম পরেই মরক্কোর ডিফেন্ডার আশরাফ হাকিমিকে পিএসজির কাছে বিক্রি করে দিলো ইন্টার মিলান। হাকিমি যে পিএসজিতে যাচ্ছেন তা আগেই নিশ্চিত ছিল। কারণ ইন্টার মিলানের সিইও প্রকাশ্যেই এই আলোচনার কথা জানিয়েছিলেন।
ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ান জায়ান্ট পিএসজির পক্ষ থেকে এই রাইটব্যাককে কেনার কথা জানিয়েছিল। এবার তারা সেটার অফিশিয়াল ঘোষণা দিলো। পিএসজি পাঁচ বছরের চুক্তিতে হাকিমিকে দলে নেয়ার বিষয়টি জানালেও তাকে দলে নিতে কত খরচ হয়েছে তার কিছুই বলেনি।
যদিও ফরাসি গণমাধ্যম জানাচ্ছে, এই রাইট ব্যাককে দলে নিতে পিএসজি ৬০ মিলিয়ন ইউরো ব্যয় করেছে।
গত মৌসুমেই হাকিমিকে ইন্টার মিলান ৪০ মিলিয়ন ইউরো দিয়ে কিনেছিল। গত মৌসুমে ইন্টারের হয়ে ৩৭টি ম্যাচ খেলে সাত গোল এবং ১০টি অ্যাসিস্ট করেছিলেন হাকিমি।
রিয়াল মাদ্রিদের ইয়ুথ একাডেমি থেকে ২০১৭ সালে ২২ বছর বয়সী হাকিমি সিনিয়র দলে সুযোগ পান। ২০১৭-১৮ মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্ লিগ, উয়েফা সুপার কাপ ও ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ জয়ী রিয়াল মাদ্রিদের সদস্য ছিলেন তিনি। এরপর বুন্দেসলিগায় বরুসিয়া ডর্টমুন্ডে ২০১৯ সালে ধারে খেলতে গিয়েছিলেন তিনি।
পিএসজির ওয়েবসাইটে হাকিমি বলেছেন, আমি আজ অত্যন্ত গর্ববোধ করছি। স্পেন, জার্মানী, ইতালির অভিজ্ঞতার পর এখন পিএসজি আমাকে নতুন এক অধ্যায় খোলার সুযোগ করে দিয়েছে। নতুন সতীর্থ ও সমর্থকদেও সঙ্গে দেখা করার জন্য আমি মুখিয়ে আছি। পার্ক ডি প্রিন্সেসের সময়টা আমি পুরোপুরি ভাবে উপভোগ করতে চাই। ক্লাব আমার থেকে যা প্রত্যাশা করে আশা করছি তার শতভাগ দিতে পারবো।
মরক্কো জাতীয় দলের হয়ে হাকিমি এ পর্যন্ত ৩৬ ম্যাচের ৪ গোল করেছেন। ২০১৬ সালে জাতীয় দলে তার অভিষেক হয়।
পিএসজি এর মধ্যেই নতুন মৌসুমকে সামনে রেখে নেদারল্যান্ডের মিডফিল্ডার গিওর্গিনিও উইজনালডামকে লিভারপুল থেকে দলে নিয়েছে। এছাড়া স্থানীয় গণমাধ্যমের সূত্রমতে জানা গেছে ইতালিয়ান গোলরক্ষক গিয়ানলুইগি ডোনারুমা ও স্প্যানিশ অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার সার্জিও রামোসের সঙ্গে তারা চুক্তির দ্বারপ্রান্তে রয়েছে।
এএ
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//