বাংলাদেশ
৯ম উইকেটে রেকর্ড জুটির পর প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের রেকর্ড সংগ্রহ
হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে মাহমুদউল্লাহর সেঞ্চুরি, তাসকিন, মুমিনুল হক ও লিটন দাসের অর্ধশত রানে ভর করে ৪৬৮ রানে ইনিংস শেষ করেছে বাংলাদেশ। লিটনের সাথে সপ্তম আর তাসকিনের সাথে নবম উইকেট জুটিতে একশো পেরোনো দুটি জুটি গড়েন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। লিটন দাস ৫ রানের জন্য সেঞ্চুরি বঞ্চিত হন। তাসকিন আহমেদ করেন ক্যারিয়ার সেরা ৭৫ রান। শেষ পর্যন্ত মাহমুদউল্লাহ অপরাজিত ছিলেন ১৫০ রানে।
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং তাসকিন আহমেদ দু’জনে মিলে ৪৩ ওভার ব্যাট করেন। ৪৩ ওভারে তাদের জুটি থেকে আসে ১৬৭ রান। ব্যক্তিগত ৭৫ রানে তাসকিন আউট হলে ১৯১ রানে জুটি ভাঙে। বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে ৯ম উইকেট জুটিতে এটিই সর্বোচ্চ রানের জুটি।
বুধবার হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে টস জিতে মুমিনুল ইসলাম ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। প্রথম ওভারেই সাদমান-সাইফের ওপেনিং জুটি ভাঙ্গে। দ্রুত ফিরে যান নাজমুল হোসেন শান্তও। আরেক ওপেনার সাদমান ইসলামকে নিয়ে সামনে এগুতে থাকেন মুমিনুল হক। কিন্তু লাঞ্চের আগে সাদমান স্লিপে অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেইলরের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হলে প্রথম সেশনে বাংলাদেশ ৩ উইকেট হারিয়ে তোলে ৭০ রান।
দ্বিতীয় সেশনে বাংলাদেশ আক্রমণাত্মক ব্যাটিং শুরু করে প্রথম চার ওভারে ২৯ রান তোলেন মুশফিকু এবং মুমিনুল। এই দুজনের জুটি জমে ওঠার আগেই মুশফিক মুজারাবানির বিতর্কিত শিকারে পরিণত হন। মুশফিকের বিদায়ের পর সাকিবও বেশিক্ষন উইকেটে থিতু হতে পারেননি। তিন রান করে বাঁহাতি মিডিয়াম পেসার ভিক্টর নিয়াউচির বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। অধিনায়ক মুমিনুলও সাকিবের পর পরই ভিক্টর নিয়াউচির শর্ট বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। অবশ্য তার আগে ১৩ চারে ৭০ রানের ইনিংস খেলেন। মুমিনুল যখন ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন দলের রান তখন ১৩২।
সেখান থেকেই সপ্তম উইকেটে লিটন দাস ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের পার্টনারশিপে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। দু’জনের ১৩৮ রানের জুটিতে ২৭০ রানে পৌঁছায় বাংলাদেশে। সপ্তম উইকেটে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের জুটি গড়ার পর ডোনাল্ড তিরিপানোর বলে ভিক্টর নিয়াউচির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লিটন। সেঞ্চুরি থেকে ৫ রান দূরে থাকতে ৯৫ রানে আউট হয়ে ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বার নার্ভাস নাইন্টিজের শিকার হন লিটন। লিটন ফেরার পরের বলেই তিরিপানোর বলে এলবির ফাঁদে পড়ে কোনও রান ছাড়াই ফেরেন মেহেদি হাসান মিরাজ। পরে নবম উইকেটে তাসকিনকে সাথে নিয়ে দিনের বাকি অংশ পার করেন মাহমুদউল্লাহ। ৮ উইকেটে ২৯৪ রানে শেষ হয় প্রথমদিনের খেলা।
আগেরদিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান তাসকিন এবং মাহমুদউল্লাহ নির্বিঘ্নেই দ্বিতীয় দিন প্রথম সেশন কাটিয়ে দেন। এই সেশনে দুজনে নিজেদের ব্যক্তিগত মাইলফলক স্পর্শ করেন। সাদা পোশাকে ফিরেই মাহমুউদউল্লাহ ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি তুলে নেন। ৮ চারে ৫২ রানে অপরাজিত থেকে দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশন শেষ করেন তাসকিন। দ্বিতীয় সেশনের প্রথম এক ঘন্টাও এই দুজন পার করেন। কিন্তু তাসকিন ব্যক্তিগত ৭৫ রানে মিলটন শুম্বার বলে বোল্ড হলে ৯ম উইকেটে বাংলাদেশের হয়ে রিয়াদ-তাসকিনের রেকর্ড ১৯১ রানের জুটির অবসান ঘটে। এবাদত এসে উইকেটে বেশিক্ষন থাকতে পারেননি। শেস পর্যন্ত মাহমুদউল্লাহ ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ ১৫০ রান করে নট আউট থাকেন। হারারেতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলীয় রানের ইনিংস অবশেষে থামে ৪৬৮ রানে।
জিম্বাবুয়ের ব্লেসিং মুজারাবানি পান ৯৪ রানে ৪ উইকেট। ডোনাল্ড তিরিপানো এবং ভিক্টর নিয়াউচি নেন দুইটি করে উইকেট।
এস
জাতীয়
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানালেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা
