অপরাধ
ডিবির অভিযানকালে ‘হৃদযন্ত্র বন্ধে’ এক ব্যক্তির মৃত্যু
চট্টগ্রাম নগরীতে ডিবি পুলিশের অভিযান চলাকালে ‘হার্ট অ্যাটাকে’ এক ব্যক্তির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। নিহত ওই ব্যক্তির নাম মো. নাছির উদ্দিন (৫৫)।
গেলো বৃহস্পতিবার মধ্য রাতে চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার অক্সিজেন পশ্চিম শহীদনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহেতের ছোট ভাই মো. জাহাঙ্গীর আলম গণমাধ্যমে বলেন, আমরা পশ্চিম শহীদনগর এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা। ফটিকছড়িতে আমরা কোনো সময় ছিলাম না। আমার ভাইয়ের বিরুদ্ধে আগে কয়েকটি মামলা ছিল। এগুলো সমাধান হয়ে গেছে। গেলো রাতে ডিবিসহ ২০ থেকে ২৫ জন পুলিশ সদস্য বাড়িতে আসেন। তারা এসেই আমার ভাইয়ের বিরুদ্ধে গরু চুরি মামলা আছে। আমার ভাই তাদের অসুস্থতার কথা জানান। কিন্তু তারা তাকে জোর করে ধরে নিয়ে যেতে চেষ্টা করে।
তিনি আরও বলেন একপর্যায়ে আমার ভাইয়ের মুখ দিয়ে ফেনা বের হয়। তখন তাকে ওষুধও খেতে দেওয়া হয়নি। একপর্যায়ে তিনি নিস্তেজ হয়ে যান। তখন আমরা জোর করে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। কিন্তু তার আগেই আমার ভাই মারা যান। আমি অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের শাস্তি দাবি করছি।
তিনি বলেন, আমার ভাই মহল্লা কমিটি উপদেষ্টা ছিলেন। সামনে কমিটির নির্বাচন আছে। এটি নিয়ে ষড়যন্ত্র হতে পারে।
পুলিশের দাবি, ফটিকছড়ি থানায় দায়ের হওয়া গরু চুরির একটি মামলায় গ্রেপ্তার এক আসামির জবানবন্দিতে উঠে আসে নাছিরের নাম। দীর্ঘদিন তিনি পলাতক ছিলেন। একপর্যায়ে জেলা ডিবি পুলিশ নিশ্চিত হয় ওই আসামি নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার শহীদনগর এলাকায় থাকেন। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা করা হয়। কিন্তু পুলিশ দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পরও অভিযুক্ত নাছিরের পরিবারের লোকজন ঘরের দরজা খুলছিলেন না। রাত সাড়ে ৩টার দিকে দরজা খোলা হয়। এ সময় বাড়ির লোকজন জানান নাছির অসুস্থ।
চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) আবু তৈয়ব মো. আরিফ হোসেন গণমাধ্যমে বলেন, অভিযানের সময় পুলিশ নাছিরের সঙ্গে কথা বলে। অসুস্থ থাকায় তাকে গ্রেপ্তার না করে পরদিন সকালে বায়েজিদ বোস্তামী থানায় যোগাযোগ করতে বলা হয়। পরে তাকে নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ (শুক্রবার) ভোরে তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরও বলেন, পরিবারের লোকজনের দাবি তার আগে থেকে হার্টের সমস্যা ছিল। এ কারণে তিনি মারা গেছেন। মৃতের মরদেহ ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
এএম
অপরাধ
রাজধানীতে বস্তা ভর্তি টাকাসহ একটি গাড়ি আটক করলেন শিক্ষার্থীরা
রাজধানীর উত্তরায় একটি প্রাইভেটকার থেকে এক বস্তা টাকাসহ একটি শটগান উদ্ধার করেছেন শিক্ষার্থীরা। এই ঘটনায় তিনজনকে হেফাজতে নিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
