বাংলাদেশ
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ বন্দনা
একজন মানুষকে জীবনে অনেক সিদ্ধান্ত নিতে হয়। কোনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া সত্যিই কঠিন। কোনো সিদ্ধান্তের জন্য যদি তাকে কঠিন মূল্য দিতে হয় এবং তা জেনেও কেউ তার অবস্থানে অবিচল থাকলে তাকে দৃঢ় চরিত্রের বলতেই হয়। তেমনই এক চরিত্র রেহানা মরিয়ম নূর।
রেহানা যেন পাশের বাড়ির এক মেয়ে। ঢাকার মধ্যবিত্ত সমাজেরই চেনা একজন। কিন্তু এই সাধারণের মাঝেই অসাধারণ ক্ষমতা আছে- সাদের সেলুলয়েডে এই বার্তা পেলেন কানের দর্শকেরা। নতুন এক ইতিহাস রচনা করেছে ‘রেহানা মরিয়ম নূর’।
তরুণ নির্মাতা আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সাদের লেখা ও পরিচালিত ছবিটি এবার কান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের অফিসিয়াল সিলেকশন আঁ সার্তে রিগা পর্বে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে ইতিহাস গড়েছে। বুধবার (৭ জুলাই) সিনেমাটির প্রথম প্রদর্শনী হয় উৎসবের অন্যতম ভেন্যু সাল দুবুসি থিয়েটারে।
ফ্রান্সের স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশী সিনেমাটির প্রিমিয়ার। এটি দেখার জন্য লাইন ধরে দর্শকরা প্রবেশ করেছিলেন থিয়েটারে। সিনেমাটি যখন শেষ হয়, তখন হলের ভেতরে তৈরি হয় এক অন্যরকম পরিবেশ। প্রায় সবাই আসন ছেড়ে দাঁড়িয়ে যায় এবং মুহুর্মুহু করতালিতে অভিবাদন জানায়।
কানের মতো আয়োজনে স্ট্যান্ডিং ওভেশন পাওয়া যেকোনো সিনেমার জন্যই বড় প্রাপ্তি। সুতরাং ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ যে বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশকে এক ধাপ এগিয়ে দিয়েছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
এদিকে কানে প্রিমিয়ার হওয়ার পর বিশ্বের বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে এসেছে সিনেমাটির নাম এবং রিভিউ। হলিউড রিপোর্টার থেকে শুরু করে ভারতের টাইমস অব ইন্ডিয়া; প্রভাবশালী গণমাধ্যমগুলো প্রশংসায় ভাসিয়েছে নির্মাতা, অভিনয়শিল্পী এবং কলাকুশলীদের।
চলুন সংক্ষেপে জেনে নেয়া যাক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ সম্পর্কে কী বলেছে…
হলিউড রিপোর্টার
বিনোদনভিত্তিক মার্কিন ম্যাগাজিন ও ওয়েবসাইট হলিউড রিপোর্টার রীতিমতো প্রশংসায় পঞ্চমুখ। সেখানে প্রকাশিত রিভিউতে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় চরিত্র ‘ড. রেহানা মরিয়ম নূরের অন্তর্নিহিত মর্যাদাটুকু সিনেমার শেষ দৃশ্যের আগ পর্যন্ত টের পাওয়া যায় না। আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ নিশ্চিতভাবে বাঁধনকে নির্দেশনা দিয়ে চরিত্রটির সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছাতে সাহায্য করেছেন। সাদ ও ডিরেক্টর অব ফটোগ্রাফিতে তুমিল তামিজুল মিলে অসাধারণ কিছু টেকনিক্যাল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো, প্রতিটা দৃশ্যে নীল রঙের আভা। যা এতই শীতল ও নিরস যে, মনে হয় জীবনের দৃশ্য ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে। হাত দিয়ে পরিচালিত ক্যামেরার কাজগুলো স্থিতিশীল নয়। যার ফলে দৃশ্যগুলো হয়েছে সহজাত।
টাইমস অব ইন্ডিয়া
ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় এই গণমাধ্যম শিরোনামে লিখেছে- “বাংলাদেশের ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ কান উৎসবে ইতিহাস সৃষ্টি করল।” বিস্তারিত প্রতিবেদনে গণমাধ্যমটি লিখেছে, বাংলাদেশের প্রথম সিনেমা হিসেবে কান উৎসবের অফিসিয়াল সিলেকশনে জায়গা করে নিয়েছে এটি। যখন একটা দেশ স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপন করছে, তখন এই ঘটনা নিঃসন্দেহে গৌরবের। এজন্য বাংলাদেশীরা বলছেন, ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ একটা ঐতিহাসিক অর্জন। এটা আরও বহু স্বাধীন নির্মাতাকে অনুপ্রেরণা যোগাবে। এখন সবার চোখ ১৬ জুলাইয়ের দিকে। কারণ সেদিনই ঘোষণা করা হবে আঁ সাঁর্তে রিগা বিভাগের বিজয়ীদের নাম। এবং বাংলা চলচ্চিত্রটির সর্বোচ্চ সম্ভাবনা রয়েছে পুরস্কার জয়ের।
ফ্রান্স টুয়েন্টিফোর
