অপরাধ
বাল্যবিয়ের অভিশাপ কাটাতে শক্ত অবস্থানে আসাম, গ্রেপ্তার ১৮০০ জন
বাল্যবিয়ের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে ভারতের আসামের রাজ্য সরকার। এ জন্য রাজ্যে পুলিশি অভিযান জোরদার করা হয়েছে। অভিযানে ১৮০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জানিয়েছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।
শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১ টার দিকে একটি টুইট করেন তিনি।
ওই টুইটে তিনি লেখেন, প্রহিবিশন অব চাইল্ড ম্যারেজ আইন লঙ্ঘন করছে যারা, তাদের বিরুদ্ধে রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ চলছে। এখন পর্যন্ত ১৮০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মেয়েদের প্রতি ক্ষমার অযোগ্য এবং জঘন্য অপরাধের বিরুদ্ধে আসাম পুলিশকে জিরো টলারেন্স স্পিরিট নিয়ে কাজ করতে বলেছি আমি।
গেলো বৃহস্পতিবারই আসামের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, রাজ্যে ১৫ দিনের মধ্যে ৪০০০ বাল্যবিয়ের ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। শুক্রবার থেকে ধরপাকড় শুরু হবে বলেও ঘোষণা করেছিলেন তিনি। সে অনুযায়ী শুক্রবার সকাল থেকে গ্রেপ্তার অভিযান শুরু হয়েছে।
আসামের মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল, ১৪ বছরের নিচের মেয়েদের যারা বিয়ে করবে তাদের বিরুদ্ধে প্রোটেকশন অব চিলড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্সেস বা পকসো আইনে মামলা করা হবে। ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সী মেয়েদের বিয়ে করলে আনা হবে প্রহিবিশন অব চাইল্ড ম্যারেজ অ্যাক্ট লঙ্ঘনের অভিযোগ।
জেলাভিত্তিক বাল্যবিয়ের একটি তালিকা পোস্ট করে হিমন্ত বিশ্ব শর্মা লেখেন, রাজ্যে বাল্যবিয়ের অভিশাপ কাটানোর অবস্থানে অনড় আসাম সরকার। এ পর্যন্ত রাজ্যজুড়ে বাল্যবিয়ের ৪০০৪টি মামলা হয়েছে এবং আগামী দিনে আরও পুলিশি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এসব মামলায় পদক্ষেপ নেওয়া হবে ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে, আমি সবাইকে সহযোগিতা করতে অনুরোধ করছি।
তিনি আরও বলেন, বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে এই যুদ্ধ হবে অসাম্প্রদায়িক। কোনো একটা সম্প্রদায়কে নিশানা করা হবে না। যারা এসব কাজে লিপ্ত, সে কেরানি হোক কিংবা পূজারি, তাদের শাস্তির মুখে পড়তে হবে।
এএম
অপরাধ
রাজধানীতে বস্তা ভর্তি টাকাসহ একটি গাড়ি আটক করলেন শিক্ষার্থীরা
রাজধানীর উত্তরায় একটি প্রাইভেটকার থেকে এক বস্তা টাকাসহ একটি শটগান উদ্ধার করেছেন শিক্ষার্থীরা। এই ঘটনায় তিনজনকে হেফাজতে নিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
বুধবার (৭ আগস্ট) এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা গণমাধ্যমে জানান, রাজধানীর উত্তরার একটি বাসার গ্যারেজ থেকে গাড়িটি জব্দ করা হয়। এ সময় তিনজনকে হেফাজতে নেয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। পরে গাড়ি থেকে এক বস্তা টাকা উদ্ধার করে হেফাজতে নেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় স্থানীয় জনতা ও শিক্ষার্থীরা উল্লাস করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, আওয়ামী লীগ ঘরোয়ানার একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের এমডির গাড়ি থেকে এ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। গাড়ি থেকে এক বস্তা টাকাসহ একটি শটগান উদ্ধার করে উত্তরা টাউন কলেজের শিক্ষার্থীসহ অনান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এএম/
অপরাধ
কাশিমপুর কারাগার থেকে পালিয়েছে ২০৯ বন্দি, নিহত ৬
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২০৯ জন বন্দি পালিয়েছেন। পালিয়ে যাওয়ার সময় নিরাপত্তাকর্মীদের গুলিতে ছয়জন বন্দি নিহত হয়েছেন।
বুধবার (৭ আগস্ট) বিকেলে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান,গেলো মঙ্গলবার বিকেলে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্দিরা কারাগার ভেঙে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কারারক্ষীরা তাদের নিভৃত করার চেষ্টা করলে বন্দিরা কারারক্ষীদের ওপর চড়াও হয়। বন্দিদের কেউ দেয়াল ভেঙে, কেউ দেয়াল টপকে, আবার কেউ দেয়ালের সঙ্গে বিদ্যুতের পাইপ লাগিয়ে কারারক্ষীদের মারধর করে পালিয়ে যেতে চান।
একপর্যায়ে সেনাবাহিনীকে খবর দিলে তারা কমান্ডো অভিযান চালিয়ে বিদ্রোহ দমন করেন।এসময়ে বন্দিদের মধ্যে ২০৯ জন দেয়াল টপকে পালিয়ে গেছে।বন্দিদের ঠেকাতে নিরাপত্তাকর্মীদের গুলিতে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, নিহতদের নাম পরিচয় পরে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন সিনিয়র জেল সুপার।
আই/এ
অপরাধ
কাশিমপুর কারাগারে তীব্র উত্তেজনা, সেনাবাহিনীর শক্ত অবস্থান
গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে বন্দিরা মুক্তির দাবিতে উত্তেজনা শুরু করেছেন। কারারক্ষীদের জিম্মি করে অনেকে দলবদ্ধভাবে বের হয়ে আসার চেষ্টা করছেন। খবর পেয়ে সেনা সদস্যরা এসে প্রাথমিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দুপুরের দিকে এ পরিস্থিতি দেখা গেছে। এসময়ে ওই এলাকার আকাশে হেলিকপ্টার চক্কর দিতে দেখা যায়।
কারা কর্তৃপক্ষ জানান, কাশিমপুর কারা কমপ্লেক্সে পৃথক চারটি কারাগার রয়েছে। এর মধ্যে বিডিআর বিদ্রোহ মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি, ফাঁসি ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুর্ধর্ষ জঙ্গি বন্দিরা রয়েছে। এছাড়া রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার অনেক নেতাকর্মীও ওই কারাগারে রয়েছে।
জানা যায়, বেলা ১১টার দিকে কিছু বন্দি কারাগারের অভ্যন্তরে থাকা কারারক্ষীদের জিম্মি করে মুক্তির দাবিতে বিদ্রোহ শুরু করে। এসময়ে কারারক্ষীরা তাদের শান্ত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। আগে থেকেই সেখানে অল্প সংখ্যক সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেন। উত্তেজনা আরও বেড়ে গেলে দুপুর দেড়টার দিকে অতিরিক্ত সেনা সদস্য হেলিকপ্টার যোগে কারা অভ্যন্তরে এসে বন্দিদের নিয়ন্ত্রণ করেন।
প্রসঙ্গত, কারা অভ্যন্তরে বিদ্রোহের খবর পেয়ে বন্দিদের স্বজনরা সকাল থেকেই কারাগারের সামনে অবস্থান করেন। এ সময় তাদের সঙ্গে আন্দোলনকারীরা যোগ দিয়ে বিক্ষোভ করে। কারাগারের বাইরে একটি ঝুট গুদামে অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরে সেনা সদস্যরা বাইরের বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেন।
আই/এ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন