দুর্ঘটনা
মগবাজারে বিস্ফোরণে গ্যাসের উৎস উল্লেখ না করেই প্রতিবেদন জমা
রাজধানীর মগবাজারে ‘রাখি নীড়’ ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতর। প্রতিবেদনে বিস্ফোরণের কারণ ‘জমে থাকা গ্যাসে আগুনের স্পার্ক থেকে’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে ‘গ্যাস কীভাবে ও কোথায় জমেছে’ সেই উৎসের কথা উল্লেখ করা হয়নি।
বুধবার (১৪ জুলাই) প্রতিবেদনটি চূড়ান্ত করেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের তদন্ত কমিটি। এতে কমিটির প্রত্যেক সদস্য স্বাক্ষর করেছেন।
ফায়ার সার্ভিসের একজন কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া আলামত, প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা, উদ্ধারকাজে অংশ নেওয়া কর্মীদের বর্ণনা, ভবন মালিক ও দোকান মালিকসহ অনেকের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে সেগুলো যাচাই-বাছাই করে প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বিস্ফোরণের স্থান হিসেবে বেঙ্গল মিটের আউটলেটের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও বিস্ফোরণের সম্ভাব্য তিন কারণ উল্লেখ করা হয়েছে।’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মগবাজারের ৭৯ আউটার সার্কুলার রোডের ভবনে বেঙ্গল মিটের শো-রুমে প্রচুর গ্যাস জমা ছিল। জমা গ্যাসের মধ্যে আগুনের স্পার্ক (অগ্নি স্ফুলিঙ্গ) সৃষ্টি হয়ে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সেখানে আগুনের স্পার্ক সৃষ্টি হওয়ার পেছনে বৈদ্যুতিক সুইচ চালু অথবা বন্ধ, মশা মারার ব্যাট অথবা মোবাইলের চার্জারের ভূমিকা থাকতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে ওই ভবনে এবং আউটলেটে গ্যাস জমে থাকার কথা উল্লেখ করলেও সেখানে গ্যাসের কোনো উৎস পায়নি ফায়ার সার্ভিস।
সূত্রটি জানায়, প্রতিবেদনে ফায়ার সার্ভিস কিছু সুপারিশ দিয়েছে। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ঘরবাড়ি/দোকানে ব্যবহৃত বৈদ্যুতিক তারের গুণগত মান নিশ্চিত করা, রাস্তায় স্থাপিত খোলা তারের ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন, অগ্নিকাণ্ডের সময় যেন উৎসুক জনতা উদ্ধারকাজে বিঘ্ন ঘটাতে না পারে সে জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা বাড়ানো ইত্যাদি।
উল্লেখ্য, ২৭ জুন সন্ধ্যায় মগবাজার ওয়্যারলেস মোড়ে ‘রাখি নীড়’ নামে ভবনে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ঘটনার দিনই ৭ জন নিহত হয়েছিলেন। পরে এই সংখ্যা গিয়ে ঠেকে ১২তে। আহত হন শতাধিক মানুষ। আহতদের বেশিরভাগই ছিলেন আশেপাশের ভবন, কয়েকটি বাসের যাত্রী এবং পথচারী।
এদিকে ভবনে বিস্ফোরণের কারণ অনুসন্ধান ও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করে বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। কমিটির প্রধান ছিলেন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিল্লুর রহমান। কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন : অধিদফতরের উপপরিচালক (ঢাকা) দিনমনি শর্মা, সহকারী পরিচালক (ঢাকা) ছালেহ উদ্দিন আহমেদ, উপ-সহকারী পরিচালক (ঢাকা জোন-০১) মো. বজলুল রশিদ এবং ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর দেবব্রত মণ্ডল।
চট্টগ্রাম
কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় প্রাণ হারালেন দুই সাইকেল আরোহী
কর্ণফুলীতে পণ্যবাহী কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় দুই সাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। কাভার্ডভ্যানটি আটক করা হয়েছে।
বুধবার (৭ আগস্ট) বেলা একটার দিকে চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের ইছানগর বাংলাবাজার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার নন্দনালী গ্রামের কামাল মণ্ডলের ছেলে চঞ্চল মণ্ডল (১৮) ও রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার ছোট পাগলা গ্রামের মোহাম্মদ আবদুল জলিলের ছেলে জাহিদুল ইসলাম (১৬)। তারা কর্ণফুলী উপজেলার ইছানগর গ্রামে ভাড়া বাসায় থাকতেন।