বুধবার (৭ আগস্ট) এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা গণমাধ্যমে জানান, রাজধানীর উত্তরার একটি বাসার গ্যারেজ থেকে গাড়িটি জব্দ করা হয়। এ সময় তিনজনকে হেফাজতে নেয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। পরে গাড়ি থেকে এক বস্তা টাকা উদ্ধার করে হেফাজতে নেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় স্থানীয় জনতা ও শিক্ষার্থীরা উল্লাস করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, আওয়ামী লীগ ঘরোয়ানার একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের এমডির গাড়ি থেকে এ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। গাড়ি থেকে এক বস্তা টাকাসহ একটি শটগান উদ্ধার করে উত্তরা টাউন কলেজের শিক্ষার্থীসহ অনান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এএম/
অপরাধ
কাশিমপুর কারাগার থেকে পালিয়েছে ২০৯ বন্দি, নিহত ৬
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২০৯ জন বন্দি পালিয়েছেন। পালিয়ে যাওয়ার সময় নিরাপত্তাকর্মীদের গুলিতে ছয়জন বন্দি নিহত হয়েছেন।
বুধবার (৭ আগস্ট) বিকেলে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান,গেলো মঙ্গলবার বিকেলে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্দিরা কারাগার ভেঙে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কারারক্ষীরা তাদের নিভৃত করার চেষ্টা করলে বন্দিরা কারারক্ষীদের ওপর চড়াও হয়। বন্দিদের কেউ দেয়াল ভেঙে, কেউ দেয়াল টপকে, আবার কেউ দেয়ালের সঙ্গে বিদ্যুতের পাইপ লাগিয়ে কারারক্ষীদের মারধর করে পালিয়ে যেতে চান।
একপর্যায়ে সেনাবাহিনীকে খবর দিলে তারা কমান্ডো অভিযান চালিয়ে বিদ্রোহ দমন করেন।এসময়ে বন্দিদের মধ্যে ২০৯ জন দেয়াল টপকে পালিয়ে গেছে।বন্দিদের ঠেকাতে নিরাপত্তাকর্মীদের গুলিতে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, নিহতদের নাম পরিচয় পরে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন সিনিয়র জেল সুপার।
আই/এ
অপরাধ
কাশিমপুর কারাগারে তীব্র উত্তেজনা, সেনাবাহিনীর শক্ত অবস্থান
গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে বন্দিরা মুক্তির দাবিতে উত্তেজনা শুরু করেছেন। কারারক্ষীদের জিম্মি করে অনেকে দলবদ্ধভাবে বের হয়ে আসার চেষ্টা করছেন। খবর পেয়ে সেনা সদস্যরা এসে প্রাথমিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দুপুরের দিকে এ পরিস্থিতি দেখা গেছে। এসময়ে ওই এলাকার আকাশে হেলিকপ্টার চক্কর দিতে দেখা যায়।
কারা কর্তৃপক্ষ জানান, কাশিমপুর কারা কমপ্লেক্সে পৃথক চারটি কারাগার রয়েছে। এর মধ্যে বিডিআর বিদ্রোহ মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি, ফাঁসি ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুর্ধর্ষ জঙ্গি বন্দিরা রয়েছে। এছাড়া রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার অনেক নেতাকর্মীও ওই কারাগারে রয়েছে।
জানা যায়, বেলা ১১টার দিকে কিছু বন্দি কারাগারের অভ্যন্তরে থাকা কারারক্ষীদের জিম্মি করে মুক্তির দাবিতে বিদ্রোহ শুরু করে। এসময়ে কারারক্ষীরা তাদের শান্ত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। আগে থেকেই সেখানে অল্প সংখ্যক সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেন। উত্তেজনা আরও বেড়ে গেলে দুপুর দেড়টার দিকে অতিরিক্ত সেনা সদস্য হেলিকপ্টার যোগে কারা অভ্যন্তরে এসে বন্দিদের নিয়ন্ত্রণ করেন।
প্রসঙ্গত, কারা অভ্যন্তরে বিদ্রোহের খবর পেয়ে বন্দিদের স্বজনরা সকাল থেকেই কারাগারের সামনে অবস্থান করেন। এ সময় তাদের সঙ্গে আন্দোলনকারীরা যোগ দিয়ে বিক্ষোভ করে। কারাগারের বাইরে একটি ঝুট গুদামে অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরে সেনা সদস্যরা বাইরের বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেন।
আই/এ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন