ব্যাংকিং ও বীমা
যে কারণে রোববার ব্যাংক বন্ধ
করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারের কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে দুই সপ্তাহ ধরে রোববার ব্যাংক বন্ধ থাকছে। গত রোববারও ব্যাংক বন্ধ ছিল, আজ রোববারও বন্ধ। সরকারঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধ অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতেও রোববার ব্যাংক বন্ধ রাখার পরিকল্পনা রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের।
তবে রোববারের পরিবর্তে মঙ্গলবার ব্যাংক বন্ধ রাখার পক্ষে ছিলেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনেক কর্মকর্তা। তাঁদের যুক্তি, এতে সপ্তাহের মাঝামাঝি সময় বন্ধ থাকত এবং গ্রাহক সেবায় তেমন সমস্যা হতো না। আর রোববার বন্ধ রাখায় টানা তিন দিন ব্যাংকসেবা থেকে বঞ্চিত থাকছেন গ্রাহকেরা। তবে শেষ পর্যন্ত এ যুক্তি স্থায়ী হয়নি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, সাধারণ গ্রাহক নয়, মূলত বৈদেশিক বাণিজ্য স্বাভাবিক রাখতেই বিধিনিষেধের মধ্যে ব্যাংক খোলা রাখা হচ্ছে। এ সময় পোশাকসহ বিভিন্ন শিল্প, কলকারখানাও খোলা আছে। যেসব দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আছে, ওই দেশগুলোতে শনি ও রোববার ছুটির দিন।
কেন ব্যাংক বন্ধ রাখার জন্য রোববারকে বেছে নেওয়া হলো, তা জানতে যোগাযোগ চাইলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, সাধারণ গ্রাহক নয়, মূলত বৈদেশিক বাণিজ্য স্বাভাবিক রাখতেই বিধিনিষেধের মধ্যে ব্যাংক খোলা রাখা হচ্ছে। এ সময় পোশাকসহ বিভিন্ন শিল্প, কলকারখানাও খোলা আছে। যেসব দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আছে, ওই দেশগুলোতে শনি ও রোববার ছুটির দিন। ফলে ব্যাংক খোলা থাকলেও রোববার লেনদেন নিষ্পত্তি হয় না। তাই ছুটির জন্য রোববারকে বেছে নেওয়া হয়েছে।
আমেরিকান ডলারে লেনদেন নিষ্পত্তিতে নিউইয়র্কের ব্যাংক খোলা থাকতে হয়। রোববার এসব ব্যাংক বন্ধ থাকে। ফলে বাংলাদেশে কেউ লেনদেন করতে চাইলেও সেই লেনদেন সম্পন্ন হয় না। সোমবার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। এ কারণে দেশে রোববার ব্যাংক বন্ধ থাকলেও বড় কোনো সমস্যা নেই।
বাণিজ্যিক ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলেন, বৈদেশিক বাণিজ্যের বড় অংশই এখন আমেরিকান ডলারে সম্পন্ন হয়। এরপরই পাউন্ড, ইউরো, জাপানিজ ইয়েন, চীনের রেনমিনবিতে লেনদেন নিষ্পন্ন হচ্ছে। বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক লেনদেনগুলো নিষ্পত্তি হয় মূলত বহুজাতিক স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক, দুবাইভিত্তিক মাশরেক, হাবিব আমেরিকানসহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক ব্যাংকের মাধ্যমে। প্রতিটি মুদ্রার লেনদেন নিষ্পত্তিতে নির্দিষ্ট দেশে ব্যাংক খোলা থাকতে হয়। যেমন আমেরিকান ডলারে লেনদেন নিষ্পত্তিতে নিউইয়র্কের ব্যাংক খোলা থাকতে হয়। রোববার এসব ব্যাংক বন্ধ থাকে। ফলে বাংলাদেশে কেউ লেনদেন করতে চাইলেও সেই লেনদেন সম্পন্ন হয় না। সোমবার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। এ কারণে দেশে রোববার ব্যাংক বন্ধ থাকলেও বড় কোনো সমস্যা নেই।
মূলত এ কারণে ছুটির জন্য রোববারকে বেছে নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আগামী ১৪ জুলাই পর্যন্ত ব্যাংকগুলোতে লেনদেন চলবে সকাল ১০টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত। আর অন্যান্য কার্যক্রমের জন্য ব্যাংক খোলা থাকবে বিকেল চারটা পর্যন্ত।
এ–সংক্রান্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল, ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের অত্যাবশ্যকীয় বিভাগগুলো যথাসম্ভব সীমিত লোকবলের মাধ্যমে খোলা রাখতে হবে। ব্যাংকের প্রিন্সিপাল বা প্রধান শাখা এবং সব বৈদেশিক বাণিজ্য শাখা সীমিতসংখ্যক অত্যাবশ্যকীয় লোকবলের মাধ্যমে খোলা রাখা যাবে। ফলে ব্যাংকগুলো চাহিদা অনুযায়ী শাখা খোলা রাখতে পারবে।
