ফুটবল
মেসি-নেইমারের সঙ্গে লড়াইটা দুই মাস্টারমাইন্ডেরও
কোপা আমেরিকায় টানা দ্বিতীয় শিরোপা জয়ের হাতছানি তিতের সামনে। আর লিওনেল স্কালোনির হাত ধরে ২৮ বছরের আক্ষেপ ঘুচানোর অপেক্ষায় আলবিসেলেস্তেরা। ফাইনালের মহারণের আগে জেনে নেয়া যাক দুই কোচের পরিসংখ্যান।
সুপার ক্লাসিকোয় মাঠের লড়াইয়ে থাকবেন মেসি-নেইমাররা। আর ডাগআউটে দুই কোচ তিতে-স্কালোনি। বয়সের মতো অভিজ্ঞতায়ও এগিয়ে তিতে। তবে স্কালোনির কৌশলের কেন্দ্রে রয়েছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক লিওনেল মেসি।
ফুটবল শুধু একটা খেলা নয়। যেখানে জড়িয়ে আছে আবেগ-অনুভূতি। রয়েছে অনেক জ্যামিতিক হিসাব-নিকাশ। যার উপর নির্ভর করে প্রতিটি দলের সাফল্য। যে অঙ্ক মেলাতে ডাগ আউটে ঘাম ঝড়াতে হয় মাস্টার মাইন্ডদের।
কোপা আমেরিকা ফাইনালের আগে মেসি-নেইমারদের মতো তাই আলোচনায় তিতে-স্কালোনি। ব্রাজিলকে টানা দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপার মঞ্চে তুলেছেন 'দ্যা প্রফেসর'। আর লিওনেল স্কালোনির হাত ধরে ২৮ বছরের শিরোপা খরা কাটানোর স্বপ্নে বিভোর আর্জেন্টিনা।
মাত্র ২৭ বছর বয়সে ইনজুরির কারণে ফুটবলার পরিচয়কে বিদায় বললেও ফুটবলকে ছাড়তে পারেননি তিতে। যেখানে স্কালোনির আছে আর্জেন্টিনার জার্সিতে খেলার সুখস্মৃতি। তিতের প্রেসিং ফুটবল আর স্কালোনির ভরসায় লিওনেল মেসি।
বয়সের মতো ফুটবলীয় অভিজ্ঞতাতেও এগিয়ে তিতে। ৩১ বছরের কোচিং ক্যারিয়ারে জাতীয় দল ছাড়াও সামলেছেন ১৩ ক্লাবের দায়িত্ব। ২০১৬ তে কার্লোস দুঙ্গা বরখাস্ত হলে সেলেসাওদের দায়িত্ব নেন তিতে। বিপরীতে ২০১৮ তে আলবিসেলেস্তেদের হাত ধরেই হেড কোচের পদে প্রথমবারের মতো আসীন হোন স্কালোনি। এর আগে সেভিয়া আর আর্জেন্টিনার সহকারী কোচের ভূমিকায় ছিলেন এই ট্যাকটিশিয়ান।
এখনো শিরোপার স্বাদ নেয়া হয়নি আর্জেন্টিনাকে বদলে দেয়া স্কালোনির। বিপরীতে বেশ সমৃদ্ধ ক্যারিয়ার তিতের। ২০১৯ কোপা আমেরিকা, ক্লাব বিশ্বকাপসহ জিতেছেন আট শিরোপা। দুই কোচের লড়াইয়েও এগিয়ে ব্রাজিল কোচ। ৩ বারের দেখায় তিতের দুই জয়ের বিপরীতে এক জয় স্কালোনির।
তিতের অধীনে ৬০ ম্যাচ খেলেছেন নেইমার, সিলভারা। জিতেছেন ৪৫ ম্যাচ। জয়ের হার ৭৫ শতাংশ। এখানেও পিছিয়ে স্কালোনি। তার অধীনে ৫৮ দশমিক আট দুই শতাংশ ম্যাচ জিতেছে আর্জেন্টিনা। ৩৪ ম্যাচে সংখ্যাটা ২০।
যেই কোপা আমেরিকা নিয়ে এতো আলোচনা। সেখানে রেকর্ডের হাতছানি তিতের। শিরোপা উৎসব করে সাবেক কোচ মারিও জাগালোর ১২ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ড টপকে যাওয়ার হাতছানি দ্যা প্রফেসরের। অন্যদিকে চলতি টুর্নামেন্টে এখনও হারেনি আর্জেন্টিনা।
তবে দিনশেষে তিতে-স্কালোনিকে তাকিয়ে থাকতে হবে মেসি-নেইমারদের দিকেই। সবুজ গালিচায় স্বপ্ন পূরণের কারিগর যে তারাই।
এএ
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//