চরপাথরঘাটার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আবু তাহের গণমাধ্যমকে বলেন, দুপুরে তারা তিনজন সাইকেল চালিয়ে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। এ সময় কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হয়। অপরজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো হয়। কাভার্ডভ্যানটি আটক করা হয়েছে।
এএম/
ঢাকা
মেঘনায় নিখোঁজ ৩ জনের মধ্যে ২ জনের লাশ উদ্ধার
শরীয়তপুরের মেঘনা নদীতে বরযাত্রীবাহী একটি ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজ তিন জনের মধ্যে দুই জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিখোঁজের মধ্যে ছিলেন বর সানজুসহ তার ভাই শাওন ও বন্ধু হৃদয়। এর মধ্যে জেলেদের জালে বরের ভাই শাওন ও বন্ধু হৃদয় বেপারীর মরদেহ উদ্ধার হলেও এখনও নিখোঁজ রয়েছেন বর সানজু।
শনিবার (৩ আগস্ট) বেলা ১১টার সময় গোসাইরহাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পুষ্পেন দেবনাথ বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন।
উদ্ধার হওয়া শাওন পুরান ঢাকার ধোলাইখালের শাহজাহান বেপারীর ছেলে ও হৃদয় একই এলাকার বলু বেপারীর ছেলে। এ নিয়ে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত একই পরিবারের ৩জন সহ ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার হলো। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন আরও ১ জন।
গেলো শুক্রবার বিয়ের জন্য মেয়ে দেখতে এসে ট্রলারডুবির ঘটনায় নিহত হন বরের মা, বোন, ভাই ও বন্ধু। এর আগে সকাল ১০টায় কোদালপুর লঞ্চ ঘাট থেকে মাঝেরচর যাওয়ার সময় মেঘনায় দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় (স্রোতের) ডুবে ট্রলারটি। এসময়ে ট্রলারটিতে ১১ জন যাত্রী ছিলো বলে জানা যায়।
উল্লেখ্য, আহত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া ৫ জন বর্তমানে গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
এএম/
দুর্ঘটনা
বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে রাজবাড়ীতে নিহত ২
রাজবাড়ীতে যাত্রীবাহী বাস ও সিমেন্ট বোঝাই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনায় আরও কয়েজন আহত হয়েছেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।
শুক্রবার (২ আগস্ট) সকাল ৮টায় রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের আহলাদিপুর টিটিসি ভবনের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। রাজবাড়ী আহলাদিপুর হাইওয়ে থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) জুয়েল রানা বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, আজ সকাল ৮ টার দিকে কুষ্টিয়া থেকে ফরিদপুরগামী লোকাল আমানত শাহ নামের একটি বাস সদর উপজেলার রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের আহলাদিপুর টিটিসি ভবনের সামনে এলে, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা কুষ্টিয়াগামী সিমেন্ট বোঝাই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় ঘটনাস্থলেই একজন নিহত হন। আহত হন আরও ৪-৫ জন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।
হাইওয়ে থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) জুয়েল রানা বলেন, আহতদের রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল ও ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। চালক ও হেলপাররা পলাতক রয়েছে ।
রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের নার্সিং সুপারভাইজার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, মৃত অবস্থায় হাসপাতালে একজনকে নিয়ে আসা হয়। আহত অবস্থায় ছয়জনকে হাসপাতালে আনলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যু ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় দুইজনকে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মেডিকেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। তিনজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে গেছেন।
জেডএস/