শপথ নেয়ার পরের দিন ভাষা শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৩ জন উপদেষ্টা নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও অন্য উপদেষ্টারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
আই/এ
জাতীয়
উপদেষ্টা পরিষদকে অভিনন্দন জানালেন জাসদ
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস এবং অন্য উপদেষ্টাদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন
বৃহস্পতিবার ( ৮ আগস্ট ) রাতে দলের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান তারা।
বিবৃতিতে জানানো হয়, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর দেশে আর একটিও প্রাণহানি, হামলা ও সম্পদ ধ্বংসের ঘটনা যেন না ঘটে তা নিশ্চিত হবে।”
বিবৃতিতে আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতিসহ সংবিধানকে সমুন্নত রেখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির সাথে আলোচনা করে সরকারের কর্ম পরিকল্পনার রূপরেখা দ্রুত প্রকাশ করে বিদ্যমান অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা প্রশমিত করবেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক ও প্রধান কাজ হিসেবে অনতিবিলম্বে দেশে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
জাসদ নেতৃবৃন্দ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
জাসদ জোর দাবি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ববর্তী সরকারের পদত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ পেশাজীবী ও হিন্দু ও আহমদীয়াসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও হত্যা করা, মন্দিরসহ ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে ও নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে হামলা-হত্যা-নির্যাতন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ, সংসদ ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন-বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে হামলা, লুটপাট, জ্বালিয়ে ছারখার, দেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, সাত বীরশ্রেষ্ঠর ভাস্কর্যসহ ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ও ম্যুরাল ভেঙে ফেলা এবং কুমিল্লার বীরচন্দ্র পাঠাগার, সুনামগঞ্জের ঐতিহ্য জাদুঘর, কুড়িগ্রামের উত্তরবঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক শশীলজের ভেনাস ভাস্কর্য ভেঙে ফেলাসহ অগনিত শিল্পকর্ম ভেঙে ফেলার সব অপরাধ কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার।
জেডএস/
জাতীয়
তদবির থেকে বিরত থাকুন, দেশগঠনে পরামর্শ দিন : আসিফ মাহমুদ
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ১৭ সদস্যের অন্তবর্তীকালীন সরকার। এ উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন প্রতিনিধি। এদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ। তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার পর ঘনিষ্ঠজনদের নিজেদের সুবিধার জন্য কোনো আবদার কিংবা তদবির করতে বারণ করেছেন। বরং দেশগঠনে কোনো পরামর্শ থাকলে দেয়ার অনুরোধ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্ট করে এ অনুরোধ করেন।
পোস্টে এই তরুণ উপদেষ্টা লিখেছেন, ব্যক্তিগত লাভের আশায় আবদার, তদবির করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে আমার সাথে আপনার সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। দেশগঠনে পরামর্শ থাকলে জানাবেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ জনকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টাদের শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ঢাকার বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আযম, বিধান রঞ্জন রায় এবং সুপ্রদীপ চাকমা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্যান্য উপদেষ্টারা হলেন- ১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ২. ড. আসিফ নজরুল ৩. আদিলুর রহমান খান ৪. হাসান আরিফ ৫. তৌহিদ হোসেন ৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ৭. মো. নাহিদ ইসলাম ৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন ১০. সুপ্রদীপ চাকমা ১১. ফরিদা আখতার ১২. বিধান রঞ্জন রায় ১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান ১৪. নুরজাহান বেগম ১৫. শারমিন মুরশিদ ১৬. ফারুক-ই-আযম।
জেএইচ