ফুটবল
চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা পেলো ২৮ বছর পর শিরোপার স্বাদ
অবশেষে শিরোপার জন্য আর্জেন্টিনার দীর্ঘ ২৮ বছরের প্রতীক্ষার অবসান ঘটলো। লিওনেল মেসির হাতেই উঠলো আন্তর্জাতিক শিরোপা। কোপা আমেরিকায় ফাইনালে জিতলো আর্জেন্টিনা। ঘরে তুলল কোপা আমেরিকার শিরোপা। মেসির হাত ধরে প্রথমবারের মতো কোন শিরোপা জয় করল আর্জেন্টিনা। রিও ডি জেনেইরোর বিখ্যাত মারাকানায় সেলেসাওদের ১-০ গোলে হারিয়ে ১৯৯৩ সালের পর প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক ট্রফি জেতে আর্জেন্টিনা।
আজ রোববার (১১ জুলাই) রিও দি জেনেরিওর বিখ্যাত মারাকানা স্টেডিয়ামে কোপার চলতি আসরের ফাইনালে স্বাগতিকদের বিপক্ষে ১-০ গোলে জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আর্জেন্টিনা। জয়সূচক গোলটি করেছেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড আনহেল দি মারিয়া।
ম্যাচের ২০ মিনিটে মধ্যমাঠ থেকে রদ্রিগো ডি পল লং বল বাড়িয়ে দেন ডান দিকে থাকা ডি মারিয়ার উদ্দেশে। ব্রাজিলের বাঁ দিকের রক্ষণে থাকা রেনান লোদির হালকা স্পর্শে বল পেয়ে যান ডি মারিয়া। এরপর বল নিয়ে সামনে এগোলেই গোললাইন ছেড়ে এগিয়ে যান ব্রাজিল গোলরক্ষক এডারসন। আর তাকে এগিয়ে আসতে দেখেই মাথার ওপর দিয়ে ফ্লিক করে বল জালে জড়ান ডি মারিয়া।
১০ মিনিট পর লিওনেল মেসির শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। বাকি সময়ে আর গোল না হওয়ায় ১-০ গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা। দ্বিতীয়ার্ধে পুরো চড়াও হয়ে খেলে ব্রাজিল। কিন্তু গোলের দেখা পাচ্ছিল না তারা।
৫২ মিনিটে পাকেতার পাস থেকে জোরালো শটে বল জালে জড়ান রিচার্লিসন। কিন্তু অফসাইডের কারণে বাতিল হয়ে যায় গোল। ব্রাজিল কোচ লিওনার্দো তিতে দ্বিতীয়ার্ধের এক পর্যায়ে মাঠে চারজন স্ট্রাইকার খেলান যাদের মধ্যে ছিলেন অভিজ্ঞ গাবিগোলও। তাতে কাজ হয়নি।
বারবার নেইমার-ভিনিসিয়ুসরা চেষ্টা করেছেন আর্জেন্টাইন রক্ষণ ভাঙার। সেটি হয়ে ওঠেনি। ধীরে ধীরে শিরোপা চলে যায় ব্রাজিলের নাগালের বাইরে। অন্য প্রান্তে মেসি একেবারে সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন শেষ মুহূর্তে। ৮৯ মিনিটে এডারসনকে ওয়ান-অন-ওয়ান পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেননি তিনি।
ইনজুরি টাইমের ৫ মিনিট দাঁতে দাঁত চেপে ব্রাজিলের আক্রমণের তোড় সয়ে যায় আর্জেন্টাইন ডিফেন্স। আর কোনও গোল না হলে আর্জেন্টিনা ও লিওনেল মেসির হাতে ওঠে বহুল প্রতীক্ষিত কোপা আমেরিকার শিরোপা।
শেখ সোহান
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//