দেশে এখন সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক মিলিয়ে শাখা রয়েছে প্রায় ১১ হাজার। গত মার্চ পর্যন্ত ব্যাংক শাখা ছিল ১০ হাজার ৭৬৫। এর মধ্যে পল্লি শাখা ছিল ৫ হাজার ২২৫ ও শহরের শাখা ৫ হাজার ৫৪০। এ ছাড়া উপশাখা, এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমেও ব্যাংক সেবা দেওয়া হচ্ছে। ইন্টারনেট ব্যাংকিং, এটিএম ও মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চলছে ২৪ ঘণ্টা।
শুভ মাহফুজ
ব্যাংকিং ও বীমা
বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার
বাংলাদেশে ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে। গেলো এপ্রিল মাসে বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশে অলিখিত নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলো গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমান।
তিনি বলেন, গভর্নর ও ডেপুটি গভর্নরদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সাংবাদিকরা আগের মতো কেন্দ্রীয় ব্যাংকে প্রবেশ করতে পারবেন। তবে এমন কোনো প্রতিবেদন করবেন না, যার ফলে এ খাতে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়ে সংকট দেখা দেয়। তারা অনিয়মের সঙ্গে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছেন। যারা অনৈতিক সুবিধা নিয়েছেন তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে এ বিষয় তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। দেশে সংস্কার শুরু হয়েছে। পরবর্তী সরকার যেভাবে নির্দেশনা দেবে ওইভাবে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, এর আগে সাংবাদিকদের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভেতরে প্রবেশের অস্থায়ী পাস ইস্যু বন্ধ রাখা হয়। সেসময় অর্থনীতিবিষয়ক রিপোর্টিংয়ের সঙ্গে যুক্ত সাংবাদিকরা এবং গণমাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন বিষয়টির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছিলো।
আই/এ
ব্যাংকিং ও বীমা
৩ দিন ব্যাংক বন্ধ থাকবে
আগামী তিন দিন (সোম-মঙ্গল-বুধবার) ব্যাংক বন্ধ থাকবে। রোববার (৪ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সরকারের নির্বাহী আদেশে সারাদেশে তিন দিন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এসময় সব ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
এরআগে সরকার নির্বাহী আদেশে সারাদেশে তিন দিন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে।এসময় দেশের সকল সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
সন্ধ্যা ছয়টা থেকে সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে ছাত্র-জনতার সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনে দেশব্যাপী ব্যাপক সংঘর্ষ ও প্রাণহানির ঘটনার পর রোববার বিকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এমন সিদ্ধান্তের কথা জানানো হলো।
জেএইচ
অর্থনীতি
বুধবার থেকে স্বাভাবিক নিয়মে চলবে ব্যাংকিং কার্যক্রম
আগামীকাল বুধবার (৩১ জুলাই) থেকে সকল সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকিং কার্যক্রম চলবে আগের মতো স্বাভাবিক নিয়মে। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ব্যাংকে লেনদেন হবে, আর ব্যাংকগুলোর দাপ্তরিক কার্যক্রম চলবে ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে ব্যাংকের মত দেশের শেয়ারবাজারেও বুধবার থেকে স্বাভাবিক লেনদেন হবে। অর্থাৎ সকাল ১০টায় লেনদেন শুরু হয়ে চলবে দুপুর ২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত। মূল লেনদেন হবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা ২০ মিনিট পর্যন্ত। পরের ১০ মিনিট থাকবে পোস্ট ক্লোজিং।
উল্লেখ্য, কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দেয়া কমপ্লিট শাটডাউন ঘিরে সহিংসতা শুরু হয়। এর ফলে গত শনিবার (২০জুলাই) রাতে দেশে কারফিউ জারি করে। রোববার, সোমবার ও মঙ্গলবার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। কারফিউ ও সাধারণ ছুটির জন্য ব্যাংক তিনদিন বন্ধ ছিল। এরপর পাঁচ কার্যদিবসে কারফিউ শিথিলের সময় সীমিত পরিসরে ব্যাংকিং কার্যক্রম চলে। ফলে ১২ দিন ও ৮ কার্যদিবস পর স্বাভাবিক ব্যাংকিং চালু হচ্ছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সবশেষ স্বাভাবিক ব্যাংকিং কার্যক্রম হয়।
জেডএস/