ফুটবল
ইংল্যান্ডকে সমীহ করলেও ভীত নয় ইতালি
রোববার রাতে ইউরো ফাইনালে মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড-ইতালি। দুই দলই এবারের আসরের যোগ্যতম দল হিসেবে শিরোপানির্ধারণী ম্যাচে পৌঁছেছে। অর্থাৎ ফাইনালের লড়াইয়টা হবে সমানে সমান। অবশ্য এক দিক থেকে এগিয়ে ইংলিশরা। লন্ডনের বিখ্যাত ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ফাইনালে হ্যারি কেইনের দল খেলবে স্টেডিয়াম ঠাসা দর্শক নিয়ে। কট্টর ইংলিশ সমর্থকদের সামনে পারফর্ম করতে পারাটাই হবে ইতালির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।
তবে ভেন্যু নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন না ইতালিয়ান মিডফিল্ডার মার্কো ভেরাত্তি। বরং তার ধারণা, চাপ সামলে এমন মঞ্চে স্বাগতিকদের পরাজয়ের স্বাদ দিতে পারাটা হবে স্বপ্নের মতো। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) ভেরাত্তি বললেন, ওয়েম্বলির আবহে তারা কাবু হবেন না একটুও।
প্রতিপক্ষকে সমীহ করে ভেরাত্তি বলেন, 'ডেনমার্কের বিপক্ষে ওদের সেমি-ফাইনাল আমরা সবাই একসঙ্গে বসে দেখেছি। ইংল্যান্ড শক্তিশালি দল। তাদের এমন সব ফুটবলার আছে, যারা টেকনিক্যালি খুব ভালো।'
ইংল্যান্ডের জন্য ফাইনাল খেলাটা প্রাপ্য উল্লেখ করে এই পিএসজি তারকা আরও বলেন, 'এই মাঠে ফাইনাল তাদের প্রাপ্য, যে মাঠকে তারা খুব ভালোভাবে চেনে। তাদের মাঠে তাদেরকে হারিয়ে শিরোপা জয় হবে স্বপ্নের মতো। আমরাও এভাবে এই ধরনের মাঠে খেলতে অভ্যস্ত। এটাও আমাদের শক্তি জোগাবে। আমরা ভীত না, বরং খুশি যে তারা ফাইনালে উঠেছে। এখন ঐতিহাসিক এক লড়াই হবে ফাইনালে।'
এই মাঠে নিজেদের খেলা শেষ ১৭ ম্যাচের ১৫টিতেই জিতেছে গ্যারেথ সাউথগেটের ইংল্যান্ড। গোল করেছে ৪৬টি, বিপরীতে হজম করেছে মাত্র ৫টি। অর্থাৎ এই স্টেডিয়ামে কঠিন পরীক্ষা অপেক্ষা করছে কিয়েলিনি-বনুচ্চিদের জন্য। অবশ্য ইতালির জন্যও ওয়েম্বলি আশীর্বাদ। শেষ ষোলোয় অস্ট্রিয়াকে ও সেমিফাইনালে স্পেনকে এই মাঠেই পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ দিয়েছে মানচিনির শিষ্যরা। তবে এবারের ম্যাচটা অবশ্য থাকবে ভিন্ন। এবার যে তাদের প্রতিপক্ষ খোদ ইংল্যান্ড।
এস
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//