আওয়ামী লীগ
রূপগঞ্জের ঘটনা প্রধানমন্ত্রী নিজেই মনিটরিং করছেন: কাদের
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের একটি কারখানায় মর্মান্তিক অগ্নি দুর্ঘটনায় ইতোমধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী যারা দায়ী হবেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই এ বিষয়ে মনিটর করছেন। বললেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই এ বিষয়টি মনিটর করছেন।
শনিবার (১০ জুলাই) বঙ্গবন্ধু আদর্শ ফোরামের দেড় যুগপূর্তি উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন। কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এ ঘটনায় এরইমধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী যারা দায়ী হবেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে মর্যাদাশীল করতে হলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করতে হবে, আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করতে হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অসীম সাহসে দেশে বাস্তবায়িত হচ্ছে একের পর এক মেগাপ্রকল্প। নির্মাণের শেষ প্রান্তে স্বপ্নের পদ্মাসেতু। দৃশ্যমান হয়েছে দেশের প্রথম মেট্রোরেল, এগিয়ে চলছে কর্ণফুলীর তলদেশ দিয়ে বঙ্গবন্ধু টানেলের নির্মাণ কাজ।
তিনি বলেন, মাতারবাড়ি প্রজেক্ট, রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্প, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, চারলেনের মহাসড়ক, বিআরটিসহ একাধিক মেগাপ্রকল্পের কাজ এগিয়ে চলেছে। বাংলাদেশে এখন মাথাপিছু আয় দুই হাজার দুইশ ডলার ছাড়িয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছাড়িয়েছে ৪৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এতসব উন্নয়ন অর্জন একটি দল দেখতে পায় না। শেখ হাসিনার উন্নয়ন অর্জন দেখলে এক শ্রেণির বুদ্ধিজীবী রাজনীতিবিদদের গাত্রদাহ হয়। তারা দিনের আলোতে রাতের অন্ধকার দেখতে পায়।
তিনি বলেন, বিশ্ব এখন করোনা বিরোধী লড়াইয়ে অবতীর্ণ। জগতের সমৃদ্ধ দেশগুলোও করোনার অভিঘাত মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে। সংক্রমণ ও মৃত্যুহার উচ্চমাত্রা পেয়েছে- বিশেষজ্ঞরা চলমান ধারা অব্যাহত থাকলে পরিস্থিতি আরও ভয়ানক হবে বলে আশঙ্কা করছেন। এমতাবস্থায় মানুষের জীবন ও জীবিকার সুরক্ষাই সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। অসহায় খেটে-খাওয়া মানুষের সুরক্ষা এবং সংক্রমণ রোধ এখন আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।
আওয়ামী লীগের এই শীর্ষ নেতা বলেন, এ চ্যালেঞ্জিং কাজে সরকারের প্রচেষ্টা তখনই সফল হবে যদি সবাই সংকটের ভয়াবহতা উপলব্ধি করে এবং সচেতনতার সর্বোচ্চ মাত্রা অনুসরণ করে। আওয়ামী লীগের শেকড় এদেশের মাটির অনেক গভীরে। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্ম চেতনার সঙ্গে আওয়ামী লীগের সম্পর্ক।
আওয়ামী লীগ
শেখ হাসিনাকে নিয়ে যে নতুন বার্তা দিলেন জয়
এবার শেখ হাসিনার দেশের ফেরা নিয়ে নতুন বার্তা দিলেন জয়। অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিলেই দেশে ফিরবেন শেখ হাসিনা। তবে ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি অংশগ্রহণ করবেন কিনা সে সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো বার্তা দেননি সজিব ওয়াজেদ জয়।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসব কথা বলেন তিনি।
জয় বলেন, রাজনীতি নিয়ে তার কখনওই উচ্চ আকাঙ্ক্ষা ছিল না। কিন্তু চলমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে নেতৃত্বের সংকট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় দলের প্রয়োজনে তাকে সক্রিয় হতে হবে এবং সামনের সারিতে থেকেই কাজ করবেন।
এর আগে ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনের মুখে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে তার ছেলে জয় বিবিসিকে জানিয়েছিলেন “ মা আর দেশে ফিরবে না এবং রাজনীতি করবেন না”।
প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর দেশের চলমান সংকট সমাধানে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আই/এ
আওয়ামী লীগ
আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয় : জয়
আওয়ামী লীগ দেশের সবচেয়ে পুরোনো এবং বড় গণতান্ত্রিক দল। আওয়ামী লীগ কিন্তু মরে যায়নি। আওয়ামী লীগ এই দেশকে স্বাধীন করেছে। আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
বুধবার (৭ আগস্ট) নিজের ফেসবুক আইডিতে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশে এখন একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি চলছে উল্ল্যেখ করে জয় বলেন, সারা দেশে ভাঙচুর হচ্ছে, লুটপাট হচ্ছে। শহরের বাইরে আমাদের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা চলছে। অনেককে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর যেভাবে হামলা হচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে আমরা হাল ছেড়ে দিতে পারি না। বাংলাদেশে যদি গণতন্ত্রের নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হয়, আওয়ামী লীগ ছাড়া সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগ হচ্ছে সবচেয়ে বড় দল। আওয়ামী লীগ কোথাও যাবে না।”
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘আমি সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি। আপনারা সবাই সাহস নিয়ে দাঁড়ান, আমরা আছি। বঙ্গবন্ধুর পরিবার কোথাও যায়নি। আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি। দেশকে, আমাদের নেতা-কর্মীদের এবং আওয়ামী লীগকে রক্ষা করার জন্য যা প্রয়োজন আমরা করতে প্রস্তুত।’
বর্তমানে ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এই যে আমাদের বর্তমানে যারাই আছেন ক্ষমতায় তাঁদের আমি বলব, আমরাও একটি গণতান্ত্রিক, সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ দেশ চাই, জঙ্গিবাদ মুক্ত। তার জন্য আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত। শুধু তারা যদি জঙ্গিবাদ, ভায়োলেন্স (সহিংসতা) বাদ দেন। শেখ হাসিনা মরে যাননি। আমরা কোথাও যাইনি। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ছাড়া গণতন্ত্র, নির্বাচন সম্ভব না।’
আই/এ
আওয়ামী লীগ
ধৈর্য্য, সহনশীলতা মানে দুর্বলতা নয় : নানক
সরকার পতনের নামে বিএনপি-জামায়াত দেশে হত্যা ও ধ্বংস চালাতে চায় এবং দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে চায়। আওয়ামী লীগ ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। বলেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
রোববার (৪ আগস্ট) বিকেল পৌনে ৫টায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, এই বিএনপি, জামায়াত-শিবির জঙ্গির উদ্দেশ্যে বলতে চাই, এই দেশমাতৃকাকে ভালোবেসে আমরা ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছি। ধৈর্য, সহনশীলতা মানে দুর্বলতা নয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা এই জঙ্গিগোষ্ঠীকে প্রতিরোধ করার জন্য দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি৷
নানক বলেন, রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্ট করবেন না। আমরা সংঘাত চাই না। শান্তি চাই। সকলকে দ্বায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে৷
তিনি বলেন, আমরা মোকাবিলা করব। এখন আর ঘরে বসে থাকার সময় নেই। যে যেখানে আছেন, দেশবিরোধী জামায়াত-শিবিরকে নির্মূল করতে হবে। আমাদের শরীরে শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত এই আস্ফালন সহ্য করব না। গণতন্ত্র সংবিধান রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
এএম/