প্যারিস ভিত্তিক ফ্রান্সের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন গণমাধ্যম ফ্রান্স টুয়েন্টিফোর। সেখানেও ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ নিয়ে প্রশংসার ফুলঝুরি। প্রতিবেদনটির শিরোনামে লেখা হয়েছে ‘স্বপ্ন সত্যি হলো, বাংলাদেশী সিনেমা কান চলচ্চিত্র উৎসবে ইতিহাস সৃষ্টি করল’। এছাড়া বলা হয়েছে, “এটা কানের বিশাল এক বিস্ময় যে, বিশ্বের মেধাবী তরুণ নির্মাতারা সিনে দুনিয়ার নামী ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে একই মঞ্চ ভাগাভাগি করছেন। ‘রেহানা’ সাদের দ্বিতীয় সিনেমা। এর আগে ‘লাইভ ফ্রম ঢাকা’ নির্মাণ করে সিঙ্গাপুর ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে পুরস্কৃত হয়েছেন তিনি। প্রথম সিনেমার মতো এখানেও তিনি অসাধারণ একটি চরিত্র সৃষ্টি করেছেন, যেটা রূপ দিয়েছেন আজমেরী হক বাঁধন।” এছাড়া গণমাধ্যমটি নির্মাতা সাদের একটি সাক্ষাৎকার অংশও প্রকাশ করেছে।
ডয়চে ভেলে
জার্মানভিত্তিক বিশ্বখ্যাত গণমাধ্যম ডয়চে ভেলে। তাদের প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল ‘ওয়াও রেহানা মরিয়ম নূর ওয়াও’। গণমাধ্যমটির প্রতিনিধি রয়েছে কান উৎসবে। প্রদর্শনী দেখার পর তিনি লিখেছেন, “প্রত্যাশার পারদ চড়েছিল আগে থেকেই৷ ম্যুভির ট্রেলার এবং পোস্টার দেখে যে ‘রেহানা মরিয়ম নূর’কে আশা করা হচ্ছিল, সেই কল্পনা ও বাস্তবের মেলবন্ধন ভালোই দেখা গেল।” দীর্ঘ প্রতিবেদনের শেষ অংশে লেখক বললেন, “এই ক্যাটাগরিতে অন্য সিনেমাগুলোও বেশ শক্তিশালী; বিশেষ করে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের এক সৈনিকের সত্য ঘটনা অবলম্বনে তৈরি করা নির্মাতা আর্থার হারারির ‘অনোডা- টেন থাউজেন্ড নাইটস ইন দ্য জাঙ্গল’ সিনেমাটি এই ক্যাটাগরিতে খুবই শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী বলে বিবেচনা করা হচ্ছে। তারপরও দায়িত্ব নিয়েই বলছি, ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ কোনো পুরষ্কার না পেলেই বরং অবাক হবো৷”
স্ক্রিন ডেইলি
ব্রিটিশ ম্যাগাজিন স্ক্রিন ডেইলিতেও এসেছে ‘রেহানা মরিয়ম নূর’-এর বন্দনা। এতে বলা হয়েছে, চৌম্বকীয় ধারাবাহিকতা এবং গতিশীলতার সঙ্গে বাঁধনের অসাধারণ অভিনয়ের সুবাদে চলচ্চিত্রটি বিস্ময়কর পরিসীমা লাভ করেছে। কখনও স্বল্প পরিশ্রমী, কখনও সংক্ষিপ্ত, মর্মস্পর্শী আবার নিয়ন্ত্রণ করার অসাধারণ সমন্বয়ে সাজানো হয়েছে রেহানা চরিত্রটি। সিনেমায় বাঁধনের মেয়ের ভূমিকায় অভিনয় করা আফিয়া জাহিন জাইমারও ভূয়সী প্রশংসা করা হয়েছে। এছাড়া চিত্রায়ণ ও সম্পাদনার কৌশলের দিক দিয়েও সাদ ভিন্নতা ফুটিয়ে তুলেছেন।
মূলত… অন্যায়ের প্রতিকার চাওয়া আর নিজের জেদ, এই দুই মিলে রেহানা দাঁড় হয় এক ভীষণ কঠিন পরিস্থিতিতে। যার নামে ছবিটি, সেই রেহানা মরিয়ম নূর সিঙ্গেল মাদার। ৬ বছর বয়সী এক ফুটফুটে কন্যার মা। মেয়েকে একা বড় করা, বাবা, মা ও ভাইয়ের দেখাশোনা, খরচ জোগাড়- সবই করতে হয় তাকে। এমন মানুষকে দৃঢ়তো হতেই হয়।
কিন্তু রেহানা কতটা অবিচল তা বোঝা যায় যখন তিনি তার স্বামীর দেয়া ঘড়ি সবসময় পরে থাকেন। মেডিক্যালে কলেজের এই শিক্ষকের জেদ প্রমাণ করতে গিয়ে পরিচালক দেখান, যে তিনি ছাত্রীর নকল ধরার জন্য গিয়ে বসে থাকেন তার পাশে। সফলও হন।
গল্পের প্রেক্ষাপট তৈরি করতে গিয়ে এসব দেখান পরিচালক। আসল বিপত্তি আসে যখন একজন ছাত্রী আরেক শিক্ষকের কাছে যৌন নিপীড়িত হবার সময় ঘটনাটির একটি অংশ দেখে ফেলেন রেহানা। এরপর প্রতিকার চাইতে বারবার বললেও সেই ছাত্রী রাজি হচ্ছিলেন না। এরপর রেহানা নিজেই নিজেকে বানান ভিক্টিম। মূলত এই ঘটনাকে আবর্তিত করেই ছবিটি।
এস
জাতীয়
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানালেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা
শপথ নেয়ার পরের দিন ভাষা শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৩ জন উপদেষ্টা নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও অন্য উপদেষ্টারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
আই/এ
জাতীয়
উপদেষ্টা পরিষদকে অভিনন্দন জানালেন জাসদ
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস এবং অন্য উপদেষ্টাদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন
বৃহস্পতিবার ( ৮ আগস্ট ) রাতে দলের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান তারা।
বিবৃতিতে জানানো হয়, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর দেশে আর একটিও প্রাণহানি, হামলা ও সম্পদ ধ্বংসের ঘটনা যেন না ঘটে তা নিশ্চিত হবে।”
বিবৃতিতে আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতিসহ সংবিধানকে সমুন্নত রেখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির সাথে আলোচনা করে সরকারের কর্ম পরিকল্পনার রূপরেখা দ্রুত প্রকাশ করে বিদ্যমান অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা প্রশমিত করবেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক ও প্রধান কাজ হিসেবে অনতিবিলম্বে দেশে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
জাসদ নেতৃবৃন্দ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
জাসদ জোর দাবি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ববর্তী সরকারের পদত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ পেশাজীবী ও হিন্দু ও আহমদীয়াসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও হত্যা করা, মন্দিরসহ ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে ও নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে হামলা-হত্যা-নির্যাতন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ, সংসদ ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন-বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে হামলা, লুটপাট, জ্বালিয়ে ছারখার, দেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, সাত বীরশ্রেষ্ঠর ভাস্কর্যসহ ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ও ম্যুরাল ভেঙে ফেলা এবং কুমিল্লার বীরচন্দ্র পাঠাগার, সুনামগঞ্জের ঐতিহ্য জাদুঘর, কুড়িগ্রামের উত্তরবঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক শশীলজের ভেনাস ভাস্কর্য ভেঙে ফেলাসহ অগনিত শিল্পকর্ম ভেঙে ফেলার সব অপরাধ কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার।
জেডএস/
জাতীয়
তদবির থেকে বিরত থাকুন, দেশগঠনে পরামর্শ দিন : আসিফ মাহমুদ
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ১৭ সদস্যের অন্তবর্তীকালীন সরকার। এ উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন প্রতিনিধি। এদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ। তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার পর ঘনিষ্ঠজনদের নিজেদের সুবিধার জন্য কোনো আবদার কিংবা তদবির করতে বারণ করেছেন। বরং দেশগঠনে কোনো পরামর্শ থাকলে দেয়ার অনুরোধ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্ট করে এ অনুরোধ করেন।
পোস্টে এই তরুণ উপদেষ্টা লিখেছেন, ব্যক্তিগত লাভের আশায় আবদার, তদবির করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে আমার সাথে আপনার সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। দেশগঠনে পরামর্শ থাকলে জানাবেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ জনকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টাদের শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ঢাকার বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আযম, বিধান রঞ্জন রায় এবং সুপ্রদীপ চাকমা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্যান্য উপদেষ্টারা হলেন- ১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ২. ড. আসিফ নজরুল ৩. আদিলুর রহমান খান ৪. হাসান আরিফ ৫. তৌহিদ হোসেন ৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ৭. মো. নাহিদ ইসলাম ৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন ১০. সুপ্রদীপ চাকমা ১১. ফরিদা আখতার ১২. বিধান রঞ্জন রায় ১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান ১৪. নুরজাহান বেগম ১৫. শারমিন মুরশিদ ১৬. ফারুক-ই-আযম।
জেএইচ